বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভালোবাসা মিথ্যা

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X ভালোবাসা মিথ্যা লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, আজ পৃথিবী কেন আমার জন্য এত নিষ্ঠুর। আমি কি এমন করেছিলাম। আমিতো শুধু নুসরাতকে একটু ভালোইবেসেছিলাম৷ সময় যে কেন আজ আমাকে এখানে এনে দাঁড় করালো। সে সম্পর্কে আমার কোন বোদগম্য নেই। আমি তখন দশম শ্রেণীতে পড়তাম। আমার সাথেই পড়ত নুসরাত। সেই খুবই অমায়িক এবং সুন্দরী ছিল। তার সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠল। আমরা বেশিরভাগ সময়ই একসাথে সময় কাটাতাম। দূরের ঐ নীল আকাশ দিয়ে এক ঝাঁক শালুক পাখি মুক্ত বাতাসের খোঁজে উড়ে যায় কোন এক অজানা অচেনা শহরে। আমরা সেই পাখিগুলোকে এক নাগারে দেখে যেতাম। শেষ বিকালের ডুবন্ত দিগন্তকে এক সাথে অবলোকন করতাম। তার সাথে আমার এক অন্য রকম সম্পর্ক গড়ে উঠল। আমি তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতাম। নুসরাতও আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসত। একদিন নুসরাত আমাকে অবগত করল যে সে আমাদের এই সম্পর্কের কথা তার পরিবারকে জানাবে। আমি তাকে বললাম তোমার পরিবার কি আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নিবে। সে আমাকে বলল আমি বাড়িতে ভালো করে বুঝাবানে। যেই কথা সেই কাজ,, নুসরাত তার পরিবারকে জানালো। তার মা-বাবা একই জায়গায় বসে ছিল। সে বললো বাবা আমি একটি ছেলেকে পছন্দ করি। তার বাবা তাকে কিছুই বলল না। নুসরাত তার বাবা প্রতি খুবই খুশি কেননা তার বাবা আমাদের সম্পর্কটাকে মেনে নিয়েছে। কিন্তু আসলে সেটা হয়নি। সেদিন নুসরাতের মুখ থেকে এই কথা শোনা মাত্র তার বাবা আমার ঠিকানা জোগাড় করে আমার কাছে আসল। এবং আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেল। তার পিতা আমাকে তার পোষা গুন্ডা-পান্ডাদেরকে দিয়ে মার দিলো। ঐ অস্বাভাবিক মার আমি সহ্য করতে না পেরে মানসিক ভাবে সমস্যায় পড়ি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আমি পথে পথে ঘুরি। অপর দিকে নুসরাতে পিতা তার সাথে বলে যে আমি নাকি এই শহর থেকে চলে গেছি। এবং পরবর্তীতে নুসরাতের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার বাবা অন্যের সাথে বিবাহ দেয়। নুসরাত এখন ভালোই সংসারের কাজে ব্যাস্ত সময় অতিবাহিত করছে। কিন্তু আমি এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরছি। কয়েক বছর পর আচমকা নুসরাত অবলোকন করল যে কে যেন দেয়ালের পাশে বসে গোটা দেয়ালের গায়ে নুসরাত নাম লিপিবদ্ধ করছে। সে একটু লোকটার দিকে এগিয়ে গেল। এবং সে দেখতে পেল যে ঐ লোকটা আর কেউ নয়, ঐ লোকটা তার পুরানো ভালোবাসা। যার সাথে অতিবাহিত করত মূহুর্তের পর মূহুর্ত। যার সাথে একত্রিত হয়ে অবলোকন করত শেষ বিকালের মনোমুগ্ধকর আকাশটাকে। নুসরাত আমাকে জড়িয়ে ধরল। কিন্তু এখন আমি আর কাউকে চিনতে পারিনা। আমি সেখান থেকে চলে গেলাম। নুসরাত কাঁদতে কাঁদতে অচেতন হয়ে গেল। পরে যখন ওর জ্ঞান ফিরল সে তার মায়ের কাছে জানতে চাইল, যে আসলে সেদিন কি হয়েছিল। তার মা তাকে সবকিছু বলে দিল। যে সেদিন তোর মুখ থেকে ঔ ছেলেটার কথা শ্রবণ করা মাত্রই তোর বাবা ছেলেটা কাছে যেয়ে তাকে বেদম প্রহার করে। যার করনে সে পরবর্তীতে পাগল হয়ে যায়। এবং তোকে অন্য জায়গায় বিবাহ দিয়ে দেয়। নুসরাত আজ কাউকে ক্ষমা করতে পারে না। আসলেই টাকা পয়সা অর্থ কড়ি না থাকলে ভালোবাসা মিথ্যা।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৭৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মিথ্যার জয় পেলাম কিন্তু ভালোবাসায় না পর্ব ৩
→ মিথ্যার জয় পেলাম কিন্তু ভালোবাসায় না পর্ব ২
→ মিথ্যার জয় পেলাম কিন্তু ভালোবাসায় না
→ মিথ্যা মরীচিকায় ভালোবাসা
→ মিথ্যা ভালোবাসা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now