বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

জ্বীনের প্রেমালয়

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান প্রিমরোজ পরী (০ পয়েন্ট)

X ⁂ #জ্বীনের_প্রেমালয় ♡ (???????????????????????????? 1) ???????????????????????? ????????????????????????????????✵ নির্জন এক পরিবেশ চারদিকে সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরটা সত্যিই অসাধারণ। শহরের শেষ প্রান্তে আমাদের বাসাটা।পরন্ত বিকেলে দোলনায় দোল খেতে ভিষণ ভালো লাগছে। বাড়িটার পেছনের দিকটা জঙ্গল আর সামনের বিশাল বাগান। ঈরাশার বাদামি রংয়ের চুলগুলো হালকা বাতাসে এলোমেলো ভাবে আনমনে দুলছে। অসম্ভব সুন্দর দেখতে ঈরাশা। গায়ের রং হলুদ ফর্সা, লম্বা ৫.২, কমর পর্যন্ত বাদামি লম্বা চুল। যে একবার ঈরাশাকে দেখে সে ঈরাশার প্রেমে পড়তে বাধ্য। রুশা~ এখানে কেমন লাগছে তোর? ইরাশা ~ এতটাই ভালো লাগছে বুঝাতে পারবো না। রুশা ~ হুম আমারও। ইলি~ কি গল্প করছিস আমাকে ছাড়া? ইরাশা ~ তুই তো নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলি । ইলি ~ হুম খুব ক্লান্ত ছিলাম জায়গাটা বেশ কিন্তু। (পরিচয় পর্ব) ইরাশা আর রশা দুই বোন। রুশা ইরাশার বোন আর ইলি ওদের কাকাতো বোন। ইলির বড় ভাই এলিফ ছোট থাকতেই ওদের বাবা-মা গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায়। ওদের কাকা আরশাদ চৌধুরী ওদের ছোট থেকেই নিজের ছেলেমেয়েদের মতো মানুষ করেছে। ইলি - ভাইয়া আর কাকা কবে আসবে? রুশা ~ কিছুদিনের মধ্যেই। ইরাশা ~ ভাইয়া আসলেই দূরে কোথাও ঘুরতে যাবো। তাসলিমা খাঁন ~ তোমাদের নাস্তা রেডি খেতে এসো। ইলি ~ খুব ক্ষুধা লাগছে। ইরাশা ~ আমারও ক্ষুধায় কূট কুট করছে। রুশা ~ হাহাহাহা। ইলি ~ হাহাহা কুট কুট। ইরাশা ~ এই হাসি থামা তোরা। তাসলিমা খাঁন ~ এই নাস্তা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ওরা সবাই নাস্তা করতে করতে গল্প করছে। ইলি ~ জায়গাটা বেশ নির্জন আশেপাশে কোনো বাড়ি-ঘর ও নেই। ইরাশা~ ভালোই লাগছে কোনো হইচই নেই নির্জন পরিবেশই ভালো লাগে । এতোদিন গাড়ির হর্নে মাথাটা শেষ হয়ে যেতো। তাসলিমা খাঁন ~ ইরাশাটা হয়েছে ওর বাবার মতো ওর বাবা এই কারনেই সে নীরব জায়গায় নিয়েছে। এভাবে ভয়ে ভয়ে থাকা যায় নাকি? ইরাশা ~ মা তুমি চোরের ভয় পাচ্ছো নাকি ভুতের ? হাহাাা তাসলিমা খাঁন ~ হাসছিস যদি আসে তখন এই হাসি কই থাকে দেখবো। ইরাশা ~ মেরে ভর্তা করে দিবো। রুশা ~ হ্যা হ্যা উরন্ত তেলাপোকা দেখে ভয়ে চিল্লায় আবার ভর্তা করবে। সবাই হো হো করে হেসে দিল। ইরাশা রাগে কিট কিট করছে। ইরাশা নিজের রুমে চলে আসে ওর রুমটা উপর তলায়। ঈরাশা আর ইলি এক রুমে থাকে আর রুশা তার মায়ের সাথে। ইরাশা ~ হু আমাকে নিয়ে মজা করছে যেদিন চোর ভুত আসবে সেদিন দেখিয়ে দিবো। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বলছে ইরাশা। বেলকনিটা জঙ্গলের দিকে তার জঙ্গল পছন্দ হঠাৎ জঙ্গলে শব্দ হচ্ছে। ইরাশা সাথে তাকাতেই দেখে একটা ছায়া ঘুরছে। বাড়ির পিছনে লাইট থাকায় দেখা যাচ্ছে আলোটা একটু আবছা তাই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না । সত্যি সত্যি তো আবার চোর এসে পড়লো না তো?ইরাশা ভাবছে কি করবে এখন কেউকে বললে চোরটা শুনতে পেয়ে পালিয়ে যেতে পারে। এই রাতে তো এখানে কারো এমনি আসার কথা না। একটা লাঠি নিয়ে পেছনের দরজাটা খোলে আস্তে আস্তে। সামনে এগোতেই দেখে সাদা একটা বিড়াল। ঈরাশা ~ Aww কি কিউট!মিউ মিউ কাছে আসো। বিড়ালটা চলে যেতেই যাবে ইরাশা কোলে নিলো তাড়াতাড়ি। বিড়ালটার চোখ গাঢ় সবুজ রংয়ের। বিড়ালটিকে আদর করতে করতে রুমে আসে। পুচু পুচু নাকি ও পুচুনিতা আচ্ছা বিড়ালটা ছেলে নাকি মেয়ে? এই বলে দেখতে গেলো ছেলে নাকি মেয়ে বিড়ালটি মেউ মেউ করে কোল থেকে নেমে যেতে যাচ্ছে। ???? ~ আরে বাবু তুমি এমন করছো কেনে? বিড়ালটা ইরাশার কোল থেকে নামবার খুব চেষ্টা করছে এক পর্যায়ে কামড় দিয়ে দৌড় দিয়ে বেলকনি থেকে চলে যায়। ইরাশার হাত থেকে রক্ত পড়ছে। হালকা হালকা ফোস্কা পড়তেছে। উফ কি ব্যাথাাা। কি বিড়ালরে বাবা ইলি ~ কি হয়েছে ঈরাশা? ঈরাশা ~ কিছু হয়নি। ইলি ~ আরে রক্ত তোর হাতে কি হয়েছে আর বলছিস কিছু হয়নি? কি হয়েছে? ঈরাশা~ কিসে যেন ব্যাথা পেয়েছি হঠাৎ দেখি রক্ত। ইলি ~ আমি মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছি ওয়েট। ~ আস্তে আস্তে। ~ আমি ফু দিয়ে দিচ্ছি ভালো লাগছে? ~ হুম। ~ ফোস্কা পড়েছে তো। ~ হুমম।রুশা কি করে? ~ পড়াশুনা করতেছে। ~ ছাদে যাবি? ~ আচ্ছা চল। ইলি আর রুশা ছাদে গেলো। ঈরাশা ~ কালকে ভাবতেছি আশেপাশে ঘুরে দেখবো। ইলি ~ হুম আমিও ভাবছিলাম । হঠাৎ জঙ্গলের পেছন থেকে ঘন্টার আওয়াজ আসে। ঈরাশা ~ ঘন্টার আওয়াজ? ইলি ~ হুম তাইতো শুনলাম । ঈরাশা ~ কাললে জঙ্গলে যাবো পেছনের গেট থেকে। ইলি~ ওকে। পরদিন সকালে ----------------------- ~ এই ঈরাশা ঈরাশা ঘুম থেকে উঠ। ~ হুম ৫ মিনিট পর। ~ না ৫ নিনিট না এই বলে কম্বলটা টেনে নেয়। ~ আরে শীত লাগছে খুব। ~ উঠ। ~ আচ্ছা উঠছি। ওরা ফ্রেস হয়ে পেছনের দরজা খুলে জঙ্গলের দিকে হাটছে। ঈরাশা হঠাৎ খেয়াল করলো বিড়ালের পায়ের ছাপের পর পরই পরের পায়ের ছাপটা কোনো মানুষের। পায়ের ছাপটা কোনো ছেলের। রাতে বৃষ্টি থাকায় মাটি ভেজা। ইলি ~ কিরে হাটছিস না কেনো? ইলি ঈরাশার দিকে খেয়াল করলো ঈরাশা নিচের দিক তাকিয়ে কিছু ভাবছে। ~ বিড়ালের পায়ের ছাপ আবার মানুষের?? ~ হুম। (ওকে কি বলবো কাল রাতের কথা? না থাক ভীতুটায় আবার ভয় পাবে) ~ বিড়ালের ছাপ না হয় ঠিক আছে কিন্তু মানুষের পায়ের ছাপটা?? ~ আমিও ভাবছি সেটা হয়তো কেউ কোনো কাজে এদিকটায় এসেছিলো। ~ চোর নাতো? ~ চুরি করতে আসলে আমার কাছে ভর্তা হতে হবে তাকে। ~ হাহা চল সামনের দিকে যাই। ~ হুম চল। ~ ঐ দেখ পুকুর চল পুকুরঘাটে চল। স্যাতস্যাতে সবুজে ঘেরা চারিদিকে পুকুরের রংটাও সবুজ লাগছে । ওরা পুকুর ঘাটে বসে গল্প করছে। ঈরাশা ~ খুব ছোট বেলায় আমি পুকুরে একবার গোসল করেছিলাম দাদুবাড়িতে। ইলি ~ এখানেতো কেনো মানুষ নেই আমরা মাঝে মধ্যে করলে কেমন হয়? ঈরাশা ~ আমিতো সাঁতার জানিনা খুব একটা। ইলি ~ আমি শিখিয়ে দিবো। ঈরাশা ~ সত্যি? ইলি ~ হ্যা। ঈরাশা ~ ইয়াাা। ইলি ~ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে। ওরা কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে বাসায় চলে আসে।ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। রুশা ~ কোথায় গিয়েছিলি তোরা? ইরাশা ~ এই একটু আশেপাশে ঘুরছিলাম। মা কি করে? রুশা ~ নাস্তা তৈরি করছে? ইরাশা নাস্তা কমপ্লিট করে বেলকনিতে বসে বসে বৃষ্টি ভেজা মাটির ঘ্রান বাতাসে ভাসছে আর সেই ঘ্রান বুক ভরে নিচ্ছে ঈরাশা। আচ্ছা কালকে যে ছায়াটা দেখেছিলাম সেটা তাহলে কোনো মানুষেরই কিন্তু আমাকে একটা জিনিস খুব ভাবাচ্ছে বিড়ালের পায়ের ছাপের পরেই কিভাবে মানুষের ছাপ আসে? আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে অনেক ঈরাশা ভেতরে আসে। গল্পের বইতে মন বসালো ঈরাশা। রুশা ~ ঈরাশা একটা শোন নিউজ শোন কালকে থেকে আমার কলেজ হোস্টেলে থাকতে হবে সামনে পরিক্ষা৷ইলিকে আমার সাথে কিছুদিন থাকতে হবে ওর ফর্মটা পূরন করতে হবে ভর্তি করাতে হবে। আজ বিকেলে মার্কেটে যেতে হবে কিছু কেনাকাটা করতে হবে। ঈরাশা ~ কি বলছিস রুশা কালকেই চলে যাবি? মন খারাপ করে বলল ঈরাশা। রুশা ~ হ্যা ২ মাস পরেই ছুটি পাবো। ইলি ১ সপ্তাহ পরই চলে আসবে। বিকেলে রেডি হয়ে থাকিস। ঈরাশা ~ ওকে। আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে আসছে। ঈরাশা দুপুরের গোসল সেরে নেয়। সবাই দুপুরের খাবার কমপ্লিট করে মার্কেটে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়। লং কালো প্লেইন স্কার্ট,সাদা টপ, কালো স্কার্ফ, হালকা গোলাপি লিপস্টিক ঈরাশাকে দারুণ লাগছে। ইলি ~ ওয়াও কি সুন্দর লাগছে তোকে আজকে তোকে দেখে তর্কি ছেলেরা তো ক্রাশ খাবে। ঈরাশা ~ চুপ কর। ইলি ~ সত্যি বললেই চুপ কর। রুশা ~ কিরে হলো তোদের?? ~ হ্যা আমরা রেডি। ওরা সবাই মার্কেটে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। আধা ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যায় শপিংমলে। ওরা অনেক কিছু কেনাকাটা করে একটা রেস্তোরাঁয় যায় সবাই সবার পছন্দ মতো খাবার খেয়েছে। রেস্তোরাঁ থেকে বাহিরে বের হয়ে ঘুরাঘুরি করছে। ~ উফ চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিনা কেন? চোখে কি গেলো? ঈরাশা চোখ ঢলতে ঢলতে হাটছে হঠাৎ পা পিচলে রাস্তার মাঝে পড়ে যায়। ঈরাশা চিৎকার দেয় পড়ে যেয়ে। ঈরাশার দিকে একটা গাড়ি আসছে। রুশা ~ একি ঈরাশার চিৎকার পেছন ফিরে দেখে ঈরাশা............... . . . ( চলবে)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২৬৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now