বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

নন্দিনী ~ সারোওয়ারে জুলফিকার

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সারোওয়ারে জুলফিকার (০ পয়েন্ট)

X বহুত বছর আগে আপনে একবার বলছিলেন, "আমাদের এইখানেই শ্যাষ"। তারপর কলমের একখান লম্বা দাগ ফাকা চিঠির শ্যাষ মাথা অবধি নিয়া গেছিলেন। শ্যাষটায় আমি কিছুক্ষণ তব্ধা খায়া চায়া ছিলাম। না, সেইদিন আমার কোন চাওয়া ছিলো না। চাওয়া পাওয়ার হিসাব অবশ্য আমার কোন কালেই ছিলো না। অংকে বহুতবার ফেল মারা লোক আমি। এতো হিসেবের দরকার কি? তারপর কত শীত আইসা আবার চইলা গ্যালো। মেহগনি ন্যাড়া হয়া শীত শ্যাষে কচি পাতা নিয়া আবার চ্যাগা দিয়ে উঠলো। আমাদের দ্যাখা হইল কই? ওহ! আমার তো আবার চাওয়া পাওয়া নাই। তা অবশ্য কোন কালেই ছিলো না..। তার আরও কিছু পরে আপনে লিখলেন। তখন আপনে দুই দুইখান ধামড়া পোলার মা। আমি শিওর, শালার পুতেরা আমারে দেখলে মামা কয়া ডাইক্কা নিজের মায়ের হয়া প্রতিশোধ নিতো। যদিও এইখানে উলটা ঘটার কথা। অবশ্য ঈশ্বর সবসময় উলটা কামটাই করে। সে যাইহোক, আপনে লিখলেন আপনার স্বামীর চাওয়া পাওয়ার কথা, যেইখানে আমার কোন কিছু চাওয়ার ছিলো না, সেইটা লিখতেও ভুললেন না। চিঠিতে আমি আপনার হতাসাগ্রস্থ মুখ পইড়া বেশ আনন্দিত ও পুলকিত হইলাম। ভাবলাম, যাক অবশেষে নন্দিনী তবে ফিরিতেছে। অবশ্য দুই দুইটা বাচ্চার কি হইবে এই নিয়া আমার চিন্তার অন্ত ছিলো না। তারপর আর লিখলেন কই? বোধ স্বামীর সাথে চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিট্টা গ্যাছে। তারপর বহু বছর কাইটা গ্যালো। কতো শীত, বসন্ত আর ফাডা কপালী গ্রীষ্মগুলান চইলা গ্যালো। আমি বিয়া করছিলাম কি না মনে নাই। আপনে বুড়ি হইলেন। সেই পর্বে আমার সাথে দ্যাখা। দেইখেই কইলেন, "কি নেদু দা শেষমেশ অংকে কি পাশ করেচিলে?' আমি রহস্য কইরা বললাম, "আমি তো শ্যাষটায় ফেইল মারছি, তোমার নাতির অবস্থা কি?" নাতির দিকে তাকায়া কলাম, "কওতো বাবু উনিশ আর কুড়ি কত হয়"? ওর দামড়া নাতিটা ছ্যাত কইরা কয়া উঠলো "উনচল্লিশ"। কি এক অবস্থা। শালা আজ কালকার নয়া মাস্টাররা বাচ্চাগুলানরে এতো পড়াচ্চে, কি আর কবো। দুই চারট্যা অংক ধইরা সুভিদা করন যায় না। বুদ্ধি কইরা নাতিটার কান ধইরা কইলাম, "নাতি তুমি তো বুদ্ধির খ্যালাত ফেইল মারছো, আমি তো তোমারে যোগ করতে বলি নাই"। কানটা কতো আস্তে ধরলাম, আর দামড়াটা কচি খুকির মতো চিক্কুর দিয়া উঠল। বুড়িটাও ছল পায়া আমার রোমিও স্টাইলের পাকা লম্বা চুল ধইরা টানাটানি শুরু করল। মুহুর্তেই ঘুম ভাইঙ্গা গেলো। ফোনে রিংটোন বাজতেছিল। নিজে নিজের শরীরে হাত দিয়া চেক করতেছিলাম। নাহ, আমিতো বুইড়া নই, আর ওইটাও স্বপ্ন ছিলো। তখনও টিনের চালে টপটপায়া পড়তেছিল শীতের শিশির। ফোন ধইরা আমারে বুইড়া থিকা জোয়ান পোলায় বানানোয় বন্ধুরে শুকরিয়া জানাইলাম। এতো সকালে যেইখানে কল দেয়ার অপরাধে ওর চৌদ্দ গুষ্ঠি তুইলা গাইল পারতাম, সেইখানে আজ আবল তাবোল শুকরিয়া জানানো দেইখা বন্দু আমারে পাগল ভাইবা কল কুচ কইরা কইটা দিল। অবশ্য কিছুক্ষণ পর নন্দিনীটা কে সেইটাই মনে করবার পারছি না। আসলেই তো, নন্দিনী এইটা আবার কে?


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now