বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫১

"সাইন্স ফিকশন" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Ridiyah Ridhi (০ পয়েন্ট)

X দলের লোকগুলি নিয়ে হ্রদের কাছাকাছি কোথাও রাত কাটাবে। তিনি এমন একটা জায়গা খুঁজে বের করতে চান যেটা হবে অনেক ওপরে, সহজে কেউ আসতে না পারবে না, কিন্তু সে জায়গাটা নিচে থেকে খুব সহজে দেখা যাবে। শেষ পর্যন্ত এ রকম একটা জায়গা পাওয়া গেল। একপাশে উঁচু পাথরের দেয়াল, মাঝখানে খানিকটা জায়গা মোটামুটি সমতল। ছোট চাচার কথা মত, আমরা সেখানে কিছু পাথরের স্তূপ দাড়া করলাম। বিছানার একটা চাদর ছিল, সেটাতে বড় একটা চোখ আর দাঁত আঁকা হল কাদা মাটি দিয়ে। রাতের অন্ধকারে এটা নাড়াচাড়া করলে আবছা অন্ধকারে দূর থেকে মনে হবে ভয়বাহ একটা প্রাণীর মাথা নাড়াচাড়া করছে। পাহাড়ি দানোর গর্জন কেমন করে তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে গবেষণা করা হল। দুই হাতে মুখ ঢেকে থোয়াংসা চাই নানা ধরনের বিচিত্র শব্দ করতে পারে, সেখান থেকে বেছে বেছে একটা শব্দ ঠিক করা হল। হ্রদের পাশে এই এলাকার একটা বিশেষত্ব রয়েছে। ছোট একটা শব্দ করলেও সেটা খুব চমৎকারভাবে অনেকদূর পর্যন্ত শোনা যায়। মনে হয় চারপাশে পাথরের দেয়ালগুলি থেকে শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়ে আসে। খুঁজে খুঁজে কিছু ফাঁপা ডালপালা বের করা হল, একটার সাথে আরেকটা টোকা দিলে বিচিত্র এক ধরনের শব্দ হয়, পাহাড়ি দানো ছুটে বেড়াচ্ছে বোঝানোর জন্যে এটা দিয়ে শব্দ করা হবে। আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট পাথর সাবধানে এমনভাবে স্তূপ করে রাখলাম যেন আস্তে টোকা দিলেই সেটা হুড়মুড় করে পড়ে যায়। পাহাড়ি দানোটা যখন ছোটাছুটি করবে তখন এগুলি ধাক্কা দিয়ে ফেলে মোটামুটি একটা ভয়ঙ্কর পরিবেশ তৈরি করা হবে। বিকেল হবার আগেই আমাদের সব প্রস্তুতি হয়ে গেল। এখন শুধু অপেক্ষা করা। অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে আমরা আবার এলাকাটা ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি। পাথরের আড়ালে আরো নানা ধরনের ফসিল খুঁজে বের করলাম আমরা। হ্রদের পাশে এক জায়গায় হঠাৎ কি একটা প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখে থোয়াংসা চাই খুব উত্তেজিত হয়ে উঠল। প্রাণীটা কি সে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু আমরা কিছুতেই বুঝতে পারলাম না। খোয়াংসা চাই জায়গাটা ভাল করে দেখে হঠাৎ তার জিনিসপত্র নামিয়ে তার সেই ফাঁদ তৈরি করতে শুরু করল। প্রাণীটি কি আমরা জানি না কিন্তু মনে হচ্ছে সে এটা না ধরে ফিরে যাবে না। আমরা থোয়াংসা চাইকে সাহায্য করলাম, মোটা একটা গাছের ডালকে খুব কায়দা করে বাঁকা করে আনা হল, একটা বড় পাথরও এবারে কোথায় জানি বেঁধে দিল, ফাঁদটা গাছের ডালপালা দিয়ে ঢেকে দেয়া হল যেন দেখা না যায়। আমরা থোয়াংসা চাইয়ের ফাঁদ তৈরি করায় এত ব্যস্ত ছিলাম যে, লক্ষ্যই করি নি বেলা প্রায় পড়ে এসেছে। ছোট চাচা ওপর থেকে ডাক দিলেন, সবাই ওপরে চলে আস। সময় হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বুকের ভেতরটা হঠাৎ কেমন জানি করে ওঠে, কি হবে আজ রাতে?


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২৮১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫২
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫০
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৯
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৬
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৮
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৭
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৫
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩২
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩১
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩০
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৭
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৮
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৯
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ২০

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now