বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মায়াবতীর মায়া

"রূপকথা " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Shekor Kar(guest) (০ পয়েন্ট)

X মায়াবতীর মায়া মায়া আসলেই অদ্ভুত,যার প্রতি একবার মায়া জন্মায়,সেটা কোনভাবেই কাটে না।মায়ার কারণেই আত্মিক টান❤️। কোন এক মায়াবতী সে।তার চোখের চাহনি দেখে বুকে বাম পাশে মায়া তৈরি হয়ে যায়,যা একটা নেশার মত।যে নেশা কাটার মত নয়।একটা মাদকাসক্ত মানুষ যেমন নেশা ছাড়তে পারে না,ঠিক তেমনই অনেক চেষ্টা করেও সেই মায়ার নেশাও কাটানো যায় না।মায়া কাটানো খুব কঠিন। তুমি আজও বুঝ নি মায়া কি?মায়া কতটা শক্তিশালী? মায়ার কাছে মানুষ কতটা অসহায়। মানুষ মায়ায় পরলে সবকিছু পিছনে ফেলে দিতে বাধ্য হয়,দ্বিধাবোধ করে না।মায়ার কাছে মানুষ বড় অসহায়।মায়ার নেশা মাদকের নেশা থেকে বড্ড বেশি ভয়ানক।মানুষকে নাকি অভ্যাসের দাস বলা হয়।কিন্তু সময়ের আর্বতনে অভ্যাস বদল হয়,কিন্তু মায়া সময়ে আর্বতনে আরো গাঢ় হয়।অভ্যাসকে পরিবর্তন করা যায় কিন্তু মায়া পরিবর্তন করা যায় না।সেটা দিনদিন বেড়েই চলে,জীবনের শেষ সময় অব্দি অই এককেন্দ্রিক মায়া থেকেই যায় মুছে ফেলা যায় না।সেজন্যই হয়ত বলে মায়ার কাছে সবকিছু অসহায়। সময়ের আর্বতনে কখন কার উপর মায়া তৈরি হয় সেটা অজানা।ঠিক একটা মাকড়সার জালে যেমন শিকার আটকে পরে বাহির হওয়ার জন্য ছটপট পরে বাহির হতে পারে না, উল্টা আরো আষ্টেপৃষ্টে জালে জড়িয়ে যায়,ঠিক সেইভাবে আমিও মায়াবতীর মায়ার আটকে পড়া মানুষ।তুমি আজও বোঝ নি মায়া কি? তুমি বোঝনি চোখের ভাষা। তুমি বোঝনি হৃদয়ের ব্যাথা।একজন কবি যখন কবিতা লেখে তখন তার ছন্দের মায়ায় পরে কবিতা লেখে।রাতের আকাশের পূর্ণ চাঁদের সুন্দর সৌন্দর্য দেখে জ্যোৎস্না রাতের চাঁদের মায়ায় পরে সবাই,ঠিক সেইভাবে আমিও তোমার মায়ায় পড়েছি মায়াবতী।ঋতুরাজ বসন্তের মায়ার পরে প্রকৃতি যেমন নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে নিজেকে ফুটিয়ে তুলে, ঠিক সেইভাবে মায়াবতীর মায়ায় পড়া।কিন্তু আফসোস নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হয় তুমি মায়াবতী বোঝনি তোমার প্রতি আমার মায়াটা,তোমার প্রতি ঠিক কিভাবে মায়ায় পড়েছি।তোমার মায়া কাটানো অসম্ভব। মায়া,কখনো কাটে না।সময়ের ব্যবধানে সেটা আরো গাঢ় হয়ে উঠে।তুমি সেটা বুঝ নি।যে তোমার মায়ায় পরে পুরানো সব ছেড়ে দিতে পারি।শুধু তোমার কথা চিন্তা করতে পারি,সেটা দেখেও তুমি বুঝ নি, শুধু তোমাকে চাওয়া পাওয়ার সে মায়ার ভালবাসা।তোমার চোখের চাওয়া,ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা মিষ্টি হাসি, সেগুলো নেশার থেকে ভয়াবহ মায়ার পূর্ণ।তোমার প্রতি মায়া সবকিছুর উর্ধ্বে।তাও তুমি বোঝনি তোমার প্রতি আমার মায়া।আমি সবকিছু ছেড়ে শুধু পরে রই তোমার মায়ার পিছু।আমার কংক্রিটের শহরে তুমি মায়াবতীর আগমন ছিল কালবৈশাখী ঝড়ের মত।তুমি এসে শিমুল তুলার মত নরম বানিয়ে দিয়েছ।যখনই তোমাকে দেখি আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়,সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তোমাতেই পড়ে রই।তুমি মায়াবতী, তোমার মায়ার পড়ে বুঝেছি নিখিল বিষ কিরকম মধুর হতে পারে।হয়ত তুমি আমার হৃদয়ের ব্যাথা দেখেছ, সবসময় আমাকে হাসতে দেখেছ, তুমি নিজ অজান্তে হয়ত আমাকে বিস্তৃর্ণ রাজ্যের শাসন করে ফেলছ, সেটা বুঝা যায় নি। তুমি মায়াবতী তোমার চোখের চাহনি ছিল বিশাল জলরাশির মত ঢেউ খেলানো উত্তাল মহাসমুদ্র, যার মধ্যে পড়লে তীরে পৌঁছানো সম্ভব নয়।আমি সেই জলরাশির মহাসমুদ্রের মায়ায় পড়েছি।তোমার চোখের যে যাদু সেই যাদু শুধু আমার জন্য মায়াবী।যেকোনো সংখ্যার পর যেমন শূণ্য বসলে সংখ্যার দাম বেড়ে যায় ঠিক তেমনই তুমি আমার কাছে।আমার কাছে তুমি সেই মায়াবতী, যার ভালবাসায় পাগল হয়ে তোমার শহরে প্রতিটা অলি গলি ঘুরি।।এই যে ছুয়ে দেখো বুকের বা পাশ,তোমার অধীনকৃত নিবাস!সাধ্য নেই আমার,মায়াবতী তোমায় বোঝাবার জন্য!হৃদয়ে তুমি থাকো, এর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমি????হাজারো মানুষের ভীড়ে তুমি মায়াবতী এক অদ্ভুত মায়া।ভালো থেকো মায়ার মায়াবতী। শেষে একটা কথা বলব মায়াবতী, চোখ তোমার পানি আমার,হৃদয় তোমার ব্যাথা আমার,সৃষ্টিকর্তা না করুক শ্বাস তোমার বন্ধ হলে মৃত্যু আমার। ইতি, মায়াবতীর মায়ায় আটকে পড়া মানুষ। লেখা :শেখর


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৯০ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মায়াবতীর মায়া
→ স্টুপিড ও মায়াবতীর গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now