বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বিয়ে নিয়ে ফ্যান্টাসি

"শিক্ষণীয় গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Fatema (০ পয়েন্ট)

X লেখক: কপিপোস্ট বিয়ে নিয়ে লাফালাফি করা আপারা পড়বেন। নিজে শখ করে বিয়ে করে পরে আল্লাহ তুমি এমন করলে কেনো..….. এই অভিযোগ করবেন না ???????? প্রায়দিন এমন যায় আমরা দুজন না খেয়ে পাশাপাশি শুয়ে আছি। পকেটে হয়তো বিশ ত্রিশ টাকা আছে। ঘরে বাজার নেই। খাব কী? দুজন দুজনকে বুঝতে দিই না যে ক্ষিদে লেগেছে। কিন্তু বাচ্চাটা তো অভাব বোঝে না। সে কাঁদে। তারস্বরে কাঁদে। কী করব কিছু বুঝতে পারি না। ঘর আঁতিপাতি করে খুঁজি। কখনো একটু আটা মিলে, একটা রুটি হয়। রুটি পানিতে ভিজিয়ে খাইয়ে দিই। একসময় এভাবে খেতো। এখন সবজি ছাড়া খেতে চায় না। মুশকিলে পড়ি। দুই বছর যাবৎ জীবন এভাবে চলছে। হয়তো বাকি জীবনও চলবে।। ব্যক্তিগত জীবনে আমি স্বল্পে তুষ্ট মানুষ। তাকে যে মাসে বিয়ে করি সে মাসে সে চাকরি ছেড়ে দেয়। চাকরিতে পোষায় না। ব্যবসায়ের মূলধন নেই। অস্থায়ী কিছু কাজ করে দিন যায়। তাকে কখনো উপার্জন নিয়ে অভাব নিয়ে খোঁটা দিই নি। আলহামদুলিল্লাহ। কখনো সে এই অভিযোগ আনতে পারবে না যে দুনিয়াবি বিষয় নিয়ে তাকে প্রেশারে রেখেছি। কখনোই না। বরং নিজের যা ছিল সব তাকে উজাড় করে দিয়েছি। কিন্তু এখন সত্যিই আমি ক্লান্ত। খুব ক্লান্ত। মাঝেমাঝে ফ্যানের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকি। ভাবি, ফ্যান যদি ছিড়ে আমার মাথায় পড়ে, যদি স্পট ডেথ হই, কতই না ভাল হবে। বাচ্চার কথা ভেবে মাফ চাই। আরো বাঁচতে ইচ্ছে করে। ফেসবুকে এখন দেখি বেকার বিয়ের রোল পড়ে গিয়েছে। বিবাহিত, লাক্সারি লাইফ লিড করা কিছু চ্যাংড়া পুরুষ, দুঃখিত আমি এর চেয়ে ভাল শব্দ ব্যবহার করতে পারলাম না, মেয়েদের বেকার বিয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। কিছু সেলিব্রেটি বলছে যদি পুরুষের মাঝে দ্বীন দেখেন তাহলে কুফু মেলানোরও দরকার নেই, গরিব হোক, যা হোক, বিয়ে করে ফেলেন। এসব পড়ে মেয়েরা ব্রেন ওয়াশড হয়ে অকর্মা, বেকার ছেলে বিয়ে করে। আর পুরো জীবন পস্তায়। অনেকে বলে নবিজি নাকি বেকার অবস্থায় বিয়ে করেছেন। অথচ এটা কত বড় মিথ্যা। নবিজি কর্মঠ ছিলেন। আরবের উপার্জন ছিল মৌসুম কেন্দ্রিক। বিয়ের কিছুদিন আগেও তিনি উপার্জন করে এসেছিলেন। বিয়ে অবশ্যই রিজিক আনবে, বরকত আনবে। তবে মেয়েরা যেন দেখে পাত্র কর্মঠ কিনা। যেকোনো হালাল পেশা করতে ইচ্ছুক নাকি স্ট্যাটাস বজায় রাখতে বেকার থাকবে তবুও সাধারণ পেশা গ্রহণ করবে না, এসব খেয়াল করা উচিত। বিয়ের আগে বেকার ছিল কিন্তু পরে জীবন বদলেছে এমন হয়তো কদাচিৎ আছে। কিন্তু বিয়ের আগে বেকার ছিল, পরেও বেকার আছে। বউ বাচ্চার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে এমন নজির আছে ভুড়ি ভুড়ি। দরকারে গাছ তলায় থাকব, শিয়াবে আবু তালিব উপত্যকায় বন্দিরা যেমন গাছের ছাল বাকল খেয়ে বেঁচেছে, সেভাবে বাঁচব, এসব ডায়লগ বিয়ের আগে দেওয়া যায়। কিন্তু বিয়ের পর আজীবন সহ্য করা যায় না। ক্ষুধার্ত বাচ্চার কান্না সহ্য করা যায় না। অসুস্থ শরীরে উপাস থাকা যায় না। দিনের পর দিন অভাব সহ্য করা যায় না। এটা খুব কষ্টকর। আল্লাহর কোনো বান্দি যেচে গিয়ে এসব বিপদ যেন নিজের উপর না টানে খালি সেই দুয়া করি। বেকার, অকর্মা, মেরুদণ্ডহীন পুরুষ বিয়ে নিয়ে যে ব্রেনওয়াশের ধারা চলছে, এই ধারায় পা দিয়েন না। পা কেটে যাবে, জখন হবে, পঁচন ধরবে, বিনা চিকিৎসায় মারা পড়তে হবে, না এই দুনিয়া পাওয়া যাবে, না ওই দুনিয়া। অনেকে বলতে পারেন দুনিয়ায় সব পেলে জান্নাতে কী পাব? আপনারা কি একটা হাদিস বা আয়াতও দেখাতে পারবেন, যেখানে আল্লাহ দুনিয়ায় এসব জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দিতে বলেছে? পারবেন??? আল্লাহ তার উপর তাওয়াক্কুল করে আগুনে ঝাঁপ দিতে বলেন নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাওয়াক্কুল করতে বলেছেন। অনেকে আবার বলবেন, দ্বীনের বুঝ যার আছে সে পুরুষ অলস হয় না। আমার স্বামীর উসিলায় আমি ফেসবুকে পরিচিত অনেক বড় বড় আলেম, দ্বীনি পুরুষকে দেখেছি। আল্লাহর কসম তাদের অধিকাংশই অলস, কুঁড়ে, পরিবারের ঝামেলা নিতে চায় না, বউদের উপর চাপিয়ে দিয়ে বিন্দাস ঘোরাফেরা করে। আল্লাহর কসম যা বলছি সত্য বলছি। অনেক দুঃখ থেকে আজ এই পোস্ট লিখলাম। কেউ কপি করতে চাইলে করতে পারেন। © নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৭০ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now