বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
খালেদকে। খালেদ তুলবে রাজুকে। রাজু তুলবে থোয়াংসা চাহকে। আমরা বললাম, ঠিক আছে।
খুব ক্লান্ত হয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল মাটিতে শোওয়া মাত্রই বুঝি ঘুমিয়ে পড়ব। কিন্তু সাথে সাথে ঘুম এল না, বেশ খানিকক্ষণ জেগে রইলাম। শুনতে পেলাম একজন একজন করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ছে। ঘুমন্ত মানুষের নিঃশ্বাসের একটা আলাদা রকম শব্দ রয়েছে। থোয়াংসা চাই তার ঘুমের মাঝেই কিছু একটা বলে হেসে ফেলল, ছেলেটা কি হাসতেই না পারে। আমি মৃদু স্বরে ডাকলাম, ছোট চাচা
ছোট চাচা কোন উত্তর দিলেন না।
আমি আবার ডাকলাম, ছোট চাচা।
এবারে ছোট চাচার নাক ডাকা শুনতে পেলাম। ছোট চাচা যখন ঘুমান, তখন হালকা বাঁশির মত নাক ডাকে!
আমাদের প্রথম প্রহর পাহারা দেয়ার কোটালপুত্র ঘুমিয়ে গেছে, ঠিক রূপকথায় যেরকম হয়। তাকে ডেকে দেব ভাবতে ভাবতে আমিও ঘুমিয়ে গেলাম।আমাদের ঘুম ভাঙল খালেদের চিৎকারে। প্রাণপণে চেঁচাচ্ছে সে গলা ফাটিরে চেঁচাচ্ছে আমি ভয়ে লাফিয়ে উঠলাম, বেশ খানিকক্ষণ লাগল বুঝতে আমি কোথায়। হঠাৎ করে সব মনে পড়ে গেল, তখন লাফিয়ে দাড়ালাম আমি, খালেদের কাছে ছুটে গেলাম, সে হাত দিয়ে কি যেন দেখাচ্ছে। আমার পিছু পিছু অন্য সবাই ছুটে এসেছে। আমরা পাহাড়ের এক কিনারায় দাঁড়িয়ে সামনে তাকালাম, আর হঠাৎ মনে হল হৃৎস্পন্দন বুঝি থেমে গেল।
সে কী অপরূপ, সে কী বিস্ময়কর দৃশ্য! চারপাশে খাড়া পাহাড়ের সারি আর তার ঠিক মাঝখানে ছবির মত একটা হ্রদ। নীল টলটলে পানি, মনে হচ্ছে কেউ যেন আকাশের এক টুকরা ভেঙ্গে এখানে গেঁথে দিয়েছে। খাড়া পাথরের দেয়াল আর সেই পাথর থেকে একটা প্রাণীর মাথা বের হয়ে আসছে। একটা প্রাণীর কঙ্কাল, বিশাল মুখ হা করে আছে, ভয়ঙ্কর দাঁত, দেখে মনে হয়, এক্ষুনি বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু সেটি ঝাঁপিয়ে পড়ল না, পাথরে আটকা পড়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে রইল। খালেদ সেটার দিকে তাকিয়ে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলে, টি-রেক্স! টি
রেক্স! টি-রেক্স! আমরা টি-রেক্সকে পেয়েছি।
রাজু দু'হাতে মুখ চেপে ধরে রেখে ফিসফিস করে বলল, কী সুন্দর। ইশ! কী
সুন্দর ! সেই অপূর্ব দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। সাড়ে ছ' কোটি
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...