বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মুসলিম উম্মার আদর্শ

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X মুসলিম উম্মার আদর্শ লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, কাক ভেজা বৃষ্টির মাঝে অঢেল ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে তিনি চলে গেলেন পাপিষ্ঠ লোক সমাজের নিকট। যারা নিজেদেরকে আবদ্ধ করে রেখেছে বিভিন্ন নিকৃষ্ট কাজের মাঝে। যেদিন থেকে তাঁর কাছে আগমন করেছে আসমানী বানী,সেদিন থেকে তিনি কখনো নিজের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দেননি বরং তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে তাঁর রবের আদেশ, মানবসম্প্রদায় এর কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য। কত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে তিনি ইসলামকে ছড়িয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন আঙিনায়। তাঁর চরিত্র অবলোকন করে সকলে বিমোহিত হয়েছে। সিংহভাগ মানুষই তাঁর আদর্শ গ্রহণ করে পরিচালনা করেছে নিজেদের জীবন। আজও মুসলিম সমাজের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজমান রয়েছে তাঁর দেখানো পন্থা। প্রতিটা মুসলিম নর-নারী নিজেদের চলার পথে সর্বক্ষেত্রে তাঁকে অনুসরণ-অনুকরণ করে চলার চেষ্টা করে। তিনি শিখিয়ে গেছেন জীবন পথে চলার সময় কুরআন সুন্নাহ কিভাবে আলিঙ্গন করে পথ পারি দিতে হবে। অনেকে নিজের পিতা মাতাকে ছেড়ে চলে এসেছে তাঁর কাছে। আবার অনেকে নিজের বাব-দাদার ধর্ম রেখে গ্রহণ করে নিয়েছে তাঁর ধর্ম। নিজের জীবনের সব ভয়কে জয় করে রুখে দাঁড়িয়েছে কাফিরদের বিরুদ্ধে। কোন এক উদাস দুপুরে তিনি দাওয়াতি কাজ করে ক্লান্ত স্লান্ত শরীর নিয়ে ফিরেছে আপন নীড়ে। পাক-পবিত্রতা অর্জন করে দাঁড়িয়ে গেছে নামাজের পাঠিতে, কাফিররা অবহিত হয়ে তাৎক্ষণাৎ এসে তাঁর পিঠের উপর রেখেছে উঠের পচা নারি-ভুরি। এইভাবে নানান উপায়ে তারা এই মহান মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। তারপরও তিনি কখনো ঐসমস্ত মানুষদেরকে বদদোয়া দেয়নি বরং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের জন্য দোয়া করেছেন। কাফির মুশরিকদের এত কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে কোন এক নিকষ কালো আধারে ঘেরা রজনীতে নিজের চোখে জল মাতৃভূমিতে ফেলতে ফেলতে হিজরত করেছে নিজের সবথেকে কাছের বন্ধু হযরত আব-বকর সিদ্দিক রাযিঃ কে নিয়ে। এমনকি কি কাফির মুশরিকদের অত্যাচারের জন্য তিনি প্রকাশ্যে দিবালোকে পথ অতিক্রম করতে পারেননি বরং তিনি পথ চলেছেন রাতের আধারে। তাঁর গন্তব্য স্থান মদিনায় আসবার পরে মদিনাবাসী তাকে সাদরে গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষায় থাকে অনেকটা প্রহর। অবশেষে অনেকটা পথ পারি দিয়ে যখন নিজ গন্তব্য পৌঁছালো সকলে আনন্দ ভরা হৃদয় নিয়ে গ্রহণ করে নিল তাঁকে। এখানেও আরম্ভ করল দাওয়াতি কাজ। সকল মানুষদের কে আহ্বান করল একত্ববাদী খোদার দিকে। মানুষেরা দলে দলে ইসলামের ভিতর দীক্ষিত হলো। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ইসলাম হয়ে উঠল রাষ্টীয় ধর্ম। তিঁনি হয়ে উঠলেন গোটা দেশের রাষ্টীয় নেতা। এভাবেই তিনি সকল দীনের উপর ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করলেন। সকল কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে ইসলামকে জয় করলেন। জীবনের শেষ দারপ্রান্তে এসে সকল মুসলিমদের দেখে তাঁর নেতৃপল্লব দিয়ে কি যেন এক আনন্দের অশ্রুর বারিধারা প্রবাহিত হতো। কোন এক কষ্টে ভরা প্রহরে তিনি আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন তাঁর রবের কাছে। গোটা ভূবণ তাঁর জন্য কেঁদে গেলেন। হযরত ওমরতো মানতেই চাইছিল না যে আমাদের রাসুল সাঃ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তারপর আবু বকর সিদ্দিক রাযিঃ তাকে বুঝাইলেন। এইভাবে গোটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একজন মহান মানব এর জীবনের অবসান ঘটল। আজও মুসলিম উম্মাহ তাঁর জীবনীকে অনুসরণ করে নিজেদের জীবন পথ পারি দিচ্ছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি রয়ে যাবেন প্রতিটা মুসলমানের অন্তরের ভিতর। তিনি আমাদের সকলের আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৪০ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now