বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অপূর্ণ ভালোবাসা-১

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X অপূর্ণ ভালোবাসা-১ লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, আঁধারে ঘেরা সন্ধ্যায় পরিবারের সাথে উপবিষ্ট হয়ে হালকা খাবার খাইতেছি। এমনত অবস্থায় আম্মু বলে উঠল যে, ঐ পাড়ার তোর রহিম চাচার ছোট মেয়ের কালকে বিয়ে। বিকালে এসে দাওয়াত করে গেছে। আমি হতভম্ব হয়ে আম্মুকে বলছি, কি বলছ মেহেরুনের কালকে বিবাহ! আমি আর এক লুকমাও খাবার খেতে পারলাম না। তাৎক্ষণিক আমি চলে গেলাম মেহেরুনের বাসায়। আমি অবলোকন করলাম সকলেই কত আনন্দে মেতে আছে। কিন্তু মেহেরুন কেমন যেন মন খারাপ করে একাকী বসা। আমি তার পাশে গিয়ে বসলাম। আমি তাকে শুভ বিবাহের শুভেচ্ছা জানালাম। ও তখনও ফুলে ফেঁপে কেঁদে যাচ্ছিল। মেহেরুন আমাকে জিজ্ঞাসা করল। তুই কি সত্যিই আমার বিয়ের কথা শুনে আনন্দিত। আমি নিজের দুঃখটাকে হৃদয়ের মাঝে লুকিয়ে রেখে মিথ্যে হাসি দিয়ে বলে উঠলাম কেন খুশি হব না। আসলে আমি খুব জেদি প্রভৃতির মানুষ। মেহেরুন নিজের আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে, আমাকে নিজের সাথে আচ্ছন্ন করে নিল। আমি তার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ও কিছুতেই আমাকে ছাড়ল না। রীতিমত আমি একটু বিব্রত বোধ করলাম। কিন্তু ও তখনও আমাকে ছাড়ল না। আমি ওর চক্ষুদ্বয় দিয়ে বেরিয়ে আসা মায়ার জলটুকু নিজের হস্তদ্বয় দিয়ে আলতো করে মুঁছে দিলাম এবং ওকে বললাম যে, সময়ের শাসন সকলকেই মেনে নিতে হবে। আমি ওদের বাড়ি থেকে চলে আসতে গেলাম। কিন্তু ও আমাকে যেতে দিচ্ছে না। আমি ওকে একটি বুঝিয়ে চলে গেলাম। আসলে মেহেরুন আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে, আমিও। কিন্তু আজকের পর থেকে সব সম্পর্ক শুধু মাত্র অতীত হয়ে সৃতির পাতায় লেখা থাকবে। পরের দিন ধুমধাম করে ওর বিয়ে হয়ে গেল। আম্মু আমাকে যেতে বলছিল। কিন্তু আমি গেলাম না। এখন আর খুব একটা ঐ পাড়ায় যাওয়া হয় না। আমি অবগত হলাম যে, আজ নাকি মেহেরুন নিজের শ্বশুর বাড়ি থেকে এসেছে। তাই ওকে একটু চোখের দেখা, দেখার জন্য এক মেঘ ঢাকা বিকালে পাড়ি জমালাম নিজের কাছের মানুষটাকে দেখার জন্য। আমি অবলোকন করলাম যে, ও এক গভীর চিন্তায় হারিয়ে জানালার ছিদ্র দিয়ে মেঘ ঢাকা বিকালকে ভোগ করছে। হঠাৎ ওর দৃষ্টি আমার দিকে পরে। আমি দেখলাম যে, মেঘ ঢাকা আকাশ থেকে যেমন বৃষ্টির বারিধারা হঠাৎ আগমন করে ঠিক তদ্রূপ ওর নেতৃপল্লব দিয়ে মায়ার জল বাহির হয়ে যাচ্ছে। আমি কোন কথা বলতে পারলাম না। কি যেন এক না পাওয়া ব্যাথায় আজ আমার কন্ঠরোধ করেছে। চোখে চোখে দেখা এরপর কিছু অতীতের মধুমাখা সৃতি গুলো স্মরণ করে, আবেগে আপ্লত হয়ে চলে গেলাম ওখান থেকে। পিছন দিকে তাকাতে আমি দেখলাম মেহেরুন তখনও আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। ও যেন নিজের ভাষায় বলতে চাচ্ছে এক পড়ন্ত বিকালে তুমি এসেছিলে আমার জীবনে, কিন্তু আজ কেন একায় চলে যাচ্ছো। আমাকেও নিজের সঙ্গে সঙ্গী করে নাও।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২৩১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অপূর্ণ ভালোবাসা-১০

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now