বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমার বাড়িখানা এমন জায়গায় অবস্থিত
পূর্ব দিক দিয়ে বিচার করলে সামনে একটি বাড়ি উত্তর দিকে একটি বাড়ি আর দক্ষিণ দিকে একটি পুকুর আছে আর পশ্চিমদিক মানে বাড়ির পিছনের দিকে একটি বাগান আছে। তবে বাড়ির পিছনের দিকে একটি গলি রাস্তা আছে সেই রাস্তার পর থেকে বাগান শুরু। এই বাগানটি পুকুরের পাশ বরাবর গিয়ে একটি মাথায় শেষ হয়েছে। মাঝখানে একটি স্নানের জন্য ঘাটও আছে। অর্থাৎ পুকুরের একপাশে বাগান রয়েছে আর অন্য পাশে কয়েকটি বাড়ি আছে।
তো গ্ৰীষ্মকালে মূলত কালবৈশাখী ঝড়ের সময় মাঝেমাঝে আমি আমার বাড়ির শোবার ঘরের বিছানায় বসে ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডব দেখি। এই শোবার ঘর থেকে পুকুরটা একটু দেখা যায় আর দেখা যায় বাগানের বড়ো বড়ো গাছগুলি। ঝড়ের সময় বিশেষত রাতের বেলায় একটা আলাদা মজা অনুভব করি। কারণ নিমেষে নিমেষে আকাশে বিদ্যুতের ঝলক দেখি আর ওদিকে হালকা কখনও জোরে জোরে ঝড় বয় সেই সাথে গাছেদের মাথা দোলানো দেখতে দারুণ লাগে। অন্ধকারের মধ্যেও ঐ যে ঘন ঘন বিদ্যুতের রেখা দেখা যায় তাতেই দেখি গাছগুলিকে। তার মধ্যে ঠান্ডা হাওয়া পুকুর থেকে ধেয়ে আসে বাড়ির দিকে আর আমি জানালা খুলে পরদা তুলে বসে বসে দেখি যাই আকাশের রূপ। আহা বড় চমৎকার লাগে তখন।
কত ছন্দ কবিতার কথা মাথায় আসে তখন প্রকৃতির ঐ রূপ দেখতে দেখতে। যেমন একটি দিলাম ----
"মেঘে মেঘে নেচে চলে দামিনী
তাই দেখে আনন্দে পাগল হয়ে লেখে কাব্য কোন তরুণ কবি।"
ঝড়ের সাথে মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হয় আবার বেশি জোরে নয় কিন্তু হালকা হালকা মেঘের গর্জনও শুনতে পাই। বেশ লাগে তখন।আমি তখন খালি গায়েই বসে থাকি কারণ ঐ ঠাণ্ডা হাওয়াটা গায়ে লাগাতে চাই কারণ একে তো গ্ৰীষ্মকাল বেজায় গরম তার উপর সারাক্ষণ বিদ্যুৎচালিত পাখার হাওয়া খেয়ে খেয়ে অসহ্য লেগে যায় তাই ঐ বৃষ্টির শীতল বাতাস দারুণ লাগে সেই সময়।
আমি মাকে জানিয়ে দিই ---- মা আজ খিচুড়ি করো। এই ওয়েদারে --- আহা, দারুণ জমবে। মা যে সবসময় করে তাও নয়। তবু করে। আমার কথা যে সবসময় একেবারে ফেলে দেয় তা নয়। আমি ঝড়ের রাতে প্রধানত এই শোবার ঘরেই শুই মশারি টাঙিয়ে। আর জানালার পরদা কখনো তুলে দিয়ে শুই কখনো নামিয়ে দিয়ে শুই। কারণ সন্ধেবেলা যদি ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় আর দশটা এগারোটা নাগাদ যদি শেষ হয়েও যায় তবুও সারারাত ধরেই ঠাণ্ডা বাতাস বইতে থাকে। ওতে ঘুমটা দারুণ হয়।
----- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৫/৩/২০২৪
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now