বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অপূর্ণ ভালোবাসা-৫
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,,
সবুজে আচ্ছাদিত গ্রামে বসবাস করে মায়া। পরিবেশের সাথে এক নিবিড় সম্পর্ক তার। মায়া নিজের কাজের প্রতি খুবই যত্নশীল। প্রতিদিন স্কুলে যথারীতি উপস্থিত হয়। সবে মাত্র যৌবনে পদার্পন করেছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সে মিয়া নামে এক ছেলেকে খুবই পছন্দ করত। মিয়াও তার মায়াকে অনেক পছন্দ করত। মায়া এখন মাধ্যমিকের গন্ডি অতিবাহিত করে কলেজে পদচারণা ঘটিয়েছে। মিয়াও হয়তো কোন এক কলেজে ভর্তি হয়েছে। অনেক দিন হলো তাদের একজন আরেকজনের সাথে তেমন কোন যোগাযোগ নেই। হঠাৎ একদিন মায়া তার নিজস্ব কাজের জন্য বাজারে এসেছে। সেখানেই আচমকা মিয়ার সাথে দেখা। মায়া তো কখনো কল্পনাও করতে পারিনি যে মিয়ার সাথে দীর্ঘ একবছর পর এইভাবে বাজারের ভিতর দেখা হবে। দুইজনে একে অপরের দিকে নিজ নিজ দৃষ্টিতে গভীর ভাবে চেয়ে আছে। যেন চিৎকার করে আপনার ভাষায় বলতে চাই আমাকে ছেড়ে তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে। কিছুক্ষণ পর মায়া তার সাথে কথোপকথন শুরু করে। তারা দুইজন এক নিস্তব্ধ পরিবেশে উপবিষ্ট হয়ে নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া
সমস্ত ঘটনা বলতে থাকে। মায়া বলে লেখাপড়ার জন্য আমাকে বাড়ি থেকে বাহির হতে দেয়নি। এই জন্য তোমার সাথেও দেখা করতে পারিনি। মিয়াও বলে আমার বাড়ি থেকেও চাপ সৃষ্টি করে এইজন্য স্কুলেও আসিনি আর তোমাদের সাথেও দেখা করতে পারিনি। তারপর হঠাৎ একদিন বাবা এসে বলল আজই আমরা এই শহর ছেড়ে চলে যাব। তখন কি আর করা কাউকে জানাতে পারিনি। আজই এলাম এই গ্রামে। আর দেখ বিধাতারও কি ইচ্ছা এসেই তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো। যাইহোক এখন কি করছো। মায়া বলল এইতো কলেজে পড়ি। তুমি কি করো এখন? মিয়া বলল আমিও তবে আমার ডিফেন্সে চাকরি করার খুব শখ। এইজন্য আবেদনও করেছি,দেখি কি হয়! মায়া তার সাথে আবারও সবকিছু শুরু করতে চাই,কিন্তু মিয়া বলে সেটা এখন সম্ভব না। সামনেই আমার একটা চাকরির পরিক্ষা আছে। আমাকে সেই দিকে সর্বচ্ছো মনোযোগ দিতে হবে। মায়া বলে ঠিক আছে তোমার চাকরির পরেই সব কিছু নতুন করে শুরু করব। মায়া ও মিয়া আজকের মতো বিদায় নেয়। মায়া বাসায় এসে মিয়ার জন্য নামাজ রোজা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকে। অবশেষে মায়া জানতে পারে যে,মিয়ার ডিফেন্সের চাকরি টা হয়ে গেছে। এরপর মায়া মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করে,কিন্তু মিয়ার কোন খোঁজ পাইনা মায়া। এক পর্যায়ে সে মিয়ার আশা ছেড়েই দেয় কিন্তু হঠাৎ এক সময় সে জানতে পারে যে ডিফেন্সের চাকরির পর সে অন্য এক মেয়েকে বিবাহ করে সংসার করতে শুরু করে। আর এদিকে মায়া তার অপূর্ণ ভালোবাসার মানুষের জন্য বছরের পর বছর দিনগুনতে শুরু করে। আমাদের সমাজে এমন হাজারও মায়া আছে যাদের ভালোবাসা টা আজীবন অপূর্ণ ভালোবাসা হিসাবেই থেকে যায় জীবন নামক এক বৃহৎ সাহিত্য ভান্ডারে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now