বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অপূর্ণ ভালোবাসা-১০
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ
প্রিয়তমা আমার গ্রাম থেকে পদচারণ করল তার
আপন বাসভবনে। তার চোখের কোনা দিয়ে তখনো না পাওয়া আপসোস এর এক নিরব জলের বারিধারা বেয়ে পড়ছিল জমিনের বুকে। সারাটা দিন কারওর সাথে তেমন কোন কথা বলেনি। একাকী ভাবে নিস্তব্ধ থেকে কাটিয়ে দিয়েছে গোটা দিনের অর্ধাংশ। নিশুতি রাত্রিবেলা জানালার পাশে উপবিষ্ট হয়ে তাকিয়ে
দেখছে তারাভরা ঐ কালো আকাশ টা। নিজে নিজেই কি যেন ভেবে যাচ্ছে প্রতিটা মূহুর্ত। হঠাৎ
স্মরণ হলো চিঠি টার কথা। খামের ওপর ধুলার বিন্দুকনা জমে থাকা এক অপূর্ণ প্রেমিকের সাদা কাগজের মাঝে নিজের চোখের জলমিশ্রিত লেখা তার ব্যাগ থেকে বাহির করল। নিজেও চিঠি টা পড়ার জন্য তেমন প্রস্তুত না,তারপরও সে পড়তে শুরু করল তার কাছের মানুষটার লেখা জীবনের শেষ চিঠি।,,,,
প্রিয়, হঠাৎ নবাগত পাখি,,, আশা করি চিঠিটা পড়ার সময় তুমি নিজেকে খুবই একাকী অনুভব
করছ। হয়তোবা সময় চোখের কোনা দিয়ে ঝঁড়ে
পরছে ভালোবাসার অশ্রুধারা, যেটা জমিনের বুকে এসে পরিবেশকে করছে সুশোভিত। আমি জানিনা চিঠি টা যখন তুমি পড়বা আমি এই ধরার বুকে থাকব কিনা? যদি থাকি তাহলে আমার কাছে চলে এসো আর যদি না থাকি তবে
তোমার যেটা ভালো লাগে সেটাই কইরো। কোন এক পড়ন্ত বিকালে তুমি আমার থেকে পারি জমায়ছিলে অনেকটা দূরে। এতটা দূরে যে চারটা বছরে মধ্যে তোমার কোন দেখা মিলেনি। আজ তোমার কথা খুব মনে পরছে। তোমার ঐ কাজল মাখা চোখ দুইটি চোখের সম্মুখে ভাসমান হচ্ছে বারংবার। তোমার মায়াবী চেহারাটা মনে পরছে হাজারবার। একবারের জন্য হলেও তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। প্রকৃতি হয়তো সেটা চায়না এই জন্য আজও তোমার দেখা আমি পাইনি। আজ উদাস দুপুরে তোমার স্মরণে রেখে যাচ্ছি আমার সৃতি। যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম অন্তরের অতল গহব্বরে নিজে নিজেই বেঁধেছিলাম তোমার জন্য এক বৃহৎ কুটির। যেখানে শুধু তুমি আর আমি থাকব,কিন্তু সেটা হয়তো আর কোনদিনই সত্য হবেনা। আসলে কিছু কিছু স্বপ্ন এই পৃথিবীতে পূরণ না হলেও পরবর্তী কালে হয়তো পূরণ হয়। তুমি হঠাৎই আমার জীবনে আগমন ঘটিয়েছিলে আবার হঠাৎই তীর্থগমন করলে। কোনদিন বোধগম্য হয়নি যে এইভাবে তুমি চলে যাবে। তুমি চলে যাওয়ার পরে প্রতিটা মূহুর্তে তোমার কথা ভেবেছি। তোমার রেখে যাওয়া সৃতিগুলো নিজের কাছে আগলে রেখে পাড় করেছি প্রতিটা প্রহর। আশায় ছিলাম হয়তো কোন শীষের ভেজা ভোরে হঠাৎ তুমি আমার কাছে এসে আমার প্রশান্তির নিদ্রাকে ভেঙে দিবা কিন্তু তুমি আজও আসোনি। তোমার
অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ছিলাম প্রতিটা মূহুর্ত। এমনকি এখনো আছি। জীবনে যতদিন থাকব তোমাকেই স্মরণ করব। তোমাকে তেমন কিছু দিতে পারিনি, এই লেখা টা রেখে গেলাম শুধু তোমারই জন্য। যদি কোনদিন তোমার হাতে এই লেখাটা পৌঁছায় তাহলে আমার শেষ সৃতি হিসাবে নিজের হৃদয়ের গহিনে সংরক্ষণ করে রেখ। আজ এই পর্যন্তই,, তোমার শরীরের প্রতি যত্নশীল হয়েও। যদি কোনদিন দেখা তাহলে শুকরিয়া,, আর যদি কোনদিন দেখা না হয় তাহলে জেনে রেখ দেখা হবে কোন এক কালে কোন এক জায়গায় কোন এক প্রহরে। আসলে জীবনতো এটা কিছু কষ্ট অন্তরে পোষণ করে, কিছু স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা।
ইতি,
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ থাকা এক অপূর্ণ প্রেমের প্রহরী।
চিঠিটা পড়ার পর সে খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে গেল। সে কখনো অনুধাবনও করতে পারেনি যে, একটা ছেলে তাকে এতটা আপন করে নিবে। পরিশেষে সে খুবই কাঁদতে থাকল এবং নিজেকে বলতে থাকল একবারে জন্যই যদি আমার কাছে আসত! মাত্রাতিরিক্ত চিন্তার জন্য সেও স্টোক করে চলে গেল পৃথিবীর সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে এক অজানা অচেনা জগতে। চিঠি টাও পরে রইল তার পাশে। অন্তিম হয়ে গেল এক অপূর্ণ ভালোবাসা। জানিনা তারা কেমন থাকবে তবে দোয়া করি তারা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক। আমি জানিনা গল্পের শেষটা কেমন হয়েছে! তবে আমার সাধ্যনুযায়ি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ সকল পাঠকে। ( নিজেদের মন্তব্য অবশ্যই লিখে যাবেন)।
বিঃদ্রঃ এই অপূর্ণ ভালোবাসা সিরিজটি বাস্তব ও কাল্পনিক সমন্বয়ে। বিশেষ করে পার্ট ৬-১০ সম্পূর্ণ কাল্পনিক। সুতরাং কারওর সাথে মিলে গেলে আমার কিছু করার নেই। আমার চিন্তায় যেমন এসেছে তেমনই লিখেছি।{ আপনাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গল্প আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন},,,, ধন্যবাদ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now