বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকের নামঃ নাফিজ আহমেদ। বাবা মায়ের আদরের সন্তান কুদরত আলি।
ছোট এক গ্রামে বসবাস করতো পরিবারের তিন সদস্য। ছোট্ট বেলা থেকেই কুদরত ছিল খুবই সুক্ষ মেধার অধিকারী ও চতুর। গ্রামের সবাই কুদরতকে
ভালোবাসত তার চতুরতার জন্য। প্রাথমিক লেখাপড়ার জীবন থেকেই কুদরতের স্বপ্ন ছিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ণ করার। সে তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে অগ্রসর হয় সামনের দিকে।
মুহূর্তের পর মুহূর্ত কাটিয়ে দেয় লেখাপড়ার মধ্যে।
পরিশেষে সে তার বাবা-মায়ের মুখ উজ্জল করে নিজের আকা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। হ্যাঁ কুদরত আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন । গ্রামের লোকও খুবই খুশি
তার এই সফলতার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
লেখাপড়া শেষ করে, আজ সে অনেক বড় একটি চাকরি করছে। ঢাকাতেই সে স্থায়ী হয়ে গেছে। আর কখনো গ্রামে আসেনি। গ্রামের হাওয়া, বাতাস, ধুলা, বালি মেখে যে কুদরত এতো বড় হয়েছে, সে আজ কিছুতেই গ্রামে আসেনা। পড়ে রইল বাবা- মায়ের কথা, চাকরি পাওয়ার পর পরই কুদরত সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বাবা মায়ের সাথে। কখনো খোঁজ খবর নেয়নি তাদের। যে বাবার কাঁধে করে স্কুলে যেত প্রতিদিন। নিজের গায়ের রক্ত পানি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছেলেকে এত বড় শিক্ষিত করে তুললো যে বাবা, জ্বরে আক্রান্ত হলে সারা রাত পাশে বসে জলপটি করে দিত যে মা। আজ সেই বাবা-মাকেই ভুলে গেছে কুদরত । বাবা সমস্ত কষ্ট সহ্য করে, ছেলের খুব কাছের বন্ধুর কাছ থেকে ঢাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে।ছেলের পছন্দনীয় খাবার সাথে নিয়ে রওনা হলো ঢাকার উদ্দেশ্য। ঠিকানা মাফিক সঠিক বাড়িতে পৌছায় বাবা। কিন্তু কেন জানি আজ আদরের সেই ছোট্ট কুদরত পরিচয় দিতে চায় না নিজের। স্বীকার করতে চায় না নিজের বাবাকে। ঘৃণা পোষণ করে বাবার প্রতি। বাবা একবুক আশা আর ভালোবাসা নিয়ে গেল সন্তানের কাছে তবুও কেন জানি সেই সন্তান দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল শ্রদ্ধেয় বাবাকে। বাবা গ্রামে ফিরে আসল দুঃখ নিয়ে । নিতে হলো মিথ্যার আশ্রয়। বলতে লাগল সকলকে
আমার কুদরত আমাকে অনেক যত্ন ও আপ্যায়ণ করেছে। জি এটাই বাবা-মা,পূর্ব আকাশের লাল সূর্যটা যেমন কারওর গায়ে শীত লাগতে দেয় না। ঠিক তেমনই মা-বাবাও পৃথিবীর সমস্ত কষ্টকে
হাসি মুখে সহ্য করে সন্তানের গায়ে কোন দাগ লাগতে দেয় না।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now