বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ছোট বেলার দিনগুলো

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X লেখকঃ নাফিজ আহমেদ। গ্রামের পাশে নদীর কিনারায় লোকালয়হীন পরিবেশে একাকী অবস্থায় উপবিষ্ট আছে রুহুল। বসে বসে নিজের কাটিয়ে আসা দিনগুলির কথা স্মরণ করছে । কি-যেন এক আবেগময় অতীত পীড়া দিচ্ছে প্রতিটা মূহুর্তে। রুহুল খুবই আবেগপ্রবণ এক ছেলে। সে ভাবছে, এইতো কিছুদিন আগেও ঘর থেকে বইয়ের ব্যাগটা কাঁধে বহন করে নিয়ে মনের আনন্দে রওনা করতাম গ্রামের ঐ ছোট্ট পাঠশালাতে। যেখানে অ,আ,ক,খ শেখার মাধ্যমে সূচনা হয় আমার শিক্ষা জীবন। পাঠশালায় কিছুসময় অবস্থান করার পর ফিরে আসতাম বাড়িতে। কোন রকম বইয়ের ব্যাগটা খাটের উপর রেখে চলে যেতাম নদীতে। একটা লম্বা সময় পার করার পর চোখ দুটি লাল করে উঠে আসতাম নদী থেকে। বাড়িতে ফিরে মায়ের হাতে মাখা আলুর ভর্তা সাথে খাঁটি ঘি দিয়ে ভক্ষণ করতাম এক প্লেট ভাত। মায়ের কথা মতো একটু মিথ্যে ঘুম দিয়ে উঠে আসতাম খেলার জন্য। বিকালে গ্রামের সকল ছেলে মেয়েরা একসাথে জড় হইতাম খেলা করা জন্য। কত রকমের খেলা গোল্লাছুট, সাত রঙের পাতা,গাঁদি আরো কতকিছু। শেষ বিকালের আকাশটাতে লাল আভা দেখা দিলে ফিরে আসতাম বাড়িতে। সন্ধ্যায় কোন রকম তড়িঘড়ি করে পড়া শেষ করে, আবারও কয়েকজন মিলে আরম্ভ করতাম লুকোচুরি খেলা। সে যে কত আনন্দদায়ক ছিল। এখন প্রতিটা মূহুর্তে উপলব্ধি করতে পারি। রাত বেশি হলে মা হ্যারিকেনটা হাতে করে খুঁজতে আসত আমাকে। মাঝে মাঝে আবার বকাঝকাও করত। কত সুন্দরই না ছিল মায়ের সেই মিষ্টি শাসনটা। এইভাবেই অতিবাহিত হত প্রতিদিনের জীবনটা। বৃষ্টির দিনে পাড়ার সকলে মিলে সৃষ্টিকর্তার সৃজনকৃত পবিত্র জলে ভিজিয়ে দিতাম নিজেদের শরীর। সকলে মিলে কাদা মেখে ভুত হয়ে বাড়ি ফিরতাম। বাবা দেখে এমন তাড়া দিত এক দৌড়ে নদীতে। ছোট্ট বেলার সকল সৃতিগুলো ভাসমান অবস্থায় আছে গ্রামের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সৃতিগুলো স্মরণ করতে করতে কখন যে তার চোখের কোনায় জল দেখা দিল বুঝতেই পারল না। কত সুন্দর মধুময় ছিল সেইসব সৃতিময় দিনগুলো। আজ সময়ের ব্যবধানে সে এমন এক বয়সে উপনীত হয়েছে যে, এখন আর হাজার বার চাইলেও সেই গোল্লাছুট, সাত রঙের পাতা ইত্যাদি সব খেলতে পারেনা। আজও গ্রামের পাশে অবস্থিত আছে সেই নদী, যেখানে একবার নামলে ওঠার কথা স্মরণে থাকত না। কিন্তু সময়ের কি আচর্য খেলা যে, এখন একবার হইলেও সেই নদীতে নামতে মন চাইনা। রাত্রে বেলার সেই লুকোচুরি খেলাও এখন আর হয় না। সবাই এখন নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছে। হয়তো রুহুলের জীবনে তার ঐ শৈশবের দিনগুলো কখনও ফিরে আসবে না। হয়তোবা আর কোন দিনই সে মায়ের করা সেই মিষ্টি শাসন উপলব্ধি করতে পারবে না। রুহুল তার জীবনের এইসমস্ত সৃতির কথা স্মরণ করতে করতে অতিবাহিত করে দেয় অনেকটা সময়। এখন সে ফিরে যায় তার বর্তমান জীবনের ব্যস্থতায়। সে আবারো হারিয়ে যায় তার বর্তমানে। পৃথিবীর সকল মানুষেরই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে ছোট্ট বেলার মধুমাখা সৃতিময় সব দিনগুলোর কথা। আসলে সময়টা এমনই দেখতে দেখতে কেটে যাবে জীবনের প্রতিটা মূল্যবান মূহুর্ত। যেই মূহুর্তগুলো আর কখনো স্রোতের সাথে বয়ে আসবেনা জীবন নামক এই মহাসাগরে। লেখকঃ নাফিজ আহমেদ। গ্রামের পাশে নদীর কিনারায় লোকালয়হীন পরিবেশে একাকী অবস্থায় উপবিষ্ট আছে রুহুল। বসে বসে নিজের কাটিয়ে আসা দিনগুলির কথা স্মরণ করছে । কি-যেন এক আবেগময় অতীত পীড়া দিচ্ছে প্রতিটা মূহুর্তে। রুহুল খুবই আবেগপ্রবণ এক ছেলে। সে ভাবছে, এইতো কিছুদিন আগেও ঘর থেকে বইয়ের ব্যাগটা কাঁধে বহন করে নিয়ে মনের আনন্দে রওনা করতাম গ্রামের ঐ ছোট্ট পাঠশালাতে। যেখানে অ,আ,ক,খ শেখার মাধ্যমে সূচনা হয় আমার শিক্ষা জীবন। পাঠশালায় কিছুসময় অবস্থান করার পর ফিরে আসতাম বাড়িতে। কোন রকম বইয়ের ব্যাগটা খাটের উপর রেখে চলে যেতাম নদীতে। একটা লম্বা সময় পার করার পর চোখ দুটি লাল করে উঠে আসতাম নদী থেকে। বাড়িতে ফিরে মায়ের হাতে মাখা আলুর ভর্তা সাথে খাঁটি ঘি দিয়ে ভক্ষণ করতাম এক প্লেট ভাত। মায়ের কথা মতো একটু মিথ্যে ঘুম দিয়ে উঠে আসতাম খেলার জন্য। বিকালে গ্রামের সকল ছেলে মেয়েরা একসাথে জড় হইতাম খেলা করা জন্য। কত রকমের খেলা গোল্লাছুট, সাত রঙের পাতা,গাঁদি আরো কতকিছু। শেষ বিকালের আকাশটাতে লাল আভা দেখা দিলে ফিরে আসতাম বাড়িতে। সন্ধ্যায় কোন রকম তড়িঘড়ি করে পড়া শেষ করে, আবারও কয়েকজন মিলে আরম্ভ করতাম লুকোচুরি খেলা। সে যে কত আনন্দদায়ক ছিল। এখন প্রতিটা মূহুর্তে উপলব্ধি করতে পারি। রাত বেশি হলে মা হ্যারিকেনটা হাতে করে খুঁজতে আসত আমাকে। মাঝে মাঝে আবার বকাঝকাও করত। কত সুন্দরই না ছিল মায়ের সেই মিষ্টি শাসনটা। এইভাবেই অতিবাহিত হত প্রতিদিনের জীবনটা। বৃষ্টির দিনে পাড়ার সকলে মিলে সৃষ্টিকর্তার সৃজনকৃত পবিত্র জলে ভিজিয়ে দিতাম নিজেদের শরীর। সকলে মিলে কাদা মেখে ভুত হয়ে বাড়ি ফিরতাম। বাবা দেখে এমন তাড়া দিত এক দৌড়ে নদীতে। ছোট্ট বেলার সকল সৃতিগুলো ভাসমান অবস্থায় আছে গ্রামের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সৃতিগুলো স্মরণ করতে করতে কখন যে তার চোখের কোনায় জল দেখা দিল বুঝতেই পারল না। কত সুন্দর মধুময় ছিল সেইসব সৃতিময় দিনগুলো। আজ সময়ের ব্যবধানে সে এমন এক বয়সে উপনীত হয়েছে যে, এখন আর হাজার বার চাইলেও সেই গোল্লাছুট, সাত রঙের পাতা ইত্যাদি সব খেলতে পারেনা। আজও গ্রামের পাশে অবস্থিত আছে সেই নদী, যেখানে একবার নামলে ওঠার কথা স্মরণে থাকত না। কিন্তু সময়ের কি আচর্য খেলা যে, এখন একবার হইলেও সেই নদীতে নামতে মন চাইনা। রাত্রে বেলার সেই লুকোচুরি খেলাও এখন আর হয় না। সবাই এখন নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছে। হয়তো রুহুলের জীবনে তার ঐ শৈশবের দিনগুলো কখনও ফিরে আসবে না। হয়তোবা আর কোন দিনই সে মায়ের করা সেই মিষ্টি শাসন উপলব্ধি করতে পারবে না। রুহুল তার জীবনের এইসমস্ত সৃতির কথা স্মরণ করতে করতে অতিবাহিত করে দেয় অনেকটা সময়। এখন সে ফিরে যায় তার বর্তমান জীবনের ব্যস্থতায়। সে আবারো হারিয়ে যায় তার বর্তমানে। পৃথিবীর সকল মানুষেরই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে ছোট্ট বেলার মধুমাখা সৃতিময় সব দিনগুলোর কথা। আসলে সময়টা এমনই দেখতে দেখতে কেটে যাবে জীবনের প্রতিটা মূল্যবান মূহুর্ত। যেই মূহুর্তগুলো আর কখনো স্রোতের সাথে বয়ে আসবেনা জীবন নামক এই মহাসাগরে। লেখকঃ নাফিজ আহমেদ। গ্রামের পাশে নদীর কিনারায় লোকালয়হীন পরিবেশে একাকী অবস্থায় উপবিষ্ট আছে রুহুল। বসে বসে নিজের কাটিয়ে আসা দিনগুলির কথা স্মরণ করছে । কি-যেন এক আবেগময় অতীত পীড়া দিচ্ছে প্রতিটা মূহুর্তে। রুহুল খুবই আবেগপ্রবণ এক ছেলে। সে ভাবছে, এইতো কিছুদিন আগেও ঘর থেকে বইয়ের ব্যাগটা কাঁধে বহন করে নিয়ে মনের আনন্দে রওনা করতাম গ্রামের ঐ ছোট্ট পাঠশালাতে। যেখানে অ,আ,ক,খ শেখার মাধ্যমে সূচনা হয় আমার শিক্ষা জীবন। পাঠশালায় কিছুসময় অবস্থান করার পর ফিরে আসতাম বাড়িতে। কোন রকম বইয়ের ব্যাগটা খাটের উপর রেখে চলে যেতাম নদীতে। একটা লম্বা সময় পার করার পর চোখ দুটি লাল করে উঠে আসতাম নদী থেকে। বাড়িতে ফিরে মায়ের হাতে মাখা আলুর ভর্তা সাথে খাঁটি ঘি দিয়ে ভক্ষণ করতাম এক প্লেট ভাত। মায়ের কথা মতো একটু মিথ্যে ঘুম দিয়ে উঠে আসতাম খেলার জন্য। বিকালে গ্রামের সকল ছেলে মেয়েরা একসাথে জড় হইতাম খেলা করা জন্য। কত রকমের খেলা গোল্লাছুট, সাত রঙের পাতা,গাঁদি আরো কতকিছু। শেষ বিকালের আকাশটাতে লাল আভা দেখা দিলে ফিরে আসতাম বাড়িতে। সন্ধ্যায় কোন রকম তড়িঘড়ি করে পড়া শেষ করে, আবারও কয়েকজন মিলে আরম্ভ করতাম লুকোচুরি খেলা। সে যে কত আনন্দদায়ক ছিল। এখন প্রতিটা মূহুর্তে উপলব্ধি করতে পারি। রাত বেশি হলে মা হ্যারিকেনটা হাতে করে খুঁজতে আসত আমাকে। মাঝে মাঝে আবার বকাঝকাও করত। কত সুন্দরই না ছিল মায়ের সেই মিষ্টি শাসনটা। এইভাবেই অতিবাহিত হত প্রতিদিনের জীবনটা। বৃষ্টির দিনে পাড়ার সকলে মিলে সৃষ্টিকর্তার সৃজনকৃত পবিত্র জলে ভিজিয়ে দিতাম নিজেদের শরীর। সকলে মিলে কাদা মেখে ভুত হয়ে বাড়ি ফিরতাম। বাবা দেখে এমন তাড়া দিত এক দৌড়ে নদীতে। ছোট্ট বেলার সকল সৃতিগুলো ভাসমান অবস্থায় আছে গ্রামের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সৃতিগুলো স্মরণ করতে করতে কখন যে তার চোখের কোনায় জল দেখা দিল বুঝতেই পারল না। কত সুন্দর মধুময় ছিল সেইসব সৃতিময় দিনগুলো। আজ সময়ের ব্যবধানে সে এমন এক বয়সে উপনীত হয়েছে যে, এখন আর হাজার বার চাইলেও সেই গোল্লাছুট, সাত রঙের পাতা ইত্যাদি সব খেলতে পারেনা। আজও গ্রামের পাশে অবস্থিত আছে সেই নদী, যেখানে একবার নামলে ওঠার কথা স্মরণে থাকত না। কিন্তু সময়ের কি আচর্য খেলা যে, এখন একবার হইলেও সেই নদীতে নামতে মন চাইনা। রাত্রে বেলার সেই লুকোচুরি খেলাও এখন আর হয় না। সবাই এখন নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছে। হয়তো রুহুলের জীবনে তার ঐ শৈশবের দিনগুলো কখনও ফিরে আসবে না। হয়তোবা আর কোন দিনই সে মায়ের করা সেই মিষ্টি শাসন উপলব্ধি করতে পারবে না। রুহুল তার জীবনের এইসমস্ত সৃতির কথা স্মরণ করতে করতে অতিবাহিত করে দেয় অনেকটা সময়। এখন সে ফিরে যায় তার বর্তমান জীবনের ব্যস্থতায়। সে আবারো হারিয়ে যায় তার বর্তমানে। পৃথিবীর সকল মানুষেরই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে ছোট্ট বেলার মধুমাখা সৃতিময় সব দিনগুলোর কথা। আসলে সময়টা এমনই দেখতে দেখতে কেটে যাবে জীবনের প্রতিটা মূল্যবান মূহুর্ত। যেই মূহুর্তগুলো আর কখনো স্রোতের সাথে বয়ে আসবেনা জীবন নামক এই মহাসাগরে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৯৫ জন


এ জাতীয় গল্প

→ আমার ছোটবেলার সেইদিনগুলো

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now