নীলদ্বীপ (পর্ব৭)
X
মৃন্ময় বললো,"উনি আমাকে ভালোবাসলেও লাভ নেই।আমরা দুইজন দুইজনকেই অনেক ভালোবাসি।"
"হুমম সেটাই রে।আর আমি কিন্তু কালই চলে যাচ্ছি।"
"কালই যাবি?"
"হুম কাল নাকি আয়মানের ইন্টারভিউ আছে।"
"ওহ হলে তো ভালো।"
"হুমম।আচ্ছা তুই ট্রায়ার্ড অনেক।আমি চা নিয়ে আসি তোর জন্য।"
"যা।"
মৃন্ময় সাদিকের কথা ভাবতে লাগলো।তবে শুভ্র লোকটাও খারাপ না।সহজ সরল মনের মানুষ।
রাতে ঘুমানোর সময় দুইজন অনেক গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে আয়মান রেডি হয়ে ইন্টারভিউ দিতে গেল।চাকরিটাও হয়ে গেল।ভালো চাকরি পেয়ে গেসে আয়মান।আয়মান সবার প্ৰথমে হৃদিকে ফোন করলো।হৃদি ফোন ধরে বলল,"কি হলো বলো।"
"কি আর হবে!"
"মানে?"
"মানে চাকরিটা আমি পেয়ে গেসি।"
খুশিতে মৃন্ময়কে জড়িয়ে ধরে বলল,"সত্যি?"
"হুমম সত্যি।এবার দেখ কিছুদিনের মধ্যে তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিবো।"
"আমি সেই আশাতে মনের দুয়ার খোলা রেখেছি।"
"আচ্ছা রাখি।"
"আচ্ছা।"
হৃদি বললো,"আয়মানের চাকরি হয়েছে ভালো চাকরি পেয়েছে।"
"ওহ তালে তো ভালো।এবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেই হবে।"
"তোরও হবে কিন্তু শুভ্র ভাইয়া।"
"উনার জন্য মেয়ে আমি খুঁজবো।"
"তাই নাকি!"
"হুমম ।"
হৃদি ব্যাগ গুসাতে লাগলো।একটু পরেই চলে যাবে।
হৃদি বের হতেই দেখলো আয়মান।হৃদি বললো,"তুমি এখানে?"
"হ্যা চলো কোথায় যাই।"
"চলো।"
হৃদি বের হবার একটু পরেই সাদিক তার বাবা মাকে সাথে করে নিয়ে এলো মৃন্ময় বাসায়।সবকিছু খুলে বললো সাদিকের মা।শুভ্র আগেই জানিয়েছিল ঘটনাটা।উনারা মৃন্ময়কে আন্টি পড়াতে এসেছেন।মেয়েকে খুব পছন্দ করলেন।আর দুইজন দুইজনকে খুব ভালোবাসি তাই কেউ কিছু বললেন না।রাজি হতে গেলেন।মৃন্ময় আন্টি পরিয়ে সাদিকরা চলে গেল।
পরদিন আয়মানও বিয়ের প্রস্তাব দিতে গেল হৃদির বাসায়।যেহেতু কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি না তাই হৃদির বাড়ির সবাই রাজি হয়ে গেল।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now