বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্প- #অবহেলা_থেকে_ভালোবাসা (সূচনা পর্ব)
লেখনীতে - #Sazzad_KR
.
মিরা একটা ছেলের সাথে চৌরাস্তার বড় ফার্মেসীর দোকান থেকে জন্মনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে ফার্মেসীর বাইরে রাস্তায় এসে দাঁড়ালো৷ ছেলেটি হাতে ছোট্ট কাগজে মোড়ানো ওষুধগুলো মিরা হাতে দিয়ে বলল
--'মিরা এই ওষুধগুলো বাসায় গিয়ে খেয়ে নিও আর কোন সমস্যা হবে না '
মিরা কাগজটা হাতে নিলো। ভেতরে কি আছে সেটা না দেখেই ব্যাগে রেখে দিয়ে বলল
--'এর ভেতর কিসের ওষুধ আছে '
--'জন্মনিরোধক কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেলে আর কোন সমস্যা হবে না '
মিরা কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলল
--' আকাশ আমার অনেক চিন্তা হচ্ছে আমি যদি প্রেগনেন্ট হয়ে যায় তাহলে কি হবে '
--' মিরা এত চিন্তা করছো কেন তোমাকে জন্মনিরোধক ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি এতে আর কোন সমস্যা হবে না এবং এটা তো আর প্রথম না এর আগেও তো আমাদের সাথে অনেকবার হয়েছে তখন তো কিছু হয়নি এবারও কিছু হবে না '
--' ঠিক আছে তবে কথা দাও আমি যদি প্রেগনেন্ট হয়ে যায় তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে '
আকাশ মিরার ডান হাত শক্ত করে ধরে বলতে লাগল
--' আমি তোমাকে বলেছিলাম চাকরি পেলেই তোমাকে বিয়ে করব এই কথা বলার পরেও তুমি চিন্তা করো কেন? '
--' জানিনা তুমি বার বার বলার পরেও আমার শুধু চিন্তা হয় '
-- ' এরপর থেকে আর চিন্তা করবে না সবসময় আমার উপরে ভরসা রাখবে ওকে '
মিরা মুচকি একটা হাসি দিল, আকাশ একটা রিক্সা ডাকলো। তারপর দুজনে রিক্সায় ওঠে চলে গেল৷ তারা চলে যেতেই রাস্তায় জ্যাম লেগে গেল। সেই জ্যামের ওপর পাশে মিরার খালাতো ভাই সাজ্জাদ দাঁড়িয়ে ছিল। সে মিরাকে অন্য ছেলের সাথে দেখতে পেয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল৷ মিরার কি করছিল সেটা শুরু থেকে শেষ পযন্ত দেখেছে, এই বিষয়ে তার অনেক আগে থেকে সন্দেহ ছিল কিন্তু আজকে সন্দেহ পরিষ্কার হয়ে গেল। মিরা এবং আকাশ অনেকটা পথ চলে গেছে, তাই সাজ্জাদ রাস্তা পার হয়ে ফার্মেসীর দোকানে প্রবেশ করতেই দোকানের একজন কর্মচারী এসে বলল
--'হ্যাঁ ভাইয়া বলুন কি লাগবে?'
সাজ্জাদ পকেট থেকে ফোনটা বের করলো৷ গ্যালারিতে গিয়ে মিরার ছবি বের করে কর্মীকে দেখিয়ে বলল
--'মেয়েটাকে ভালো করে দেখুন। আমি এখানে ওর বিষয়ে জানতে এসেছি, একটু আগে একটা ছেলের সাথে এখানে এসেছিল? এখন আপনি কি বলতে পারবেন কেন এসেছিল?'
দোকানের কর্মীটা সন্দেহ চোখে সাজ্জাদের দিকে একবার তাকিয়ে ছবির দেখার দিকে মন দিল৷ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলা শুরু করলো
--'আপনি মেয়েটার কি হন?তার ব্যাপারে জানতে এসেছেন?'
--'আমি ওর ভাই এবার বলুন কেন এসেছিল?'
--'যেহেতু ভাই হন তাই বলছি মেয়েটা কয়েকদিন পর পর ছেলেটার সাথে এখানে আসে'
--'কিসের জন্য আসে এবং আমি রাস্তার ওপাশ থেকে দেখলাম সে ইনজেকশন নিচ্ছে সেটা কিসের একটু বলুন তো?'
--'মেয়েটা আজকে জন্মনিরোধক ইনজেকশন নিতে এসেছিল তার সাথে কয়েকটা ওষুধ'
এইসব কথাগুলো শুনে সাজ্জাদ অনেক অবাক হয়ে যাচ্ছে কর্মী ভুল বলছে না তো আবার। কাজের চাপে অনেক সময় ভুল বলে দেয় তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য মিরার ছবিটা আবার দেখালো তারপর বলল
--'আপনি নিশ্চিত এই মেয়েটাই জন্মনিরোধক ইনজেকশন নিয়েছে?'
--' হ্যাঁ ভাই এই মেয়েটাই'
সাজ্জাদ আর কিছু বলার মতো ভাষা খুঁজে পেল না৷ দোকানের কর্মীকে কিছু না বলে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসার দিকে যেতে লাগল৷ রাস্তা দিয়ে হাঁটছে এবং মনে মনে বলছে
--'ভাগ্য ভালো আজকে টিউশনি করিয়ে দেরীতে ফিরে ছিলাম নাহলে মিরার আসল চেহারা আর কখনো দেখতে পেতাম না৷ আজকে গিয়ে মিরাকে বুঝাতে হবে সে এইরকম খারাপ কাজ কেন করলো৷ এইসব ভাইরাল হলে সমাজে কারো সামনে মুখ দেখাতে পারবে না সে কথা কি সে ভেবেছে৷ তার সাথে এটাও জানতে হবে ওর সাথে ছেলেটা কে?যে ওর সাথে ফার্মেসীতে এসেছিল?আজকে বাসায় গিয়ে সব সত্য বের করবো'
এইসব ভাবছে এবং বাসার দিকে হেঁটে যাচ্ছে৷ সাজ্জাদ এর পুরো নাম সাজ্জাদ কেআর ডাকনাম সাজ্জাদ৷ আপন বলতে তার কেউ নেই ছোট থেকে খালার বাসায় থেকে বড় হয়েছে, অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়াশুনা করছে প্রথমে যে মিরার ঘটনা পড়লেন সে হলো সাজ্জাদের খালাতো বোন৷ মিরার সাথে যে ছেলেটা ছিল সে হলো মিরার বয়ফ্রেন্ড, বাকী কথাগুলো গল্পের ভেতর জেনে যাবেন৷
সাজ্জাদ বাসার সামনে এসে দেখতে পেল৷ মিরা ওর রুমের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থেকে ফোনে কথা বলছে, মিরা সাজ্জাদকে দেখা মাএই কল কেটে দিয়ে রুমের ভেতর প্রবেশ করলো। বিষয়টা সাজ্জাদ অনেক আগেই খেয়াল করেছে কিন্তু কিছু বলেনি৷ সাজ্জাদ বাসার ভেতর প্রবেশ করে কলিংবেল বাজালো। একটু পর মিরার আম্মু মানে সাজ্জাদের খালামণি দরজা খুলে দিল।
-
সাজ্জাদ বাসার ভেতরে প্রবেশ করে মিরার রুমে চলে গেল৷ মিরা বিছানায় চোখ বন্ধ শুয়ে ছিল। খাটের পাশে একটা বসার চেয়ার ছিল সেখানে গিয়ে বসতে বসতে সাজ্জাদ মিরাকে বলল
--'মিরা ঘুমিয়ে আছিস নাকি?'
সাজ্জাদ কন্ঠশুনে মিরা চোখ খুলে কিছুটা অবাক হয়ে বলল
--'ভাইয়া এইসময় তুই আমার রুমে কি বলবি তাড়াতাড়ি বল?'
--'তোকে কয়েকটা প্রশ্ন করব তার সঠিক উওরগুলো তুই দিবি কেমন'
--'ঠিক আছে বল'
--'একটু আগে তোকে চৌরাস্তায় ফার্মেসীর দোকানে একটা ছেলের সাথে দেখেছিলাম! ছেলেটার সাথে কি করছিলি সেখানে'
সাজ্জাদ সব জানে তবুও সে মিরার মুখ থেকে শুনতে চায়৷ কিন্তু সাজ্জাদের এমন কথা শুনে মিরার কপাল বেয়ে গাম পড়তে লাগল। মাথার উপর ফুলস্পিডে ফ্যান ঘুরছে তাতেও মিরা গেমে যাচ্ছে,চোখ বড় বড় করে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে আছে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না৷ মিরার এমন অবস্থা দেখে সাজ্জাদ আবার জিজ্ঞেস করলো
--'চুপ করে আছিস কেন? কথা বলতে পারিস না?'
মিরা আরো কিছুটা ভয় পেয়ে গেল, এত ভয়ের মাঝেও নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলল
--'আমার এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম'
মিথ্যা বলার জন্য সাজ্জাদের মাথায় রক্ত হয়ে গেল৷ মিরার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে বলল
--'মিথ্যা বলছিস কেন? চুপচাপ নিজ থেকে সত্য কথা বল নাহলে আমি নিজে তোর মুখ থেকে সত্য কথা বের করব?ছেলেটা কে ও কিসের জন্য ছেলেটার সাথে ফার্মেসীতে গিয়েছিলি'
মিরা কান্না করা শুরু করে দিল৷ কিন্তু এতে সাজ্জাদের মন গলানো গেল না সে আগের মতো অটুট হয়ে আছে, কোনমতে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, মিরা কিছু বলছে না৷ চুপচাপ কান্না করে যাচ্ছে, এটা দেখে সাজ্জাদের রাগ আরো বেড়ে গেল৷ তবুও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে কঠোর গলায় বলল
--'বলছিস না কেন?ছেলেটা কে এবং ওর সাথে ফার্মেসীতে গিয়েছিলি কেন?'
মিরা কান্না করা অবস্থাতে বলল
--'ছেলেটার নাম আকাশ৷ আমার বয়ফ্রেন্ড আমাদের তিন বছরের রিলেশন'
--'সেটা বুঝলাম কিন্তু তুই ওর সাথে ফার্মেসীতে গিয়েছিলি কেন?'
মিরা সাজ্জাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে কান্না করতে লাগল৷ সাজ্জাদ সব কথা জানলেও মিরার মুখে থেকে সব কথা শুনে নিশ্চিত হতে চায় যে দোকানের কর্মীটা সত্য বলেছে , মিরা চোখ বড় বড় করে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে আছে এবার কি বলবে সেটা ভেবে পাচ্ছে না।
সাজ্জাদ নিজের রাগকে কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না৷ মিরার দু-গালে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে মিরার ব্যাগ থেকে আকাশের দেওয়া কাগজ বের করে নিয়ে এসে কাগজের ভেতরে থাকা ওষুধগুলো মিরার সামনে ঢেলে দিল৷ মিরা ওষুধগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকে চোখের পানি ফেলছে, ওষুধগুলো জন্মনিরোধকের৷ সাজ্জাদ মিরার চুলের মুঠি ধরে বলতে লাগল
--'তোর ব্যাগে এই ওষুধগুলো কিসের জন্য এসেছে? এবং আজকে ফার্মেসীতে জন্মনিরোধক ইনজেকশন কেন নিয়েছিস?'
মিরার নিজের হাত দিয়ে চুল ছাড়ানোর চেষ্টা করলো৷ কিন্তু সাজ্জাদ আরো জোরে চুলের মুঠি ধরে বলতে লাগল
--'নিজের বয়ফ্রেন্ডের সাথে নষ্টামি করতে তোর লজ্জা লাগলো না৷ খালু-খালা কি তোকে এইসব করার শিক্ষা দিয়েছে, এবং সেগুলো করেছিস এখন যদি প্রেগনেন্ট হয়ে পড়িস তাহলে তোর দায়িত্ব কে নিবে? তোর প্রেমিক আকাশ কি নিবে তোর দায়িত্ব'
কথাগুলো বলে চুলের মুঠি ছেড়ে দিল৷ মিরা ওর চুলে হাত দিয়ে কান্না করছে৷ পাশের চেয়ারে সাজ্জাদ মাথায় রাগ নিয়ে বসে আছে, ছোট থেকে যাকে নিজের বোনের মতো দেখে এসেছে সে যদি এইসব কাজ করে তাহলে কার মাথা ঠিক থাকবে, মিরাকে দিয়ে এইসব কখনো আশা করেনি৷ মিরা চুলে হাত দিয়ে কান্না করতে করতে বলতে লাগল
--'তুমি যেগুলো শুনেছো সবকিছু মিথ্যা? আমি কারো সাথে কিছু করিনি '
--'কি করেছিস না করেছিস সবকিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে, আমার মনে করতাম তুই শুধু রিলেশন করিস কিন্তু তুই তো এর থেকেও খারাপ কাজ করিস?'
--'কেন ভাইয়া ভালোবাসা অপরাধ নাকি?'
--'আমি বলিনি যে ভালোবাসা অপরাধ। তুই যে কাজ করেছিস সেটা জঘণ্য কাজ। তুই এত নিচু হতে গেছিস কেন?'
মিরা কিছু বলছে না শুধু কান্না করে যাচ্ছে, কান্নাগুলো মোটেও সাজ্জাদের পছন্দ হচ্ছে না৷ মাথার ভর্তি রাগ এবং বিরক্তি নিয়ে বলল
--'এই ন্যাকা কান্না বন্ধ কর৷ আজকে থেকে তোর বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ সারাদিন বাসায় বসে থাকবি৷ আমি তোর আকাশের ব্যবস্থা করছি'
কথাগুলো বলে সাজ্জাদ রুম থেকে বের হতে যাবে এমন সময় মিরা গিয়ে সাজ্জাদ পা জড়িয়ে ধরলো এবং বলতে লাগল
--'প্লিজ ভাইয়া তুই আকাশকে কিছু করিস না৷ তার সাথে আব্বু-আম্মুকেও কিছু বলিস না, আকাশের কিছু হলে আমি বাঁচতে পারব না'
সাজ্জাদ মিরার কাছে থেকে পা ছাড়িয়ে নিয়ে বলতে লাগল
--'খালু বাসায় এলে তাকে সব বলব৷ তুই কতটা নিচু হয়ে গেছিস সেটা তাকে জানাতে হবে৷ তবে তার আগে আকাশের ব্যবস্থা করব শুধু অপেক্ষা কর'
--'প্লিজ ভাইয়া তুই কাউকে কিছু বলিস না। আমি আর এইসব কাজ করব না'
--'তোকে করার সুযোগ দিলে তো করবি৷ আজকে থেকে তোর বাইরে যাওয়া সম্পূণ অফ হাজার চেষ্টা করলেও বাইরে যেতে পারবি না'
--'ভাইয়া প্লিজ তুই এইরকম কাজ করিস না'
--'ওইমুখ নিয়ে আমাকে ভাইয়া ডাকবি না৷ আমি তোর ভাই নয়'
সাজ্জাদ কথাগুলো বলে মিরার রুম থেকে বের হয়ে এলো। নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিল এমন সময় সাজ্জাদের খালামণি এসে বলল
--'সাজ্জাদ মিরার কি হয়েছে ওর রুম থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম?'
--'ওইসব কিছুই না আজকে রাতে খালু আসার পর তোমাদের একটা কথা বলার আছে'
--'কি কথা আছে এখুনি বল'
--'খালু আসার পরই বলবো'
--'ঠিক আছে এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়'
সাজ্জাদ আর কিছু না বলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে প্রবেশ করলো। আয়নাতে নিজের মুখ দেখছে এবং মিরার কথা ভাবছে সে কতটা নিচে নেমে গেছে এইসব কথা যদি সমাজের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে৷ মিরার আত্নহত্যা করা ছাড়া অন্য কোন পথ থাকবে না, এগুলো ভেবে ফ্রেশ হয়ে বাইরে চলে এলো। তারপর লাঞ্চ করে মিরার রুমে গেল আকাশের বাসার ঠিকানা নিতে৷
মিরার রুমে প্রবেশ করে দেখতে পেল৷ সে ফোনে কথা বলছে, সাজ্জাদকে দেখা মাএ ফোনটা লুকিয়ে ফেলল। মিরার মনের ভেতর ভয় জেগে ওঠল৷ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে ওঠলো
--'ভাইয়া তুই এখানে?'
--'হ্যাঁ আমি তুই কার সাথে কথা বলছিলি?'
মিরা কিছুটা অবাক হয়ে বলল
--'কোথায় আমিতো কারো সাথে কথা বলছিলাম না৷ তুই বোধয় ভুল দেখেছিস?'
সাজ্জাদ রেগে গিয়ে মিরার কাছে থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে কল লিস্টে গিয়ে দেখল আকাশের নামটা উপরে ভাসছে , এটা দেখে সাজ্জাদ আরো রাগান্বিত হয়ে বলতে লাগল
--'তুই বললি কথা বলিনি তাহলে এটা কি?'
মিরার ভয়ে চুপ করে আছে কিছু বলার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না৷ চোখ বড় বড় করে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সাজ্জাদ মিরার ফোনটা মেঝেতে ফেলে দিয়ে রাগী কন্ঠে বলতে লাগল
--'আকাশের কোথায় থাকে?'
--'আমি জানিনা'
--'দেখ আমার রেগে যেতে বাধ্য করিস না ভালোভাবে আকাশের ঠিকানা বল'
--'বললাম তো আমি জানিনা'
সাজ্জাদ রেগে গিয়ে জোরে একটা থাপ্পড় মারল। থাপ্পড় খেয়ে মিরা কাঁদতে কাঁদতে আকাশের বাসার ঠিকানা বলে দিল, আকাশের বাসার ঠিকানা বলার পর সাজ্জাদ বলল
--'তুই বাসা থেকে বের হবি না আমি গিয়ে আকাশের সাথে কথা বলে আসছি'
কথাগুলো বলে সাজ্জাদ মিরার রুম থেকে বের হতে যাবে৷ তখন পেছন থেকে ভারী কিছু দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় আঘাত করলো৷ আঘাত করার জন্য মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে লাগল। সাজ্জাদ মাথায় হাত দিয়ে পেছনে তাকালো তারপর দেখল। মিরা হাতে ফুলদানি নিয়ে দাড়িয়ে আছে.....??
#চলবে
[ গল্পের কোথাও ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটা ১৮+ মনে করবেন না গল্পের ভেতর ১৮+ কোন সিন থাকবে না৷ ধন্যবাদ]
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...