বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
নীল_তিমির:১ম পর্ব
Written by:
Ariyan_Simanto
পার্টি অফিসে বসে আছে নীল।মাথা টা তার প্রচন্ড যন্ত্রনা করছে। মনে হচ্ছে যন্ত্রনায় তার মাথা টা ছিঁড়ে যাবে।চোখ দুটো দ্বপদ্বপ করে জ্বলছে। তার পুরো চোখ রক্তিম আভা ধারন করেছে। মনে হচ্ছে এই চোখ দিয়ে পৃথিবীর সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে। কেউ তার কাছে যাবার সাহস পাচ্ছে না।
ঠিক সেই সময় হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলো আহনাফ ।সে পার্টি অফিস থেকে ফোন পেয়েই ছুটে এসেছে।
নীল এখনো রেগে বুম হয়ে বসে আছে।ওর এখনো বিশ্বাস হয় না একটা হাঁটুর বয়সী বাচ্চা মেয়ে ওকে চড় মেরেছে। মি. জোহায়ের ইভান নীল কে চড় মেরেছে। ওইটুকু একটা বাচ্চা মেয়ের সাহস দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে নীল।
পার্টি অফিসে নীল,আহনাফ সবার জন্য আলাদা কেবিন বরাদ্দ আছে। আহনাফ নীলের কেবিনে ঢুকে দেখে কেবিনের সবকিছু ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। ফাইল গুলো লন্ডভন্ড হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।আর নীল চেয়ারে বসে সামনের গ্লোব টার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর ধিরে ধিরে গ্লোব টা ঘুরাতেই আছে।
আহনাফ ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নীলের সামনে গিয়ে বসলো।সে ঘটনার কিছু টা শুনে এসেছে।সে ও ভেবে পেল না কোন মেয়ের এত সাহস যে সিংহের গালে চড় মেরেছে।যেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাহস হয় না এই বুনো সিংহের সাথে লড়াই করার সেখানে একটা বাচ্চা মেয়ে ওকে চড় মেরেছে।এটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না আহনাফের।
পার্টি অফিসের সবাই জানে এই নীলকে শান্ত করতে আহনাফই পারবে।তাই যখন আহনাফ নীলের কেবিনে ঢুকলো তখন সবাই নিজ নিজ কাজে লেগে পরল।
আহনাফ ধীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো—"" কি হয়েছিল সেখানে??""
নীলের চোখ দুটো যেন দপদপ করে জ্বলে উঠলো। কথাগুলো মনে হতেই চোখ দুটো আগের চেয়ে রক্ত বর্ণ ধারণ করলো।
মনে পড়লো আজ দুপুরে ঘটে যাওয়া এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা।পরপর চোয়াল আরও শক্ত হলো____
আজ সকালে পার্টির প্রচারণার অংশ হিসেবে পার্শ্ববর্তী জেলায় গিয়েছিল।
নীল কে সবাই ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত করলো। তারপর নীল সবার উদ্দেশ্যে তার উদ্দীপ্ত কন্ঠে বক্তিতা দিল।তার বুদ্ধিদীপ্ত ভাষণ যুবকদের মাঝে আলোরোণ সৃষ্টি করলো। এজন্য সবাই তাকে ইউথ আইকন বলে ডাকে। সে হলো যুবকদের রাজনৈতিক লিডার।
বক্তিতা শেষে যুবকদের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখে সে স্মিত হাসলো।
তবে সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটলো বিপত্তি। পার্টি অফিসের নেতা কর্মীদের সবাই কে বলল সবাই যেন চলে যাই,তার কিছু কাজ আছে সেগুলো শেষ করে সে একাই যাবে।
তার কথা মত সবাই চলে গেলে সে কিছু অফিশিয়াল কাজের জন্য জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় যায়। সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু পথিমধ্যে দেখে কয়েকজন বখাটে যুবক একজন যুবতি মেয়েকে টিজ করছে।
এসব দেখে নীলের মাথায় রক্ত চড়ে যায়। নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারে না। কয়েকজন বখাটে ছেলের জন্য পুরো যুবক সমাজ কুলশিত হচ্ছে , পুরো যুবক সমাজ কে ইভ টিজার ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। নীল গাড়ি থেকে নেমে ছেলেগুলোকে বেধড়ক মারতে থাকে।
হঠাৎ কেউ তার গালে সপাটে চড় মারে।চর খেয়ে তার রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে।যেই মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়ে মারতে যাবে চোখের সামনে একটা অপরুপ সুন্দরী মেয়ে দেখে অবাক হয়ে যায়। তার কাজল কালো মায়াবী হরিণী চোখ,টিকালো নাক,সুভ্র সাদা উজ্জ্বল চেহারার একটা মেয়ে;যেন ফুটন্ত পদ্মফুল।
To be continued...
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now