বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অন্ধকার হবার আগেই সাহেব আর তার দলবল এসে হাজির হল। সবার সামনে সাহেব, তার মাথায় হ্যাট, বুকে একটা কালো চশমা ঝুলছে, হাফ প্যান্ট, ভারী বুট। তার সাথে সাথে কাচু মিয়া। ঘেমে একেবারে চুপসে আছে। তাদের বেশ পেছনে অন্য লোকজন। তাদের মাথায় কাঠের খালি বাক্স, নিশ্চয়ই এগুলিতে করে ফসিলগুলি নেবে।
লোকগুলি তাদের মাথার জিনিসগুলি নামিয়ে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নেয়। আমরা ভোরে যখন পাহাড়ে টি-রেক্সের ফসিলটি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, এই লোকগুলিও সেরকম হতবাক হয়ে আছে। আমরা ভয় পাই নি, কিন্তু মনে হল এই লোকগুলি বেশ ভয় পেয়েছে। পাহাড়ে পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থেকে আমরা অপেক্ষা করতে থাকি কখন তারা হ্রদের আরেকটু কাছাকাছি গিয়ে পাহাড়ি দানোর পায়ের ছাপটা দেখবে।
কিছুক্ষণের মাঝেই একজন হ্রদের কাছাকাছি হেঁটে গেল। হঠাৎ সে পাহাড়ি দানোর পায়ের ছাপটা দেখে, সাথে সাথে সে পাথরের মত জমে গেল। একরার সামনে তাকাল, আরেকবার পেছনে তাকাল তারপর হঠাৎ আর্ত চিৎকার করে ছুটতে শুরু করল। তার গলার স্বর শুনে মনে হতে থাকে পাহাড়ি দানো বুঝি তাকে তাড়া করেছে, আরেকটু হলেই তাকে খপ করে খেয়ে ফেলবে!
লোকটার চিৎকার শুনে সবাই তার কাছে ছুটে গেল, লোকটা এক নিঃশ্বাসে কিছু
একটা বলল এবং আরো কয়েকজন তার পিছু পিছু পাহাড়ি দানোর পায়ের ছাপ দেখতে গেল। আমরা ওপরে থেকেই বুঝতে পারি, নিচে একটা ভয়ঙ্কর আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রেডারিক সাহেবকে গিয়ে কেউ একজন কিছু একটা বলল তখন দেখলাম সেও ছুটে গেল। পাহাড়ি দানোর পায়ের চিহ্নের পিছু পিছু কয়েকজন সাহসী মানুষ হাঁটতে থাকে আর হঠাৎ করে তারা ছোট চাচার রক্তমাখা শার্টটা আবিষ্কার করে ফেলল। মানুষগুলি তখন গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে থাকে এবং অন্য সবাই সেখানে ছুটে যায়। সবাই রক্তমাখা শার্টটাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে, উত্তেজিত কথাবার্তা হতে থাকে, কিছুক্ষণের মাঝেই মানুষগুলি জটলা করতে শুরু করে।
আমরা ওপর থেকে বুঝতে পারি মানুষগুলি এখানে রাত কাটাতে সাহস পাচ্ছে না। তারা বলছে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হোক, তারা এই মুহূর্তে চলে যেতে চায়। সাহের কাচু নিয়াকে দিয়ে তাদের জানিয়ে দিল যে সব মালপত্র আবার ফিরিয়ে নিতে হবে। যদি না নেয় তাদের একটি পয়সাও দেয়া হবে না।
লোকগুলি হত দরিদ্র মানুষ। অল্প কিছু জন্যে এখানে এসেছে, এখন
এখানে থাকার সাহস নেই কিন্তু চলেও যেতে পারছে না। দেখলাম সবাই মিলে
কাছাকাছি জটলা করতে থাকে। আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে গেলে লোকগুলি আগুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now