বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

এর নাম জীবন

"মজার গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান পীযূষ কান্তি দাস (০ পয়েন্ট)



X "এর নাম জীবন " -------:-----:::-----:--------:---::-- পীযূষ কান্তি দাস ------------------------------------ তখন থাকি নৈহাটি, বাসাভাড়া অর্থাৎ ভাড়া বাড়িতে থাকি। পাশের বাড়িতে মুখোমুখি থাকেন এক দম্পতি,গনাদা আর মিনতি বৌদি । বয়স আনুমানিক 45 গনাদার আর মিনতি বৌদি 35। বাঙ্গাল বৌদি আর দাদা ঘটি। সংসার সাজানো গুছানো -পরিপাটি। বৌদির নাম মিনতি হলে কি হবে কাজে ঠিক উল্টোটি। সেদিন রবিবার ছুটির দিন, আমার অফিস ছুটি,তাই বাড়িতে মানে ওই বাসায় বসে ভাবছি কি করা যায়? আজ অফিস না থাকায় ক্যান্টিন ও বন্ধ। আমি ব্যাচেলার মানুষ, রান্না বান্না জানি না -হোটেলে খেতে মন চায় ও না । কি করি -কি করি ! ভাবছি বসে বসে।হঠাৎ মাথায় বিদ্যূত খেলে গেলো ।। গতকাল অফিস থেকে ফিরার সময় বৌদিও দাদার কথোপকথন যেটুকু কানে এসেছিল (আড়ি পেতে নয় কিন্তু ) -----ওগো শুনছো :----হ্যাঁ বলো -----কালকে তো রবিবার , সে খেয়াল আছে তোমার ? ---হাঁ আছে, কিন্তু কেন বলতো ? -----সেকি এরমধ্যেই ভুলে গেলে! হায় রে হায়! কি পোড়া কপাল আমার --- ,---আহাহা! কি হলো কি? কি ভুলে গেলাম ? -----কাল একটু কচু এনো বাজার থেকে । অনেক দিন খাই নি। ----আচ্ছা আচ্ছা । এই কথা! আমি ভাবলাম আবার কি না কি! আনবো বাবা আনবো । ভাগ্যিস তোমরা এদেশে এসেছিলে --- আর শোনা গেলো না। (পথ চলতে আর কতটুকুই বা শোনা যায়!) ঠিক সকাল নটার সময় আমি গনাদার বাড়ি গিয়ে হাজির । ধান্দা দুপরের দক্ষিণ হস্তের কাজটা যদি এখানে সারা যায় । (অবশ্য মাঝে মাঝে যে হয়না তা নয় ) ----বৌদি কেমন আছেন , গনাদা কই ? -----বসো ঠাকুর পো বসো, বলে বৌদি রান্না ঘর থেকে পিড়ে টা বাইরে পেতে দিলেন। ---দাদা কই বৌদি ? ঘরে দেখছি না যে ? -----বাজারে গেছেন । বাজারে গেছেন? তা কতক্ষন? ----অনেকক্ষণ --এই এলো বলে। চা খাবে ঠাকুরপো ? -----চা? তা দাও এক কাপ --- বলতে বলতে গনাদা হাজির । হাতে একটা পেল্লাই সাইজের ব্যাগ । একটি লম্বা নধর সলা কচু তার ডগাটি অত্তবড়ো ব্যাগের উপর দিক দিয়ে উঁকি মারছে। কচু দেখে বৌদিতো বহুৎ খুশ। ---তুমিও তো চা খাবে নাকি গো ? ----তা দাও একটু । চা খাওয়া তো হলো । বললাম ---বৌদি আজ উঠি। বিস্তর কাচাকাচি পড়ে আছে। তা -তাছাড়া ওইরান্নাও -করতে হবে। ----সেকি ভাই! আজ রান্না করবে মানে? ----- রান্না করবো নাতো দুপুরে খাবো টা কি ? -----আরে -না -না । আজ দুপুরে তুমি এখানেই খেয়ো। তোমার দাদা কচু এনেছে না ? ----আমার কিন্তু আসতে একটু দেরি হবে বৌদি । -----ঠিক আছে,তুমি ওই একটা -দেড়টার মধ্যেই এসো । আমি তো হাতে চাঁদ পেলাম ।। বাসায় ফিরে দরকারি কাজ গুলো সারলাম । কাচাকাচি সারলাম । টিভি তে একটু বাসি সিরিয়াল (আমার কাছে অবশ্য টাটকা,কারণ প্রতি দিন ছুটির পরে সুমনার সাথে আউটরাম ঘাটে আড্ডা মেরে ফিরতে ফিরতেই সব শ্যাষ) দেখছিলাম আর একটি সিগারেট ধরিয়ে আরাম করে খেতে খেতে বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম । শালা ঘড়ির কাঁটাও বেইমান, নড়তেই চায় না ! ওদিকে পেটের মধ্যে ছুঁচোরা ডন -বৈঠক মারা শুরু করে দিয়েছে । যাক্ বাবা অনেক কষ্টে...... প্রায় পৌনে একটা । কখন একটা বাজবে আর আমিও ও বাড়ি যাবো ! ঠিক এমনই সময় ও বাড়ি থেকেই চিল ছিতকার, গনাদা আর বৌদির ! হন্তদন্ত হয়েই ছুটলাম । গিয়েই দেখি গনাদা লাফাচ্ছেন আর বৌদি ও চিৎকার করে কাঁপাচ্ছেন পাড়া ! ----ওরে,আমার গলা গেলো রে --ওরে ও পুঁটি কোথায় গেলি মা --(পুঁটি হলো গনাদা ও মিনতি বৌদির একমাত্র আদরের লাডলি -বয়স ৭-৮বছর )একটু তেঁতুল আন দৌড়ে । এই বাঙ্গাল শালির পাল্লায় পড়ে আমার গলা টা বোধহয় গেল ! শালার কচু , শালার কচু আমার গলাটা কে দিলো... --আমায় আদর করে টেষ্ট করাচ্ছে ? -----এই বাঙ্গাল বলে গাল দেবে না বলছি --ভালো হবে না কিন্তু, বলে দিচ্ছি -- ------কেন কি করবে, বাঙ্গাল -শালা - বাঙ্গাল, একশো বার বলবো --হাজার বার বলবো -শালা বাঙ্গাল -বাঙ্গাল -বাঙ্গাল ! --কি! তুমি ঘটি, তোমার না ছিল চটি , আমার বাবার পয়সায় ব্যবসা -- ----তোর বাপের পয়সা ? কত টাকা দিয়েছিলো তোর বাপ্ হোতলা হাতি বিদায়ে - ----এই খবরদার বাপ্ তুলবে না বলছি । --কি আমি হোতলা হাতি ? তো বিয়ের আগে এই হোতলা হাতির পিছনে ঘুরঘুর কর্তে কেন ? এভাবে তুলকালাম কাণ্ড ! আমি অনেক কষ্টে রান্না ঘর থেকে লেবু এনে গনাদা কে খাইয়ে চুপ করালাম কচু বাদ বাকি পদ , সেটাও অবশ্য খারাপ নয় ,ডাল ,বেগুন ভাজা, সর্ষে ইলিশ ,যদিও 1500/কিলো ,চাটনি ইত্যাদি দিয়ে ঘ্যাঁটন সারলাম ও যথারীতি নিজের বাসায় ফিরলাম পরে কি হলো জানিনা ! বিকেল বেলায় স্টেশন পাড়ায় প্রতি রবিবারের মতো আড্ডা দিতে গেছি। দেখি গনাদা আর মিনতি বৌদি আদরের পুঁটি কে নিয়ে যাচ্ছেন ! --ও গনাদা চললেন কোথায় ? আর বলিস না ভাই --নবীনাতে ---সিনেমা দেখতে "কুছ কুছ হোতা হ্যায় " ! এর নাম জীবন ! সব কিছুই মানিয়ে নে মন !! কোলকাতা :


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৫২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ ❤️অপরাজিতা নামে আমার নতুন জীবন❤️
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি(শেষ পর্ব৯)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি(পর্ব ৮)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি (পর্ব৭)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি(পর্ব৬)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি(পর্ব৫)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি(পর্ব৪)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি (পর্ব৩)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি (পর্ব২)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার থ্রি (পর্ব১)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার টু(শেষ ৮)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার টু(পর্ব৭)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার টু(পর্ব৫)
→ আমাদের জীবনটাই অন্যরকম নাম্বার টু(পর্ব ৩)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Rafi Orton
    Golpobuzz ১ মাস পুর্বে
    আপনি যখন ন্যারেটিভ গল্প লিখবেন চেষ্টা করবেন গল্পটা নিজের পার্স্পেক্টিভ থেকে লিখতে, আর ন্যারেশন এর মাঝে কথোপকথন থাকলেও চেষ্টা করবেন সেটা যত ন্যারেটিভ ওয়ে তে করা যায়।