বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
না। ছোট চাচা হাত বাড়িয়ে পাখিটা নিলেন আর ঠিক তখন পাখিটা ডানা ঝাপটে উঠল আর এক ঝলক রক্ত ছিটকে এসে ছোট চাচার হাতমুখ আর কাপড় লাল হয়ে উঠল। ছোট চাচা নিজের রক্তমাখা কাপড়টার দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে হঠাৎ মুখ তুলে বললেন, আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে।
কি আইডিয়া? দাড়া বলছি। ছোট চাচা নিজের রক্তমাখা শাটটা খুলে নিচে বিছিয়ে বললেন, এই শার্টটা আরো ভাল করে রক্ত দিয়ে ভেজাতে হবে।
পাখিটা কষ্ট পাচ্ছিল, তাকে এমনিতেই জবাই করে নেয়া দরকার। ছোট চাচা তার শার্টের ওপর জবাই করলেন। তার এত সুন্দর শার্টটা পাখির রক্তে মাখামাখি হয়ে গেল। ছোট চাচা তখন শাটটা পাথরে ঘষে ঘষে এখানে সেখানে ছিঁড়ে ফেললেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি করছ ছোট চাচা?
পাহাড়ি দানে৷ একটা মানুষকে ধরে খেয়ে ফেলেছে। এটা তার শার্ট। পাহাড়ি দানো?
আমরা এখানে পাহাড়ি দানোর জন্ম দেব।
কেমন করে? বলছি শোন।
ছোট চাচা তখন তার পরিকল্পনাটা খুলে বললেন, শুনে আমরা আনন্দে লাফাতে থাকি। এরকম চমৎকার বুদ্ধি শুধু ছোট চাচার মাথা থেকেই বের হতে পারে। হাতে সময় বেশি নেই, ছোট চাচার সাথে আমরা কাজে লেগে গেলাম।
প্রথমে হ্রদের কাছের নরম মাটিতে মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে পাহাড়ি দানে। নামের সেই রহস্যময় প্রাণীর পায়ের ছাপ তৈরি করলাম। চার হাত দূরে দূরে একেকটা পায়ের ছাপ, সামনে তিনটা বড় নখ, পেছনে একটা ছোট, দেখে মনে হয়, হ্রদের ভেতর থেকে অতিকায় একটা প্রাণী উঠে এসে হ্রদের পাশ দিয়ে পাহাড়ের দিকে হেঁটে গেছে। কাছাকাছি রক্তমাখা ছিন্নভিন্ন শাটটা রাখা হল। গাছের ডাল ভেঙে সেটা মাটিতে ঘসে ঘরে একটু হুটোপুটির মত চিহ্ন রাখা হল। দেখে কোন সন্দেহ থাকে না, হ্রদ থেকে একটা বিশাল দানব আকৃতির প্রাণী হেঁটে হেঁটে বের হয়ে এসে একটা মানুষকে ধরে খেয়ে ফেলে পাহাড়ের দিকে উঠে গেছে। পায়ের ছাপের আশে পাশে আমাদের পায়ের ছাপও রয়ে গিয়েছিল, এবারে খুব সাবধানে সেগুলি গাছের ডাল দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে দেয়া হল। ছোট চাচা আমাদের বারবার বলে দিলেন, এখন থেকে খুব সাবধান, হ্রদের কাছাকাছি গেলে পাথরের ওপর দিয়ে হেঁটে যাবে, যেন পায়ের ছাপ না পড়ে।
পাহাড়ি দানোর পায়ের ছাপ তৈরি করে ছোট চাচা আমাদের নিয়ে হ্রদের পাশে খাড়া পাহাড়টায় ওঠার চেষ্টা করতে লাগলেন। সোজাসুজি ওঠা গেল না, পেছন দিয়ে ঘুরে ঘুরে অনেক সময় নিয়ে উঠতে হল। ছোট চাচা আন্দাজ করছেন, সাহেব তার
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...