বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অপূর্ণ ভালোবাসা-৩
লেখায়ঃ নাফিজ আহমেদ,,
ছোট্ট বেলা থেকে ওকে পছন্দ করতাম আমি, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারিনি কখনো। একই সাথে লেখাপড়া করতাম। দিনের সিংহভাগ সময়ই এক সাথে অতিবাহিত করতাম। ক্লাস রুমের সেই আবেগময় চিন্তাগুলো এখনো যেন ভাবায়। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে নিজের নেতৃপল্লব দুইটা ওর দিকে রেখে কাটিয়ে দিতাম ডজন ডজন মূহুর্ত। এই জন্য যে কতবার স্যারের কাছে মার খেয়েছি তার কোন ইয়ত্তা নেই। তবুও কেন যেন তার থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে রাখতে পারতাম না। জানা পড়াও না জানার অভিনয় করে ওর কাছে জানতে যেতাম। সে কখনো বিব্রতবোধ করেনি। স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ কোন অনুষ্ঠানের দিন ওর জন্য লেখা কবিতাগুলো সকলের সামনে আবৃত্তি করতাম। তবে ওকে কখনো বুঝতে দিতাম না। মেঘভাঙা বৃষ্টির দিন নিজের ছাতার তলে ওকে আশ্রয় দিয়ে রেখে আসতাম ওর বাড়িতে। মনে মনে প্রার্থনা
করতাম এই রাস্তা যেন কখনো শেষ না হয়। এভাবেই যেন দুইজন একসাথে হেঁটে পাড়ি জমাতে পারি হাজারো মাইল পথ। কিন্তু কি আর করা কিছুক্ষণ পরেই রাস্তা ফুরিয়ে পৌঁছে যায় ওর বাড়ি। আকাশ থেকে আগত বৃষ্টি যেমন জমিনের বুকে এসে আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে হারিয়ে যায় প্রকৃতির মাঝে, ঠিক তেমনই মাঝে মাঝে ওর কাছে আসাটা আমার হৃদয়ের মধ্যেখানে আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে হারিয়ে যায় স্বপ্ন দেশে। টিফিন টাইমে এক সাথে খাওয়া, কোন রকম খাবার খেয়ে সবাই এক সাথে নানান রকমের খেলা আজও যেন বর্তমান হতে চাই। কিন্তু অতীত তো অতীতি। এত চেনাজানার পরেও কখনো নিজের জীবনের সবথেকে মূল্যবান কথাটা ওর সম্মুখে ব্যাক্ত করতে পারিনি। এই না পারাটাই আমার জীবনের সবথেকে বড় ব্যর্থতা। সময় তো কারওর জন্য অপেক্ষা করে না। নিজের সামনেই সমস্ত ভালোবাসার ইতি টেনে ও চলে গেল অন্য কোথাও। আসলে ওর কোন দোষ নেই, দোষটা আমারই কেননা আমি কখনো ভয়কে জয় করে ওকে না বলা কথাটা বলতে পারিনি। সৃতির পাতায় লেখা থাকল এক অপূর্ণ ভালোবাসা।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now