বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আসসালামু আলাইকুম জিজেস, অনেক অনেক দিন পর মঙ্গলগ্রহ থেকে আমি MR হাজির হলাম আপনার সামনে একসময়কার জিজের কুখ্যাত বিখ্যাত সিরিজ ক্রিকেট নিউজ নিউজ উইথ MR নিয়ে আজাইরা প্যাচাল বাদ দিয়ে সাক্ষাৎকার শুরু করা যাক। প্রথমেই চলে যাচ্ছি এক বিশ্বকাপ স্বপ্নের বাস্তব রুপদাতা, অত ভালো অলরাউন্ডার না হয়েও বারবার অলরাউন্ডার মর্যাদায় অধিষ্ট হওয়া বেন স্টোকসের কাছে।
আমি: স্টোকস ভাই কেমন আছেন? কতকাল পর দেখা।
স্টোকস: আপনার পুরাতন স্বভাব যায়নি এখনো আমাকে অপমানিত করার? প্রথমটুকো তো ঠিকই বলেছেন। পরে আবার কেন বললেন অত ভালো অলরাউন্ডার না?
আমি: সরি স্টোকস ভাই মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। আপনার মতে এইবারের বিশ্বকাপ কে নিতে পারে?
বেন স্টোকস হেসে দিয়ে: অবশ্যই আমরা নিব। আর আমরা বলছি কেন? আমিই নিব।
আমি: কিন্তুু বেন ভাই আমরা তো জানি ক্রিকেট ১১ জনের খেলা। সেখানে আপনি একাই বিশ্বকাপ নিবেন কিভাবে? এবার কী আপনি একাই ১১ জন হয়ে ইংল্যান্ড দলের জন্য খেলবেন?
বেন স্টোকস: ধূর মিয়া। আপনি কী গত বিশ্বকাপ দেখেন নি? গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারের প্রান্ত থেকে কে জিতিয়েছে? এই যে আমি জিতিয়েছি।
আমি: অমন চূরি করে সবাই জেতাতে পারে। যাইহোক স্টোকস ভাই ভালো থাকবেন। দোয়া করি বিশ্বকাপ না হলেও চায়ের কাপ যেন পান।
এবার চলে যাচ্ছি শান্তিতে বিশ্বাসী শান্তিতে জয়ী নিউজিল্যান্ডের ক্যান উইলিয়ামসনের কাছে।
আমি: ক্যান ভাই। পুরোনো স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিতে চাই। গত বিশ্বকাপে আপনাদের তীরে এসে তরী ডোবার কাহিনী সবাই জেনেছে। কিন্তুু আমরা সেদিন আপনার ক্যাপটেন্সি দেখেছি। কাছ থেকে হেরে গিয়েও আপনার চোখ যেমন অশ্রু সিক্ত ছিল তেমনি হাসি দিয়ে সেটা লুকাতে চেয়েছিলেন। হারার পরেও সতীর্থদের উৎসাহ দিয়েছিলেন। এবার আপনার লক্ষ্য কী?
ক্যান: লক্ষ্য অবশ্যই বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ নেওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে বলেন?
আমি: অবশ্যই সবাই দেখে। স্বপ্ন দেখা আর স্বপ্ন পূরণের মধ্য অনেকটা পথ বিদ্যমান। সবাই সে পথ পাড়ি দিতে পারে না। আশা করি আপনি পাড়ি দিতে পারবেন।
দর্শক এবার চলে যাচ্ছি এই সময়কার কুখ্যাত বলার বীরের দেশ আফগানিস্তানের রশিদ খানের কাছে।
রশিদ খান: শব্দটা বিখ্যাত হবে। আপনাদের রিপোর্টারের চাকরি কে দিয়েছে? শব্দ চয়েসও করতে পারেন না।
আমি: আমি আমার খেয়াল খুশি মত করেই বলেছি পিচ্চি রশিদ। যেমনটা আপনি সেরা অলরাউন্ডার না হয়েও সেরা অলরাউন্ডারের ভাব নেন।
রশিদ খান এবার রেগে গিয়ে: পিচ্চি রশিদ মানে? এই মিয়া যান আমি আপনার সাক্ষাৎকারই দিব না।
আমি: সরি, সরি খান ভাই। আচ্ছা মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। গত বিশ্বকাপে ক্রিস গেইল আপনাকে যে পিটানি দিয়েছিল শেষের এক ওভার তারপর বলই করেন নি আপনি। এবারও কী অমন মার খাওয়ার ভয় আছে আপনার?
রশিদ খান লজ্জিত কণ্ঠে: দেখেন ক্রিকেট বিষয়টাই এমন। কখন কী ঘটে যায় বলা যায় না।
আমি: দোয়া করি এমন ঘটনা আপনার সাথে প্রতিটা খেলাতেই হোক। অল দ্যা বেস্ট।
দর্শক এবার চলে যাচ্ছি, এবারের বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ শত শত কুসংস্কারের আতুর ঘর ইন্ডিয়ার বিরাট কুলির কাছে।
বিরাট কুলি : ঐটা কুলি নয় কোহলি হবে। কারেকশন করুন।
আমি: ভাই কুলি শব্দটা খারাপভাবে নিবেন না। আপনাকে বুঝাই আমি। কুলি হলো তারাই যারা অন্যের জন্য কাজ করে। সে কাজে মজুরি হিসাবে টাকাও নেয়। আপনার প্রফেশনটাও তো তেমন। আপনি দেশের হয়ে খেলেন। টাকা নেন। খেলা তো একটা কাজই। তো আপনাকে কী কুলি বলা যায় না?
বিরাট কুলি: একদমই না। আমি কী শ্রমজীবি মানুষ?
আমি: বিরাট ভাই আপনার এই বৈষম্য জাতি মানবে না। কবি নজরুল গেয়েছেন- গাহি সাম্যের গান। আজ এই পৃথিবীতে সাম্যর জয় হবে, সমতা অম্লান হবে
বিরার কুলি,: আপনি আমার নাম ঠিক করে বলুন নাহয় আমি সাক্ষাৎকার দিব না।
আমি: ওকে ওকে। আজ না হলো সাম্যর জয় একদিন হবেই হবে। কোহলি ভাই আপনার সাম্প্রতিক ফর্ম তো তেমন ভালো না৷ এবারের বিশ্বকাপে আপনি কী প্রত্যাশা করেন?
বিরাট কোহলি: প্রত্যাশা আবার কী? বিশ্বকাপ আমাদের মাটি থেকে এবার কেউই নিয়ে যেতে পারবে না।
আমি: নিয়ে যেতে পারার কথাও না। আপনারা যেভাবে চিটারি করেন। আম্পায়ার কিনে নিয়ে ম্যাচ জিতেন।
বিরাট কোহলি: শুনেন খেলা হলো দুই প্রকার। এক মাঠে খেলা। দুই টাকার খেলা। অন্য দেশ মাঠের খেলাটা খেলে। আর আমরা দুইটাই খেলি।
আমি: অল দ্যা বেস্ট। বিশ্বকাপ আপনাদের না হউক।
দর্শক, এবার চলে যাচ্ছি লাল- সবুজের পতাকা খন্ডিত দেশের ক্যাপ্টেন খানদের খান তামিম ইকবাল খান ভাইয়ের কাছে।
আমি: খান ভাই কেমন আছেন?
তামিম: আলহামদুলিল্লাহ। আপনি এতদিন পর কই থেকে আসলেন?
আমি: আসছি মঙ্গল গ্রহ থেকেই। করোনার জন্য আমাদের নিউজ এজেন্সির কার্যক্রম পৃথিবীতে বন্ধ ছিল খেলার প্রসঙ্গে আসা যাক। অক্টোবরে আপনাদের খেলা শুরু। আপনি তো গত টি২০ বিশ্বকাপেই বলেছিলেন ২৩ সালের বিশ্বকাপ আপনারা নিবেন। তো বিশ্বকাপটাকে সামনে রেখে এখন আপনার কী মনে হয় নিতে পারবেন?
তামিম ইকবাল: দেখেন বিশ্বকাপ নেওয়া বা না নেওয়া পরের ব্যপার। আমরা অনেকদিন ধরে খেলছি। এখনো কোন কাপ পাইনি। তাই অবশ্যেই এবারের এশিয়া কাপ বিশ্বকাপ আমাদের হোক এটাই চাই।
আমি: অল দ্যা বেস্ট তামিম ভাই।
এবার চলে যাচ্ছি সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের জান প্রাণ নামে খ্যাত, যিনি সবসময় সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও সর্বদা নক্ষএের মত জ্বলজ্বল করেন সেই সাকিব আল হাসানের কাছে।
আমি: সাকিব ভাই! আপনি তো ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বলেছিলেন ২৩ বিশ্বকাপ আপনি নিবেন। ১৯ সালের বিশ্বকাপে আপনার ব্যাট বলের জাদু সবাই দেখেছে। তবুও দলের কারণে আপনাকে ব্যর্থ হতে হয়েছে এবার আপনি কী মনে করেন?
সাকিব: আমি কিছুই মনে করিনা
আমি: রসিকতা করবেন না সাকিব ভাই। এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
সাকিব: পরিকল্পনা তো করবে ক্যাপ্টেন। সে যেভাবে চায় সেভাবেই করব। আর অবশ্যই চেষ্টা করব সেরাটা দিতে।
আমি: সাকিব ভাই,সবাই জানে আপনার প্রতিভা ঠিক কত উপরে সবার থেকে। তারপরেও আপনি আন্তর্জাতিকভাবে যেটুকো পাওয়ার ততটুকো মর্যাদা পাননি। আবার দলের নেতৃত্বও আপনাকে দেয়া হয়না খুব একটা। যেখানে আপনিই সেরা। এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন? বাংলাদেশ বলেই কী এমন হয়?
সাকিব: হয়তো।
আমি: যাইহোক আপনি তবুও বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস আর সর্বসাধারণের মাঝে ক্রিকেটের সম্রাট হয়ে বেচে থাকবেন আজীবন। দোয়া করি এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লাল সবুজের পতাকা উড়ুক ভারতের মাটিতে।
সুপ্রিয় দর্শক এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। এবার আমি ক্রিকেট নিউজ উইথ MR এই পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছি মঙ্গল গ্রহে। ভালো থাকবেন সুস্হ্য থাকবেন আর ক্রিকেট নিউজ উইথ MR এর সাথেই থাকবেন
লেখা:me ®
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now