বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
প্রীতির বাসায় এসেই – তমালের ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। প্রীতির মা গত ৭ বৎসর যাবৎ প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। তার রুমে ঢুকতেই তমালের গা গুলিয়ে বমি আসলেও ঠিক আসে না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে এনে, রুমে কিঞ্চিত উঁকি দিয়ে বলে, কাকি কেমন আছেন?
-আঁধশোয়া অসুস্থ মহিলা তমালের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতে প্রায় দেড় মিনিট সময় নেয়।
-তমালকে দেখে সে চিনতে পারে না। ঘাড়টা আবার ঘুরিয়ে নেয়। তমাল এতে ভীষণ অপমানিতবোধ করে ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। প্রীতি আসে, তমালকে ঠেলে রুমে ঢুকে যায়। নোংরা কাঁথা-কাপড় সরাতে সরাতে প্যারালাইজড মা’কে বলে… ‘মা’ ওকে চিনতে পেরেছো? আমরা সিরাজগঞ্জে থাকতে ও আমাদের বাসার পাশে ছিল…ওর নাম তমাল। প্রীতির মা এবার বিরক্তির স্বরে প্রীতির মাথায় একটি চাটি মারে…প্রীতি ভুলে গিয়েছিলো এই রুমে একজন পুরুষ মানুষ আছে। আর পর-পুরুষের সামনে প্রীতির মা নিজেকে উলঙ্গ হতে দিতে কখনো চায় না।
প্রীতি তমালকে চোখের ইশারা দিয়ে বলে..তুই আমার রুমে গিয়ে বস!
প্রীতির রুমে আসতেই তমাল মুগ্ধ চোখে রুমটা অবজার্ভ করে। এই রুমটা ভীষণ পরিপাটি….বিছানা দেখলেই ঘুম চলে আসে। মাথার কাছে রাখা বড় একটি টেডি বিয়ার। আর বামপাশে..রাখা কোলবালিশ। মাথার কাছে বালিশের ওপরে রাখা একটি নকশি কাঁথা। তমাল এগিয়ে যায় বিছানার দিকে…..নকশি কাথাটি হাতে নিয়ে নিজের নাকের কাছে ধরতেই অদ্ভুত একটা সম্মোহনী শক্তি জেগে ওঠে। এক নিশ্বাসে চোখের সামনে ভেসে ওঠে শৈশবের সব পুরণো স্মৃতি! সেই আবেগ। বুকে দুরু দুরু অনুভূতি!
.
(চলবে)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now