বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মায়ের ভালোবাসা

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X মায়ের ভালোবাসা লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, সৈয়দপুর গ্রামে বসবাস করে মতিন। লেখাপড়ায় ভালোই। বাবার মায়ের সাথে ভালোই দিনগুলো অতিবাহিত হইত তার। প্রতিদিন স্কুল এবং সেখান থেকে নিজ বাসভবন, সব মিলে ভালোই ছিল মতিনের। স্কুল থেকে বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই সম্মুখে দন্ডায়মান থাকত নিজ জননী। কত সুন্দর স্নেহ সহকারে আপন কন্ঠস্বরে বলে উঠত আজ স্কুলে সব পড়া ভালো ভাবে দিতে পেরেছিসতো বাবা। মতিন একটু মাথাটা নিছ করে বলে যেত সব পড়াই হয়েছে। তবে ইংরেজিটা একটু খারাপ হয়েছে। মা তার মধুমাখা আদর দ্বারা নিজের ছেলের মিথ শান্তনা দিয়ে বলে উঠত, তুই মন খারাপ করিস না। আজ সন্ধ্যায় তোকে ভালো করে ইংরেজি পড়াব। দেখবি কালকে সকলে তোর প্রতি খুশি হয়ে উঠবে। মায়ের কথাগুলো শ্রবণ করা মাত্রই মতিনের ভিতর কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করে উঠত। সেই পরিষ্কার পরিছন্ন হয়ে খেলা করার জন্য চলে যায় বাড়ির পাশে অবস্থিত সেই সুন্দর মাঠটাতে। খেলা শেষ করে পড়ন্ত বিকালে সূর্যটা যখন ডুমন্তর ন্যায় ঘামা মাখা শরীর নিয়ে ফিরে আসে মায়ের কাছে। মা তখন নিজ হাতে টিউবওয়েল থেকে পানি বাহির করে মতিনের শরীরটাকে ধুয়ে দিয়ে আপনার শাড়ির আছল দিয়ে মুছে দিত। কতই না ছিল সেই সমস্ত আদরগুলো। বেলা যখন রজনীর আধারের সাথে মিলিয়ে যেত। তখনই মা তাকে নিয়ে পড়তে বসত। মায়ের ভালোবাসা নিয়ে সেই খুব আনন্দ সহকারে পড়ত। মা মতিনের সম্মুখে বসে তাকে নিয়ে নিজের হৃদয়ের মধ্যখানে পুষে রাখা স্বপ্ন গুলো ব্যাক্ত করত। এবং নেত্রপল্লব দুটি দিয়ে অঝোরে মায়ার অশ্রু ঝরে পরত। মতিনও মাকে শান্তনা দিত, দেখবে আম্মু একদিন আমি মানুষের মত মানুষ হয়ে তোমার এই চক্ষু থেকে ঝরে যাওয়া অশ্রুর বারিধারার মূল্য আমি উঠাব। মতিনের কথাগুলো শুনে মায়ের হৃদয় শান্ত হয়ে যেত। কিন্তু কেন জানি পূর্ব আকাশের রঙিন সূর্যটা হঠাৎ আাধারে মিলিয়ে যাওয়ার ন্যায় মতিনের মা ও বাবার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মতিনকে বাবা রেখে মাকে তাড়িয়ে দেয়। মা মাঝে মধ্যেই মতিনকে দেখতে আসত। কিন্তু তার বাবা এটা পছন্দ করত না। একদিন মা তার আদরের মতিনকে নিজের কাছে নিয়ে আসার জন্য গন্তব্য দেয়। এবং মতিনের স্কুল থেকে তাকে নিয়ে চলে আসে। কিন্তু মতিনের বাবা জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে তার মায়ের কাছ থেকে জোর জবরদস্তি করে নিয়ে চলে আসে। মা পাখিটার খাঁচা থেকে যেমন তার সন্তানকে নিয়ে আসার সাথে সাথে তার ভিতর বিচ্ছেদ বেদনা শুরু হয়। ঠিক তদ্রূপ মতিনকে যেন তার মায়ের বুক থেকে নিয়ে আসা মাত্রই তার অন্তরের মাঝে এক অজানা বেদনা শুরু হয়ে যায়। মতিনের মা ততক্ষণ পর্যন্ত তার দিকে চেয়ে থাকে যতক্ষণ না মতিন তার চোখের অগোচরে চলে যায়। আসলে এটাই সন্তানের প্রতি এক অসহায় জননীর ভালোবা


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১২৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মায়ের প্রতি ভালোবাসা
→ মায়ের ভালোবাসা
→ আসলেই মায়ের ভালোবাসা নিখুঁত,নির্ভেজাল
→ মায়ের ভালোবাসা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now