বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মায়া :রহস্যময় এক গোপন সভ্যতা (পর্ব ২)

"পৌরাণিক গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাইমন জাফরি (০ পয়েন্ট)

X কোপান শহরকে ঘিরে ছিলো ধীর গতির একটাআঁকাবাঁকা নদী আর পাথরের ব্লক দিয়ে তৈরী সুদৃশ্য দালান গুলো গড়ে ওঠেছিলো জংগলের সমতলে।অত্যান্ত চমত্‍কার ভাবে রঙ করা দালান গুলোর মাঝখানে সাদা রঙ করা সেন্ট্রাল প্লাজা থাকতো যেখানে হাজার হাজার মানুষ একসাথে জড়ো হতে পারতো।এখানে জীপজন্তুর চামড়া,কচ্ছপের খোলক,কোকো বীন,তামাক,ঘোড়া এবং পশম কেনাবেচা হতো।শহরের ঠিক মাঝখানে বিশাল জায়গা জুড়ে বল খেলার জায়গা ছিলো।বলগুলো পাথরের তৈরী ছিলো।এই বলখেলার নিয়ম ছিলো ভয়াবহ।দুইপক্ষের মধ্যে খেলা হতো।বলটি হাত পা কোনটা দিয়ে ধরা যেত না।শুধু কোমর দিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষের দিকে ধাক্কা মারতো যতক্ষন বল গতি না হারায়।খেলোয়াড়রা খেলার সময় মাথায় বেল্ট বেঁধে রাখতো।অনুমান করাহয় যে পক্ষ হেরে যেতো তাদের পরিনতি খুব খারাপ হতো এবং ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলি হতো।তাদের বিশ্বাস ছিলো এতে প্রকৃতি তাদের সহায় হবেন এবং ভালো ফসল ঘরে আসবে। অত্যন্ত গোপন এই মায়া সভ্যতার মানুষেরা মনে করতো ঈশ্বরই সকল প্রানের উত্‍স এবং একমাত্র ঈশ্বরেরইক্ষমতা আছে তাদের সাথে মধ্যস্থতা করার।তারা বিশ্বাস করতো ঈশ্বর মিশে আছেন সূর্য আর বৃষ্টির মাঝে আর মানুষযা চায় ঈশ্বর তাই দেন।মায়ারা বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে রক্ত উত্‍সর্গ করতো।তাদের ধারনা ছিলো আত্মার সাথে ঈশ্বরের যোগাযোগেরএকমাত্র মাধ্যম রক্ত।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অনুষ্ঠানে রাজা নিজের রক্ত উত্‍সর্গ করতেন।এটা মায়াদের অত্যন্ত গোপন একটি আচার ব্যাবস্থা ছিলো।এই রক্তদানে ঈশ্বরের করুনার দরজা খুলে যেতো।তারা রক্ত পুড়িয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করতো এবং মনে করতো এই ধোঁয়ার মধ্যেই ঈশ্বরের দর্শন পাওয়া সম্ভব।… আজও মায়াদের বংশধররা বেঁচে আছে এবং তারা তাদের জীবনাচার সেভাবেই সাজিয়েছে যেভাবে তাদের পূর্বপুরুষরা ছিলো।তারা বংশানুক্রমে তাদের অতীত মনে রেখেছে এবং অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া তাদের আচার অনুষ্ঠান পূর্বপুরুষদের মতোই পালন করে।তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ঈশ্বর পুনরায়তাদের আগের সাম্রাজ্য ফিরিয়ে দিবেন।ক্যাসিমিরাহো সাগাজাউ একজন মায়ান পুরোহিত।তিনি ফসল উৎপাদনের সময় ঈশ্বরের আরাধনায় নিয়োজিত থাকেন।তিনি বলেন,আমরা মায়ানদের সরাসরি বংশধর।আমরা হাজার বছর ধরে আমাদের ধর্ম পালন করে আসছি।আমি ছোট বেলায় আমার বাবা মায়েয় কাছ থেকে ধর্মীয় আচার ব্যাবস্থা শিখেছি।আমাদের স্বপ্নে ঈশ্বর জানিয়েদেন কখন বীজ বপন করতে হবে,কখন ফসল তুলতে হবে,কখন আগুন জ্বালাতে হবে আর কখনই বা শষ্য উত্‍সব করতে হবে। আজ থেকে ৫০০ বছর পূর্বে এক স্প্যানিশধর্মযাজক প্রথম ইয়োকেটানের মায়ানদেরআচার ব্যাবস্থা সম্পর্কে পুস্তক লিখেছিলেন।তার বই মায়ানদের ধর্ম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে।যখন ক্যাথলিক চার্চ আইন করে মায়ানদের পূজা অর্চনা বন্ধ করে তখন থেকে তাদেরআচার ব্যাবস্থাগুলো বিলুপ্ত হতে থাকে।বর্তমানে মায়ান বংশধররা যে ধর্ম পালন করছে তা আসলে তাদের মূল ধর্ম নয় বরং ক্যাথলিক আর মায়া ধর্মের ডোপিং।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৯০ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মায়া :রহস্যময় এক গোপন সভ্যতা (পর্ব ৫)
→ মায়া :রহস্যময় এক গোপন সভ্যতা (পর্ব ৪)
→ মায়া :রহস্যময় এক গোপন সভ্যতা (পর্ব ৩)
→ মায়া :রহস্যময় এক গোপনসভ্যতা (পর্ব-১)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now