বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

আমার পিচ্চি বাহিনী

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Shariful Islam (০ পয়েন্ট)

X আলহামদুলিল্লাহ ????আল্লাহুমা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন আফদ্বলা সলাতিকা???? আল্লাহর কী অপরূপ সৃষ্টি, অপার মহিমার প্রকাশ।যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই । কী সুন্দর, কী অপরূপ, কী কোমল, কী মায়া, কী স্নেহ, কী মমতা ! কুসুম যেমন কোমল, তার চেয়ে অধিক তার কোমলতা, তার শোভা। যতই দেখি তৃষ্ণা মেটে না । তার স্পর্শ, তার চাহনি, তার হাঁটি, হাঁটি; পা, পা চলন, তার বলন, তার হাসি-উচ্ছ্বাস, উচ্ছলতা, তার আধো আধো বোল, হৃদয়গ্রাহী, মনোমুগ্ধকর । আল্লাহর কী নিষ্কলুষ সৃষ্টি ! আমি মুগ্ধ, আমি বিমোহিত। যখন নরম কোমল এক হাতে গলা জড়িয়ে, অপর হাত বুকের উপর রেখে, পরম নির্ভরতায় বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন দেহের ভিতর এক অপূর্ব শিহরণ খেলে যায়, এক স্বর্গীয় শোভা প্রস্ফুটিত হয় । মনে হয় পেলাম, জগতের সমস্ত মূল্যবান রত্ন বুজি আজ আমার বক্ষে শায়িত । এর মূল্য হয় না, এ সম্পদ অমূল্য । মহাকাশের সমগ্র তারকারাজি আমার বক্ষে আজ শায়িত । তার শোভার নিকট জগতের সমস্ত শোভা আজ অনাড়ম্বর। তাদের নরম, কোমল তুলতুলে গালে যখন চুমু খাই, তখন মনে হয় পান করলাম, এক অমৃত সুধা । সকল অপূর্ণতা আজ পূর্ণতা পেয়েছে, দিশাহীন জীবন পেয়েছে পথের দিশা । সকল আকাঙ্খার হয়েছে অবসান, নিশাবসান । আল্লাহর সৃষ্ট সবচেয়ে সুন্দর, কোমল ও নির্মলতম নিদর্শন “ শিশু ” শিশুর প্রতি আচরণ সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিশুকে স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান দেখায় না সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯২১) আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একবার রাসুল (সাঃ) নিজ নাতি হাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন। সে সময় তার কাছে আকরা বিন হারেস উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমি দশ সন্তানের জনক। কিন্তু আমি কখনও তাদের আদর করে চুমু খাইনি। তখন মহানবী (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হয় না’। (বুখারি, হাদিস নং: ৫৬৫১) ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ মুসলিমে একটি হাদিস সংকলন করেন- হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে একদিন এক নারী দুটি কন্যা শিশু নিয়ে আসলেন। তিনি তাদের ৩টি খেজুর দিলেন। ওই নারী দুই শিশু সন্তানকে ২টি খেজুর দিলেন। বাকি একটি সে নারী মুখে দিতে যাবেন, এমন শিশুরা সেটিও খেতে চাইলে ওই নারী নিজে না খেয়ে খেজুরটি দুই টুকরো করে দুই শিশু সন্তানকে দিয়ে দিলেন। শিশু সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসায় হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা চমকে গেলেন। তিনি এ ঘটনাটি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বর্ণনা করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আয়েশা! আল্লাহ তাআলা ওই নারীকে এ ভালোবাসার বিনিময়ে জান্নাত দান করবেন অথবা এ ভালোবাসার বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।’ (মুসলিম) প্রত্যেকটা শিশুই আমার পিচ্চি বাহিনীর সদস্য।আমি কারো চাচ্চু,কারো মামা, কারো ভাইয়া।অনেক পিচ্চি আছে যাদেরকে জীবনে দেখি নাই সেও আমাকে চিনে না কিন্তু আমাকে দেখেই নিজেদের আম্মুদের রেখে আমার সাথে ঘুরা আর খুনসুটি তে মেতে উঠে। এই পিচ্চি বাহিনীর সদস্যরা মসজিদে গেলে তুমুল দুষ্টামি করে।কেউ কেউ আমাকে নাকি স্বপ্নেও দেখে।আবার কেউ ভিডিও কলে বারবার যেতে বলে।অনেক উপদেশও দেয় তারা যেমন, মাস্ক পরো নাহলে ভাইরাস ধরবে, বেশি গেম খেললে মাথা আউট হয়ে যাবে ইত্যাদি। তবে পিচ্চি বাহিনীর সদস্যরা একেকজন একেক জায়গায় থাকে, তাই সফরটাও দীর্ঘ করতে হয়।সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় বিদায় এর সময় তাদেরকে রেখে আসতে,যখন ওরা ঘুমায় তখনই সুযোগ বুঝে কেটে আসা লাগে, অনেকের সাথে লুকোচুরি খেলার নাম করে পালিয়ে আসা লাগে, তারপরই ফোন শুরু ওদের কান্না থামাতে আবার ফিরতে হবে। সদ্য ভূমিষ্ঠ বাচ্চা কি বুঝে? সেও আমার হাতের আঙ্গুল ধরে রেখে জানান দেয় আমিও তোমার বাহিনীর নতুন সদস্য আমাকে রেখে পালাবে কই? আমার মতো অধমের প্রতি তাদের এই কোমল, নিষ্পাপ, মায়াভরা ভালোবাসা কত কোটি টাকা দিয়ে কিনবো আমি! আল্লাহ আমার পিচ্চি বাহিনীর সব সদস্যগুলোর নাম , তোমার আদর, ভালোবাসা ও নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করুন।তাদের কল্যাণকর জ্ঞান দান করুন,তাদেরকে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনদার্শ মতো জীবন গড়ার তৌফীক দান করুন,,,আমিন। ভালোবাসা অবিরাম।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৭২ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now