বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
সূর্যাস্তের সোনালী আভা ম্লান হতেই, আকাশের বুকে জেগে ওঠে এক রহস্যময় চাঁদ। নিজেকে তারার মালায় জড়িয়ে একাকী বসে থাকে। পৃথিবীর দিকেই তার দৃষ্টি নিবদ্ধ। যেনো রাতের নীরবতায় সে এক অজানা গল্প বলা শুরু করে। কখনো সে পূর্ণিমার রূপে রাতের আঁধারকে দূর করে মিষ্টি আলো ছড়িয়ে দেয়, আবার কখনো অমাবস্যার রহস্যে নিজেকে আড়াল করে রাখে। আবার কখনোবা আলো ছড়াতে চাইলেও ঘন কালো মেঘ এসে তার আলোকে গ্রাস করে ফেলে।
চাঁদের এই রূপ-পরিবর্তন যেন জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। কখনো আমরা আনন্দের আলোয় ভরে ওঠি, পূর্ণিমার চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে হয়ে উঠি। আবার কখনো দুঃখের কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যাই, অমাবস্যার চাঁদের মতো নিজেকে আবদ্ধ করে রাখি।
কিন্তু চাঁদ কি কখনো হতাশ হয়? না, কখনোই না। কারণ সে জানে, এই আঁধার চিরস্থায়ী নয়। সে সবসময় আশাবাদী থাকে ও ধৈর্য ধারণ করে। সে জানে অমাবস্যার পর আবার আসবে উজ্জ্বল পূর্ণিমা। ঝড়ের পরে দূর হবে আকাশের কালো মেঘ। ঠিক তেমনটাই ঘটে আমাদের জীবনেও। দুঃখের দিনগুলো চলে যাবে, আনন্দের নতুন সূর্যোদয় হবেই।
চাঁদ যেমন তার আলো দিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করে, ঠিক তেমনই আমাদেরও উচিত আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং জ্ঞান দিয়ে অন্যদের সাহায্য করা।
আর এভাবেই সে প্রতি রাতে তার গল্প বলে যায়। তার প্রতিটি গল্পে আছে ধৈর্য, আশাবাদ, এবং অন্যকে সাহায্য করার মহৎ মনোভাব। আমাদের সকলেরই উচিৎ চাঁদের এই গল্প নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা। তাহলে আমরাও কোটি কোটি তারার মাঝে চাঁদের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারবো।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now