বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ। বিজয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ণরত একাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুন্না ছিল অন্যতম। ছোটবেলা থেকেই মুন্নার জীবনের স্বপ্ন ছিল ভবিষ্যতে সে বড় কিছু হবে। সেই স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপায়িত করবার জন্য কঠোর থেকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই কাটছিল দিনগুলো। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। প্রতিবছর বার্ষিক পরিক্ষা এবং যথারীতি স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয় মুন্না। ধীরে ধীরে পাড়ি জমাতে জমাতে সফলতার দারপ্রান্তে উপনিত হয়েছে সে। আর কিছু দিনের মধ্যেই জীবনের সবথেকে মূল্যবান পরিক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। হ্যাঁ অল্প কিছু দিনের ভিতরেই এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে তার। মুন্না এখন থেকেই খুব সুন্দর প্রস্তুতি গ্রহন করছে। অন্য সব বাজে কাজকে উপেক্ষা করে দিনের সিংহভাগ সময়ই লেখাপড়ায় কাটিয়ে দিচ্ছে। এখন তার একটাই লক্ষ যেভাবেই হোক একটা ভালো ফলাফল অর্জন করতেই হবে। এইজন্য সে দিনে রাতের প্রতিটা মূহুর্তকে পড়াশোনার জন্য ব্যয় করছে। তার ভিতরে একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করছে যে সে একটা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। আগামীকাল কাল থেকে পরিক্ষা আরম্ভ। খুবই ভয়ভীতি কাজ করছে তার মনের ভিতর৷ তারপরও সাহসীকতার সাথে ধীরে ধীরে পরিক্ষা গুলো শেষ করলো। কিছু দিন পর পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ করবে। অন্তরের মাঝে কিছুটা কৌতুহল জাগিয়ে উঠছে ফলাফল জানার জন্য। মুন্না একদিন রাত্রে খবর পাই যে আগামীকাল তার ফলাফল প্রকাশিত হবে। যথাযথ সময়ে সে স্কুলে উপস্থিত হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে তার ফলাফল জানতে পারে যে সে একটা বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে। খবরটা জানা মাত্রই সে গভীরভাবে শোকাহত হয়ে পড়ে। বাবার সম্মুকে যেমন সন্তান মারা গেলে বাবা বিশ্বাস করতে চাইনা যে তার কলিজার টুকরা আজ এই পৃথিবী থেকে বিদায় হয়েছে। ঠিক তেমনই মুন্নাও যেন তার ফলাফল দেখে বিশ্বাস করতে পারল না যে সে পরিক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সব কিছু ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। আর সে এলোপাতাড়ি বকাবকি করে। সর্বদা নিজের সাথে ভুল বকে। এবং সে পুরোপুরি পাগল হয়ে যায়। ভবিষ্যতে বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন মাটির সাথে মিশে ধুলিসৎ হয়ে যায়। এখন আর মুন্না প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায় না। বড় কিছু হওয়ার স্বপ্নও তার ঘুমের মধ্যে আসে না। সে জীবনের এমন এক মূহুর্তে এসে পৌছায়েছে যেখানে সকলে তাকে বোঝা মনে করে। হয়তোবা এখন আর কেউ বলে না ঐযে মুন্না আসছে, সকলে হয়তো বলে ঐযে পাগল আসছে। আসলে আমি জানিনা মুন্নার জীবন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। তবে প্রার্থনা করি এমনটা যেন কারওর সাথে না হয়। এক মেধাবী ছাত্র থেকে আজ তুমি পাগল। আসলে সময়টাই মুন্নার জন্য ধোঁকা।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now