বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ। ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। শীত তার মধ্যে অন্যতম ঋতু। সাধারণত পৌষ-মাঘ দুই মাস মিলে শীতকাল। গ্রীষ্মের অসহ্য গরমকে উপেক্ষা করে চারিদিকের পরিবেশকে ঠান্ডার চাদরে মুড়িয়ে আগমন ঘটায় শীত। শীতের সকালে গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাদর মুড়ে মানুষের ভীড় জমে। কত রকমের গল্পে যে তারা বিভোর হয়ে থাকে তার কোন ইয়ত্তা নেই। শীতের সকালে বাংলার মানুষের কাছে সবথেকে পছন্দের পানীয় খেজুরের রস। শীতের ঐতিহ্যবাহি খাবারগুলোর ভিতরে খেজুরের রস অন্যতম পছন্দনীয়। শীতকালে গ্রাম বাংলার কৃষকরা খেজুর গাছকে আয়ের মূল মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে। গ্রাম বাংলার কৃষকরা শীতের দিন বিকালে খেজুর রসের ভাড় নিয়ে রওনা হয় মাঠের দিকে। সুন্দর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ধারালো দা-এর সাহায্যে খেজুর কাজগুলো কাটে। অতপর শেষ বিকালে সূর্যটা যখন পশ্চিমাকাশে হেলে পরে তখন গাছিরা খেজুরের রসের ভাড়গুলো আগুনে সামান্য পুড়া দিয়ে গাছে টাঙিয়ে দেয়। সারা রাতে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া শীতের অন্যতম নিয়মত ( খেজুর রস) ভাড়ে জমতে থাকে। এই খেজুর রস থেকেই শীতকালের বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার ও পিঠা তৈরী করা হয়। শীতের সকালে খেজুরের রস জ্বালিয়ে তৈরী করা হয় নির্ভেজাল গুড় ও হরেক রকমের পাটালি। গ্রাম বাংলার প্রতিটা ঘরে ঘরে গাছিবউ তৈরী করে নানান রকমের পিঠা। এইজন্যই শীতকালকে রুপক অর্থে পিঠাপুলির কালও বলা হয়। কেননা এই সময়ই মানুষ মজা করে বিভিন্ন ধরনের পিঠার স্বাদ উপভোগ করে। এছাড়াও গ্রামের মানুষেরা সকলে আনন্দচিত্তে একত্রিত হয়ে একসঙ্গে পান করে শীতের সকালের খেজুরের রস।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now