বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

শেষ দিনের কথা

"শিক্ষণীয় গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X শেষ দিনের কথা লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, একলা পথে হেঁটে চলছি অজানা গন্তব্যে। জানিনা কোথায় গিয়ে থামব। পথিমধ্যেই দেখি মেটো পথে বসে আছে ঐ পাড়ার আনসার দাদা। তাকে দেখে আমিও তার পাশে বসলাম। জিজ্ঞাসা করছি দাদা একলা বসে এখানে কি করছো? আসলে গ্রামের সকল দাদাদের সাথে আমার সম্পর্কটা খুব মধুর। মাঝে মাঝে তো মনে করি তারা সকলেই আমার খুব আপন। সে বলল একা একা ভালো লাগছে না তাই অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর ঐ নীল আকাশটাকে আপন দৃষ্টিতে নিজ করে নিচ্ছি। দাদা জিজ্ঞাসা করল তা তুই এখন এখানে কি করছিস? আমিও নিজ ভাষায় বললাম যে, নিস্তব্ধ এই সুন্দর ধরণীকে কাছের থেকে অবলোকন করার জন্য একা একাই চলে আসলাম এই জায়গায় এসেই তোমাকে দেখতে পেলাম। তা এখন তোমার শরীরটা কেমন আছে? সে যেন এক আবেগ ভরা কন্ঠ নিয়ে বলে উঠল খুব একটা ভালো নেই। হয়তো বেলা ফুরিয়ে এসেছে। কখন যে এই মায়াবী পৃথিবী থেকে প্রস্থান ঘটাব তা জানিনা! দাদার কথা শুনে আমারও মনে ভিতর একটু খারাপ লাগা কাজ করল। আসলে দিনশেষে আমাদের সকলকেই এই সুন্দর ভূমন্ডল ছেড়ে চলে যেতে হবে। তোদের বয়সে কত রকমের কাজ করেছি। ভালো মন্দ সব ধরনের কাজ ঐ সময় করে গেছি। এখন ভয় হয় আল্লাহ কি ঐসমস্ত কাজের জন্য ক্ষমা করবে! (দাদা বলল)। আমি তাকে বললাম চিন্তা করার কোন কারণ নেই অবশ্যই আল্লাহ আপনার সমস্ত গোনাকে ক্ষমা করে দিবেন। যদি আপনি আল্লাহর কাছে সঠিক ভাবে তাওবা করতে পারেন। তাছাড়া আমাদের নবীজী সঃ তো বলেই গেছেন বান্দা যখন তার পাপরাশি নিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে যায় এবং ক্ষমা চায় তার এই অনুশোচনা দেখে আল্লাহ এত বেশি খুশি হয় যে কোন ব্যাক্তির মরুভূমির ভিতর তার বাহন হারিয়ে যাওয়ার পর সেটা খুজে পেলে যেমন খুশি, তার থেকে আল্লাহ বেশি খুশি হয় । (হাদিস)। আর আল্লাহ তায়ালা তার অতীতের সমস্ত গোনা ক্ষমা করে নেকিতে পরিবর্তন করে দেয়। (কুরআন)। কথা গুলো শুনে দাদা খুব খুশি হয়ে উঠল। আসলে এই বয়সে মানুষের মৃত্যুর ভয়টা সবথেকে বেশি। প্রতিটা পদে পদে তারা মৃত্যুকে স্মরণ করে। এছাড়াও দাদা আমাকে তার যৌবন কালের নানা রকমের গল্প করে শোনাল। আমিও খুব মনযোগ সহকারে তার কথাগুলো শ্রবণ করলাম। মনে মনে ভাবলাম এই সমস্ত মানুষ গুলো আমাদের থেকে চলে গেলে আর হয়তো কখনও এত সুন্দর গল্পগুলো শুনতে পারবো না। কত কষ্ট করেছে তাদের জীবনে। আমিও তার সাথে জমিয়ে গল্প করতে শুরু করলাম। কখন যে সন্ধ্যা নেমে গেল বুজতেই পারলাম না। তা দাদা সন্ধ্যা হয়ে গেল তো বাড়ি যাবেন না? আর বাড়ি এখন তো আসল বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। (দাদা বলল)। চলেন আপনাকে বাসায় রেখে আমি আমার বাড়ি যাবানে। ঠিক আছে তাহলে চলো। আমরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে আসলাম। রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘরে শুয়ে শুয়ে আনসার দাদার কথা চিন্তা করছি। আসলে মানুষ বৃদ্ধ হয়ে গেলে কত পরিবর্তন হয়ে যায়। এমনত অবস্থায় মসজিদের মাইকে দক্ষিণা বাতাসের সাথে ভেসে আসছে যে উত্তর পাড়ার আনসার আলী আজ রাত ৮:০০ টার দিকে ইন্তেকাল করেছে। আমিতো নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছি না। এইতো একটু আগে তাকে বাসায় রেখে আসলাম। সারা বিকাল কত গল্পই না দুইজন করলাম। পরিশেষে তার দাফন কাফন শেষ হলো। আর আমি একা একা ঐ জায়গায় বসে চিন্তা করতে থাকলাম তার শেষ দিনের কথা। (যেখানেই থাকবেন ভালো থেকেন),,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৩৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now