বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আবৃত্তি : আম্মু তাড়াতাড়ি খেতে দাও।খেয়ে আমাকে এখনি যেতে হবে,মালা অপেক্ষা করছে।
শীলা বেগম: যাবি ভালো কথা তা আরামে খেয়ে যাবি না।ক্লাস শুরু হতে দেরি আছে, আমাকে শিখাতে আসিস না।
আবৃত্তি : ঠিক আছে আমার সোনা মা এবার তো খেতে দাও, নয়তো যেতে দেরি হয়ে যাবে।
শীলা বেগম : হুম দিচ্ছি, একটু পর উনি খাবার টেবিলে রাখলেন।খেয়ে সুন্দর করে যাবি,দুষ্টুমি করবি না যেনো।
-ঠিক আছে।আবৃত্তি মনের সুখে খেয়ে ওর মাকে ডাকতে লাগলো।আম্মু আম্মু আমমমমমমমমমমম্মু.......................
শীলা বেগম :কি হয়েছে এমন ষাঁড়ের মতে চেচাচ্ছিস কেনো?
আবৃত্তি :হি হি আমার সোনা মা, প্রাণু মা হাসি দিয়ে বললো টাকা দাও কিছু লাগবে।
শীলা বেগম :তাই বল, এই নে এবারি শেষ আমি আর দিতে পারবো না।যা বলার তোর আব্বু কে বলবি।
- ঠিক আছে দাও,(মনে মনে যতই যা বলো না কেনো আমি তো জানি তুমি আমাকে দিবে)।আম্মু আমি গেলাম গালে চুমু দিয়ে টা টা।
- পাগলি মেয়ে, সাবধানে যাবি।
.
.
.
আবৃত্তি : চল মালা স্কুলে যাই।আজ একটু দেরি হয়ে গেলো কিছু মনে করিস না।এর জন্য তোকে আমি ফুসকা খাওয়াবো।
মালা: হয়েছে হয়েছে এবার চল দেরি হয়ে যাচ্ছে। একটা দিন ও তুই আগে আসিস না।প্রতিদিনই একি রকম করিস।
আবৃত্তি : আর হবে না এবার চল।নয়তো স্যার আজ মারবে,আমি মার খেতে চাই না।
মালা: হুম। চল..
.
.
.
- ক্লাসে আসার পর, একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা লেগে নিচে পরে গেলো আবৃত্তি।
আবৃত্তি : ঐ কেরে চোখ কই থাকে শুনি।
- সরি সরি আমি আসলে দেখতে পাইনি,তুমি কি বেশি ব্যাথা পেয়েছো।
- ঠিক আছে,আমার ও আর একটু সাবধান হওয়া উচিত ছিলো।
-মেয়েটি হাসি দিয়ে বললো...
হাই,আমি সাথী তোমার নাম কী?
- আমি আবৃত্তি। এবার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি,শাপলা শাখা।
- ভালোই হলো আমিও সেইম।
- চলো একসাথে যাই।আজ থেকে আমরা বন্ধু, চলো।
- না যাবো না।বন্ধুত্তে কোনো তুমি নেই শুধুই তুই।
সাথী হেসে বললো এব্যাপার , চল যাই।
রুমে গিয়ে সাথীর সাথে মালার পরিচয় করিয়ে দিলো এবং ওরা তিনজন এখন বন্ধু।
হাসি মজায় ওদের ক্লাস শেষ হলো।গেটের বাহিরে এসে আবৃত্তি বললো চল আজ আমি তোদের ফুসকা খাওয়াবো।
তিনজন ফুসকা খাচ্ছে আর হাসছে।এতো মরিচ দিয়েছে যে কথাই বলতে পারছে না।মুখ লাল হয়ে গেছে।
ফুসকা খাওয়ার পর সাথী চলে গেছে, মালা আর আবৃত্তি হাঁটছে।
আবৃত্তি : মালা দেখ ঐ লোকটি কেমন করে তাকিয়ে আছে।
মালা: কথা না বলে চল চলে যাই।
মালা আর আবৃত্তি বাড়ির রাস্তায় চলে গেলো।
আবৃত্তি বাড়ি এসে মাকে ডাকছে। আম্মু শরবত দাও। খুব খারাপ লাগছে যা গরম।
শীলা বেগম : এই নে, আর শোন প্রকৃতি আজ চলে আসবে।তোর ছোট মামা ও আসবে।
আবৃত্তি : কি মজা ছোট মামা আসবে।আম্মু আমি কিন্তু এবার ছুটিতে মামার বাড়ি যাব।অনেক বছর হলো যাই না।আর হা প্রকৃতি একা একা অনেক দিন থেকেছে।
-আবৃত্তি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে একটু ঘুম দিলো।আর ঘুম ভাঙলো চেচামেচিতে।
-আপু কেমন আছো,অনেক মিস্ করেছি তোমাকে।তুমি তো গেলে না।
আবৃত্তি : হয়েছে এবার থাম।চল মামার সাথে আজ বিকেলে ঘুরবো।
প্রকৃতি: চলো চলো মামাকে বলি,এখনি যাবো তাড়াতাড়ি করো আপু।
- আবৃত্তি আর প্রকৃতি ওদের মামাকে নিয়ে সারা বিকেল ঘুরাঘুরি করলো।বাসায় ফিরতে ওদের রাত হলো এবং ওরা ডিনার করেই এসেছে।
.
।
।
।
রাতে যে যার রুমে ঘুমিয়ে পরলো।
- পরের দিন সকালে মালা আর আবৃত্তি স্কুলে গেলো। রাস্তায় সেই ছেলেটা কে দেখা গেলো কাঁধে স্কুল ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে।
আবৃত্তি : কি ব্যাপার বল তো ঐ ছেলে রোজ রোজ দাঁড়িয়ে থাকে কেনো?
মালা: চোখ আড়াল করে বললো সে আমি কি জানি।চল বাড়ি চল,
-দেখতে দেখতে পরীক্ষা চলে আসলো,আজ ওদের পরীক্ষা,
মালা চলো সীট খুঁজে বের করি।
দুজনের সীট আলাদা পরেছে তাই ওদের মন খারাপ।পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর দুজনই খুব খুশি পরীক্ষা ভালো হয়েছে।
সব গুলো পরীক্ষা শেষ হয়েছে। স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে তাই আবৃত্তি মালাকে পার্কে আসতে বললো।
- মালা আগেই পার্কে চলে গেলো,একটা বেঞ্চে বসে আছে। তখন সেখানে উদয় এসে মালার পাশে বসলো।
উদয়: মালা তুমি কি আর আমাকে ভালোবাসো না? কেমন দূরে দূরে থাকো।
মালা: হঠাৎ কারো কথায় মালা ভয় পেয়ে গেলো।উদয় তুমি,তুমি এখানে কেনো? চলে যাও প্লিজ এখনি আবৃত্তি চলে আসবে।আমি পরে তোমার সাথে কথা বলবো।
উদয়: কথা দাও আজ রাতে তোমাদের বাড়ির পিছনে দেখা করবে।তোমার জন্য আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
মালা: ভয় পেয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর বলছে ঠিক আছে এখন তুমি যাও।
- উদয় আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই এ সুযোগে মালার ওষ্ঠে ওষ্ঠ আলতো করে ছোয়ে চলে গেলো।
আবৃত্তি : কিরে মালা এমন ঘামছিস কেনো? কি হয়েছে বল।
মালা: মেকি হাসি দিয়ে বললো কই কিকিছু না তো।
আবৃত্তি : চল আজ দুজন হাঁটবো, কাল আমি মামার বাড়ি যাব।
- তারপর দুজন হাঁটতে লাগলো।
রাতে মালাদের বাড়ির পিছনে উদয় এসে দাঁড়িয়ে আছে।মালার জানালার পাশে এসে শব্দ করলো যা শুনে মালা বুঝতে পারলো উদয় এসেছে।
মালা: মুক্তা শোন আর পড়তে হবে না এখন ঘুম দে।মুক্তা মালার কথা শুনে ঘুমিয়ে পরলো।
- মালা চুপি চুপি নিচে নেমে এলো। উদয় কি বলবে বলো,কেউ চলে আসলে।
উদয়: মালা তুমি কি আমাকে এড়িয়ে চলছো।তোমাকে ভালোবাসি আমি কেনো বুঝো না।কথা বলো না, দেখা করো না।
মালা: আআসলে আসলে আবৃত্তি কিছুই জানে না।ও প্রেম ভালোবাসা মানে না তাই জানাই নি।
- উদয় মালাকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে বললো ঠিক আছে বলতে হবে না।শুধু আমাকে একটু সময় দিও।
।
।
।
।
।
- এভাবেই চলতে লাগলো দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা।
আবৃত্তি ওর মামার বাড়ি থেকে এসেছে। মালাকে বলেনি তাই মালা একা একাই স্কুলে চলে গেছে । আবৃত্তি স্কুলে যাওয়ার পথে নির্জন এক রাস্তায় কিছুর শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে গেলো আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো বড় ঝোপের আড়াল থেকে ফিসফিস করে কথা আসছে।উঁকি দিয়ে দেখলো মালা আর উদয়ের অধর মিলিত।
আবৃত্তি : মাললললললা....…......
মালা উদয়ের থেকে সরে দাঁড়িয়ে হাঁপাচ্ছে, চোখে মুখে লজ্জা আর ভয়।প্রাণ প্রিয় বন্ধবীকে হারানোর ভয়।
মালা:আবৃত্তি শোন আআসলে ইয়ে মানে ………
-আবৃত্তি না শোনে চলে গেলো।
দ্রষ্টব্য : আমি একদম নতুন, লেখার চেষ্টা করছি। আপনারা যদি সাথে থাকেন তবে আশা করি পারবো। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now