বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

শিউলি

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Khondokar al Nobin(guest) (০ পয়েন্ট)

X রাত ১২ বেজে ১৭ মিনিট। রূপপাত বাজারে দু একটা দোকান, মিটি-মিটি বাতি জালিয়ে দোকান বন্ধ করার উপক্রম।চারি দিকে শুনশান রাতের নীরবতা আর ঝিঝি পোকার কোলাহল। হঠাৎ মেঘের বাজে সারা নিখিল আলোকিত হয়ে গেল।ঝড় ওঠে আসবে এমনবাস্থা প্রায়।হঠাৎ একটা ভেন ওয়ালার আবির্ভাব। বাবা আপনি যাবেন কোথায়? চাচা আমি বালুগ্রাম বাজারে যাব। আপনি কি আমাকে পৌছায়ে দিতে পারবেন?হ্য বাবা আসেন ঝড় আসব বলি। ভেনে ওঠা মাত্রই জোড়ালো বাতাস উঠে আসলো। চাচা খুব জোরে বাতাস কেটে চালিয়ে যাচ্ছে। চাচা বলে উঠলেন বাবা আজ মনে হয় যেতে পারবেন না? চলেন আমার লগে আমাগো বাড়িতে থাকবেন।এখানে আমার দ্বি-মত জানানোর উপায় নাই। চাচার বাড়িতে যাওয়ার পর শুরু হলো বৃষ্টি। চাচী কুপি জ্বালিয়ে রেখে দিলেন একটা হাড়ির মধ্যে। খাবার দিলেন, অন্য দিক দিয়ে চাচী আমার জন্য বিছানা করছে অন্য একটা পাট কাঠির ঘরে। অন্ধকারের মধ্যে যে কী খাবার খেলাম তা বুঝতে পারলাম না। তবে খাবারটা এতো সু-স্বাদু ছিল তা বলে বোঝানো যাবে না। পাটকাঠির ঘরে আগে কোনো দিন থাকা হয়নি। বাহিরের বৃষ্টি আর বাতাসের শো-শো শব্দ সবটাই স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে জড়ালো মেঘের গর্জন একটা, দুটা গুনতে গুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন" কেউ একজন আমাকে ডাকছে উঠুন সকাল হয়ে গেছে। আমার সাড়া শব্দ না পেয়ে আমার হাত ধরে ডাকতেই আমি ভুল বসতো তার হাত জোরিয়ে পাশ কেটে শুলাম।সে লজ্জায় আচঙ্কা তার হাত শরিয়ে নিলে আমি চমকে উঠে দারিয়ে পরলাম।সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি তার। এতো সুন্দরী মেয়ে তাও আমার রুমে।মেয়েটি বলে উঠল বাজান ডাকছে আপনাকে তখন থেকে। বলেই একটা দৌড় দিয়ে ঘর থেকে বাহিরে চলে গেলো।আমি বার হয়ে দেখি চাচার হাতে জাল মনে হয় সে মাছ ধরতে যাবেন। আমি বললাম চাচা তাহলে আমি এখন আশি। না বাবা আপনে কাল রাতে ঠিক মতো দুটো ভাত খাইতে পারেন নাই। আমাগো বাসায় সকালের খানা খান, আপনাকে আমি পৌঁছে দিয়ে আসবানি। মা শিউলি ওনাকে নিয়ে একটু ঘুরে দেখা গিয়ে যা। আমি পুকুর হইতে দুটা খেউ দিয়া আসি। শিউলি আমাকে তার বাসা থেকে একটু দুরে নদীর ধারে নিয়ে গেল। আমি তার সাথে কথা বলার চেস্টা তবে কিভাবে, কি দিয়ে শুরু করব তা ভেবে পাচ্ছি না? ছেলেরা সব জায়গায় সাহসীকতার সাথে কথা বলতে পারে তবে সামনে যদি একটা সুন্দরী মেয়ে থাকে তবে তার সাথে কথা বলাটা ওতোটাই কঠিন হয়ে যায়। মনের মধ্যে সাহস জুগিয়ে বললাম আমি দুঃখীত, আমি বুঝতে পারিনি আপনি তখন আমার....... ঠিক আছে আপনাকে আর অনুশোচনায় ভোগতে হবে না। আমি জানি আপনি ইচ্ছা করে করেন নাই। হুম!!! আচ্ছা এই নদীর নাম কী?কুমার। আপনার বাড়ি কই? এই নদী পথ দিয়ে গেলেই সামনে ফরিদপুর ঐ খানে আমার বাড়ি। আপনি কই যাচ্ছেন? চাচা দূর থেকে ডাকছে মা শিউলি ওনাকে নিয়ে আই মা। শিউলির পশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই সে বললো থাক আপনাকে কিছু বলতে হবে না দেরি হলে মা বকাবকি করবে আমাকে। বাসায় যেয়ে দেখি অনেক বড় রুইমাছ ধরেছে চাচা। চাচী রান্নার সামগ্রী এগিয়ে দিচ্ছে আর শিউলি রান্না করছে। চাচাকে বললাম সে রান্না যানে? হও বাজান আমাগো গরীব গরের মেয়েরা ছোট্ট বেলা হইতে রান্নাবান্না,ঘরদোর, মাঠে ঘাটে সব কাজ শিক্ষে যায়। তবে আমি শিউলি মারে দিয়া তেমন কাজ করাই না, খুব আদরের কিনা!! হুম বুঝলাম চাচা তো তাকে বিয়ে দিবেন না চাচা? হই দিব তবে ভালো পোলা পাইলে বিয়ে দিবো।বাজান মাইয়া বিয়ে দেওয়া মুখের কথা না যৌতুকের জন্য টাকা গোছাই তাছি। ভালো একটা পোলার জন্য অনেক টাকা লাগে বঝছেন বাজান। আচ্ছা চাচা একটা কথা বলি আমার কাছে ভালো ছেলে আছে, মাসে সত্তর হাজার টাকা বেতন পায়- আর যৌতুক চায়না সে। তো চাচা আপনার মেয়েকে কী বিয়ে দিবেন ঐ ছেলের সাথে। বাজান ছেলেকে না দেইখা কথা না বইলা কেমনে কথ দেই কন? চাচা ধরেই নেননা ছেলেটা আমি! আমার কথা শুনে সে একটা দৌড় দিয়ে ঘরে ডুকে গেল।আমি ভেবেছিলাম সকলে সহমত হবে না। কিন্তু চাচা-চাচীর মুখে একটা হাসি দেখে আমি নিশ্চিত হলাম তারা রাজি। তবে সে কি রাগ হলো 'অতপর দেখি সে লুকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে'।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৭০ জন


এ জাতীয় গল্প

→ বেশ কিছুদিন ধরেই শিউলি ফুলের ঘ্রান টা পাচ্ছে
→ শিউলি ফুলে হাসি

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now