বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কোন এক বসন্তের দিন

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X কোন এক বসন্তের দিন লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, বসন্ত তুমি আমার হতে চাই আমি তোমার তোমার সৌন্দর্য যে আমার আলিঙ্গন করে বারংবার আজ তোমার দিকে চেয়ে লিখে যায় হৃদয় দিয়ে তোমার মায়ার বাধন আমার জীবনের বন্ধন বসন্ত তুমি যেখানে আমিও আছি সেখানে কোন এক বসন্তের দিনে নদীর তীরে বসে হৃদয়ের মধ্যখানে ভাবনার দেশে চিন্তার যশ তুলছি। আমি মনে মনে করছি সৃষ্টিকর্তা কতই না সুন্দর করে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছে। বিগত একটা বছর প্রতিটা দিনে তীলে তীলে বেড়ে ওঠা পাতাগুলো বসন্তের হাওয়া লেগে আজ নিজের কান্ড থেকে ঝরে পড়ছে। আমি তখনো এক নজরে তাকিয়ে আছি সুবিশাল ঐ পাকড়া গাছটার দিকে। কত সুন্দর মনোরম দৃশ্য। গাছে কোন পাতা না থাকলেও সুন্দর সুন্দর লাল রঙের ফুল রয়েছে। দৃশ্যটা দেখে হৃদয়টা যেন দক্ষিণা বাতাসের ন্যায় শিতল হয়ে গেল। আমি মনে মনে এই চিন্তা পোষণ করছি যে আমার মালিক যদি ঐ গাছগুলোর মতো আমারও সমস্ত গুনা সমূহ শরীর থেকে ঝরিয়ে দিত তাহলে কতই না ভালো হতো। আমারও যদি গাছের নতুর পাতার ন্যায়, নতুন আমলনামা তৈরি করা হতো কতই না সুন্দর হতো। বসন্ত মানেই সমস্ত পুরাতনকে উপেক্ষা করে নতুনের আবিষ্কার করা। কত বসন্ত যে সৃষ্টিকর্তার অবাধ্য হয়ে কাটিয়েছি তার কোন ইয়ত্তা নেই। আজ অন্তরের ভিতর আপসোস এর যশ উঠছে। এত অবাধ্য হওয়ার পরও আমার রিজিকদাতা কখনো আমাকে রিজিক দিতে ইতস্ততবোধ করেনি। তারপরও আমি তাকে অবহেলা করে চলেছি। উত্তরা বাতাস যেন আমাকে বারংবার মুগ্ধ করছে। আমার শরীরে আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে কোন এক অজানা ধরায়। এত কিছু ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আমার কর্ণকহরে প্রবেশ করল মসজিদের মাইক থেকে ভেষে আসা মহাজ্জিনের সুশীল কন্ঠে বলে ওঠা হাইয়া লাস্সালাহ। সে যেন আমাকে পরোক্ষ করে বলছে ওহে যুবক সতেরোটি বছর অতিবাহিত হয়ে গেল এখনো তুনি তোমার মালিককে চিন্তে পারলে না। আসো আজ বসন্তের দিন সমস্ত অতীতকে নদীর তীরে মাটি চাপা দিয়ে নতুনের দিকে পারি জমাও। গাছের পুরানো পাতা যেমন মাটির সাথে মিশে নতুনে সৃষ্টি করে। ঠিক তদ্রূপ তুমি সমস্ত গোনাহকে মাটির সাথে মিশিয়ে নতুন করে নিজের আমলনামা উন্মুক্ত করো। আসো নামাজের দিকে আসো, তোমার রবের দিকে আসো। আজ তোমার রব তেমার জন্য অধীর আগ্রহে উপবিষ্ট আছে সপ্তম গগণের উপরে। আমি মনে মনে করছি কি হবে মসজিদে দিকে যেয়ে। মুয়াজ্জিন আবারও তার সুন্দর কন্ঠে বলে উঠছে আসো কল্যাণের দিকে আসো। আমি বসে থাকতে পারলাম না। আজ সত্যিই বসন্তের বাতাসের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে বড্ড ইচ্ছা করছে। আমি আগমণ ঘটালাম মসজিদের দিকে। আহ কত দিন যে মসজিদে আসিনি তার কোন ইয়ত্তা নেই। মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে নিজেকে আবিষ্কার করলান এক নতুন পরিবেশে। তবে বাইরের পৃথিবী থেকে মসজিদের ভিতরের পৃথিবী হাজার গুন শ্রেয়। আজকের এই দিনটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন হিসাবে লিপিবদ্ধ আকারে সংরক্ষিত থাকবে ডায়েরির পাতায়। আসলেই বসন্তের মূহুর্তগুলো অতিব সুন্দর। কোন এক বসন্তের দিনে লেখা এই কাহিনিটা।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৩৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now