বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অপূর্ণ ভালোবাসা-২

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X অপূর্ণ ভালোবাসা-২ লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, ভালোই চলছিল সময়গুলো। দৈনন্দিন কর্মব্যাস্ততার ভিতর অতিবাহিত করতাম নিজের জীবনের সোনালী সময়কে। আমার জীবনকে আমার মতো করে সাজাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যে যেটা আছে সেটাতো আর কখনো উৎখাত করা যায় না। এমন একটা বয়সে উপনীত হয়েছি সবারই নিজের মধ্যে কমবেশি ভালোলাগা বা ভালোবাসা কাজ করে। আমিও তার ব্যাতিক্রম কেউ না। নিজের যৌবনের রঙিন মূহুর্তটাতে কেবল পদার্পণ করছি। অন্তরের ভিতর তো কমবেশি চাওয়া পাওয়া থাকেই। কলেজের গন্ডি পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর মাত্র দীক্ষিত হয়েছি। সবকিছুকে নতুন করে জানছি। এরই মধ্যে উত্তরের হৃদয় জুড়ানো বাতাসের ন্যায় বিচরণ করল সে। মধ্যে রজনীতে জানালার পাশে উপবিষ্ট হয়ে দূর আকাশের দিকে একনজরে তাকিয়ে থাকি। রাতের তারাভরা গগনটা এক অমায়িক সৌন্দর্যে ভরপুর থাকে। মাঝেমধ্যে সুন্দর চাঁদটাকে নিজের হাতের মুঠোয় পেতে ইচ্ছা করে কিন্তু তাতো কখনোই সম্ভবপর নয়। তবে ওকে দেখে কেন যেন মনে হচ্ছে তারাভরা রাতের সাজানো আকাশটা থেকে চাঁদটি যেন আমার সম্মুখে এসে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তার দিকে এক অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি। নিজের ভিতরের অনুভূতিগুলো প্রশ্নের আকারে প্রস্ফুটিত হয়ে বলতে থাকে সে কি আমার দিকে তার নজরটা রাখবে। ভাবতে দেরি হলেও তার নজরটা আসতে দেরি হয়নি। একটু সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। নিজের ভিতর এক অজানা ভয় বিরাজ করছে। তারপরও সমস্ত ভয়কে জয় করে সন্ধি করলাম তার সাথে। ধীরে ধীরে সম্পর্কটা আরও অটুট বন্ধনের আটকিয়ে যেতে থাকল। কিন্তু হঠাৎ একদিন ক্যাম্পাসে কি এক জামেলার কারণে অনেক ছাত্রকে পুলিশে আটক করল। তারমধ্যে আমিও ছিলাম। এক গায়েবি মামলায় নিজের জীবন থেকে পাঁচটা বছর হস্তক্ষেপ করে নিল,সাথে আঁকানো সমস্ত স্বপ্নগুলোকেও। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারো ফিরে এলাম। তবে আর ক্যাম্পাসে যাওয়ার বয়সটা নেই। ঘুরতে গেলাম ক্যাম্পাসে। জানতে পারলাম দুই বছর আগে আমাদের ব্যাস লেখাপড়া সমাপ্তি করে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নিয়েছে। আমিতো তার বাড়ির ঠিকানাও জানিনা। তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না। হঠাং কোনএক জোছনা ভরা সন্ধায় এক বাজার দিয়ে হেঁটে চলছিলাম অজানা গন্তব্যে। হঠাৎ ই দেখা হয়ে গেল তার সাথে। পাঁচ বছর পর দেখা, অনেকটাই বদলে গেছে। কোলেও এক সন্তান। বুঝতে আর বাকি থাকল না। আমাকে দেখে এক রহস্য কান্নায় নিজের চোখের কোনা ভিজিয়ে দিল। আমিও আর স্বাভাবিক থাকতে পারলাম না। আমি তাকে বললাম জেল থেকে বাহির হয়ে অনেক খুঁজেছি তোমাকে,কিন্তু কোথাও তোমার খোঁজ মিলেনি। সে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠল, তোমাকে নিয়ে যাওয়ার পর কত যে তোমার বাড়ির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই। তবুও বারংবার আমি ব্যার্থ হয়েছি। আজ তোমাকে পেয়েও আমার কিছু করার নেই। আমি দুঃখিত। তার কথা গুলো শুনে আমি পারি জমায় সামনের দিকে এবং ভুলে যেতে চাই সমস্ত অতীতগুলোকে। বিদায়,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৪৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now