বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কুরআনের আলো-১
নাফিজ আহমেদ
পড়ন্ত বিকালে একাকী মাঠের মধ্যেখানে উপবিষ্ট হয়ে চিন্তা করছি নিজের কর্মকান্ড নিয়ে। কত পবিত্র সেই সত্তা যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি তাঁর সাথে কতই না নাফরমানী করছি। তিনি আমাকে যেভাবে চলতে বলেছেন আমি তার কিছুই করছি না। সারাটাদিন নিজেকে লিপ্ত রেখেছি বিভিন্ন গর্হিত কাজে। কত দিন হয়ে গেল তাঁর কুদরতি পায়ে একবারের জন্যও সিজদাহ্ লুটিয়ে পড়িনি। তারপরও কি সেই মহান রব্বুল আলামীন আমাকে ক্ষমা করবেন! ভাবতে ভাবতে কেটে গেল অনেকটা প্রহর এরই মাঝে হঠাৎ কাকতালীয় ভাবে আগমন করল আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব। তিনি জানেন যে আমি
খুব একটা ধর্ম মেনে চলি না,তবুও তিনি আমার কাছে আসল। জিজ্ঞাসা করল-কি খবর সিয়াম? এখানে একাকী বসে কি করছ? আমি আবেগাপ্লুত হয়ে বললাম কিছু না হুজুর। এমনেই এখানে একাকী বসে চিন্তা করছি আমার এই ২০-২৫ বছর জিন্দেগীতে যে পাপ করেছি তার কি কোন ক্ষমা আছে! আল্লাহ কি আমাকে কখনো মাফ করবেন? এইসব নিয়েই ভাবছিলাম। আমার কথাগুলো শুনে হুজুর শান্তনা চিত্তে বলল কোন চিন্তা করো না অবশ্যই আল্লাহ তোমাকে তোমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করবেন। তুমি কি জানোনা মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে এরশাদ করেনঃ
(হে নবী,) বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (৩৯ আয-যুমার,আয়াত: ৫৩)
হুজুরের মুখে আয়াত টা শুনে নিজের ভিতর অনেক টা ভালোলাগা কাজ করল। তাহলে হয়তো আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করলেও করতে পারে। আর দেরি না এখুনি প্রত্যবর্তন করব আমার রবের দিকে। তিনি হয়তো আমাকে ক্ষমা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে। কেননা তিনি তো বলেছেন বান্দা তাঁর দিকে এক বিঘাত পরিমাণ অগ্রসর হলে তিনি বান্দার দিকে দুই বিঘাত পরিমাণ অগ্রসর হয়। সুবহানাল্লাহ কতই না মহান আমার রব!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now