বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আজ রবিবার। স্কুল শেষ করে ঘরে ফিরতেই এক ক্লান্তি অনুভব করলাম।খাওয়া দাওয়া করে না চাইতেও স্কুল এর পড়া শেষ করলাম।দেখি ৫টা১৪ বাজে ৬টা বাজে আমার বাংলা কোচিং
এ যাই। মাগরিবের আজান দিল।তারাতারি ব্যাগ নিয়ে বের হলাম।রাস্তায় যেতে যেতে এক দোকান থেকে
দুইটা পিয়াজু কিনে রাস্তা দিয়ে খেতে খেতে গেলাম। রাস্তায় যেতে যেতে পড়ে এক বিশাল বট গাছ, কবরস্থান, দুইটা তেতুল গাছ। শুনলে অবাক হওয়ার মতো কথা সব ভুতের আস্তানা একসাথে। স্যারের বাসায় গিয়ে পৌছালাম। আমরা মোট আটজন বাংলা পড়ি। স্যার গণিত ও বিজ্ঞান পড়ায়।তবে আমরা স্যারের বেশ ভক্ত। তাই স্যারকে বলে আমরা আট জন বাংলা পড়ি।এটা অবশ্য বাহিরের কেও জানেনা।গিয়ে দেখি প্রায় সবাই এসে পড়েছে। পড়া শেষ করে বাসায় ফিরার জন্য স্যারের বাসা থেকে বেড় হলাম। আজ রাস্তা যেন শেষ হয়না। বিশাল এক পথ মনে হচ্ছে দূরের পথে যাচ্ছি। রাস্তায় এক মেয়ে এসে বলল, আপু কিছু টাকা দিবে রুটি খাব। কিচ্ছু খাইনি সারাদিন। আমি মেয়েটিকে দশ টাকা দিলাম। মেয়েটি আমাকে একটি কয়েন দিল। কয়েনটি অনেক পুরাতন। আমি বাসায় পৌছালাম। এখনও আরও সাত তলা উঠতে হবে যাই হেক লিফট আছে। লিফটে উঠলাম লিফট উপরে যেতে শুরু করে আজ লিফট থামছেই না।প্রায় ছয় মিনিট পর লিফটের দরজা খুলে। দেখি ওমা এতো সাত তলা নয় বরং দশ তলা। দশ তলায় কেও থাকেনা। ভাড়া হলেও এক দু মাস থেকে চলে যায় ভাড়াটিয়া। হঠাৎ একটি কয়েন কোথা থেকে পড়ে ও একটি রুমের ভিতরে চলে যায় আমিও রুমের ভিতরে চলে যাই। মাত্র আমার মনে পড়ে সব রুমতো তালা মারা। আমি ঢুকলাম কিভাবে। পিছে ফিরে দেখি দরজা লাগানো।আমার কানে আসছে কোথায় কুকুর যেন শিয়ালের মতো ঢাকছে কি ভয়ংকর আওয়াজ। আমার রক্ত হিম হয়ে আসছে। কে যেন হাসল। আমি বললাম,কে কে হাসল? আমার সামনে এসে হাজির হয় এক লম্বা কিছু,বলে আমি হাসছি তর কি কোনো সমস্যা। কি এটা মনে প্রশ্ন আসল।
পুরো ঘরে লাল বাতি জলে উঠলে। চারিদিক থেকে হাসি ও কয়েন পড়ার শব্দ আসতে থাকলে।আমার মাথা ঘুরছে। আমি পড়ে গেলাম মেঝেতে জিনিসটি আমার কাছে আসতে শুরু করে আমি ঝাপসা চোখে দেখলাম এটির জিভটি ঝুলছে তা খুব কালো যেন সে জাম খেয়েছে।আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম। জ্ঞান ফিরল কখন কে জানে। দেখি আমাদের রুমের সামনে পড়ে আছি ঘরে ঢুকতেই ঘরিতে দেখি ৮টা বাজে। মা বলে,কিরে আজ এত তারাতারি। আমিও অবাক এত তারাতারি স্যার তে ছুটি দেয় নয় টায়। মাকে বললাম, স্যার কোথায় যেন যাবে তাই। বলে ঘরে ঢুকে গেলাম আমি খুব ভয়ে আছি। মাথার এক গোলক রহস্য ঘুরছে। রাতে খাবার না খেয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙে গভীর রাতে কে জেন ডাকছে। চোখ খুলতেই দেখলাম ঔ ভয়ংকর জিনিসটি।আবারও কুকুর ডাকছে কয়েন পড়ার শব্দ কানে আসছে। জিনিসটি বলে উঠে, দেখতো এই কয়েন তর নাকি? আমি আবার জ্ঞান হারাই এরপর আর জানিনা।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now