বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
এক বিদ্যালয়ের নাম ছিল ব্রাহ্মণ বসান উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে একসময় জিয়া ও নিশা নামে দুই শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতো। ওদের মধ্যে জিয়া ছিল ধনী পরিবারের মেয়ে, তার বাবা-মা দুজনেই চাকরী করতো। তাই জিয়া ছিল -বিদ্বেষ, ঘৃণা, হিংসুটে, অহংকারী,ও পরনিন্দা পরচর্চা পরায়ন একটি মেয়ে। আর নিশা ছিল গরিব পরিবারের মেয়ে। আর বাবা ছিলো পেশায় "দিনমজুর"তা করেই নিশাকে মানুষের মত মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করছিল তার বাবা। নিশা ছিল জিয়ার উল্টো প্রকৃতির মেয়ে নিশা পরোপকারী, দয়ালু, উদার ও বাচ্চা- বয়স্কদের প্রতি যত্নশীল। নিশা সবসময়ের জন্য জিয়াকে বন্ধু ভাব তো। আর জিয়া নিশা কে গরিব পরিবারের মেয়ে বলে স্কুলের বন্ধুদের -বান্ধবীদের সামনে নিশা কে অসম্মান করত। নিশা তার তে কিছু মনে করতো না কারণ জিয়া কে সে বান্ধবী মনে করতো। জিয়া শুধুমাত্র নিশর কাছ থেকে পড়াশোনার ব্যাপারে সাহায্য পাওয়ার জন্য মাঝের মধ্যে ভালোভাবে কথা বলতো নিশার সঙ্গে।
"অনেক বন্ধুই সামনে সুনাম করে
আবার পিছনে ও বন্ধুই মন্দ কথা
বলে বেড়ায় ........
একদিন জিয়া নিশা স্কুলে যাওয়ার সময় প্রথমে তাদের এক 'অন্ধ বাচ্চার' সঙ্গে দেখা হয়।সে রাস্তা পার হতে পারছিল না। তা দেখে প্রথমে নিশা ছুটে যায় বাচ্চাটিকে রাস্তা পার করার জন্য। জিয়া দূরে তাকিয়ে দেখে যে তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসছে, ওই রাস্তা দিয়ে। জিয়া তখন কিছু না ভেবে শিক্ষকের কাছে নিশার চেয়ে কে ভালো মনের মানুষ প্রমাণ করতে গিয়ে নিশাকে দূরে সরিয়ে দেয়। নিজে বাচ্চাটিকে রাস্তা পার করে দেয় জিয়া। কিন্তূ 'অন্ধ বাচ্চা' টি ছিল চোর যে অভিনয় করছিল।সুযোগ বুঝে জিয়ার ব্যাগ থেকে সমস্ত টাকা চুরি করে নেয়। আচ্ছা ঠিক এ রাস্তা পার করে দিয়ে শিক্ষকের কাছে সুনাম অর্জন করবে বলে স্কুলের দিকে রওনা হয়।
"ভালো কাজ করলে তা নিয়ে
বড়াই না করা........"
স্কুলে পৌঁছে দ্বিতীয় বার , "এক ভিক্ষুক"ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দুজনের দেখা ।জিয়া প্রথমেই বলে --আমি আজ যা টাকা এনেছি তা দিয়ে টিফিনে চিকেন, চাউমিন পকোড়া ,আইসক্রিম খাবো। আর সে ভিক্ষুক টাকে অপমান করে "যে তুমি ভিখারি তাও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা করো"এইসব জিয়ার আচরণ দূর থেকে দেখছিল নিশা। নিশা বান্ধবীর আচরণ দেখে নিজে খুব কষ্ট অনুভব করল। এটাও দেখল "ভিক্ষুক ব্যক্তি" খুবই ক্ষুধার্ত ।তাই সে বাবার কাছ থেকে দু টাকা নিয়ে এসেছিল টিফিনের সময় তার পছন্দের বিস্কুট কিনে খাবে বলে তা থেকে ক্ষুধার্থ ভিক্ষুককে এক টাকা দিয়ে দিলো। কিন্তূ
নিশা এক টাকা দান করার পর জিয়ার মতো প্রশংসা কামনা করল না।
"গরিবকে দান করে
নিজেকে বড় না ভাবা"
তারা স্কুলের সমস্ত ক্লাস হয়ে যাওয়ার পর তৃতীয় বার টিফিন খাওয়ার জন্য স্কুলের ক্যান্টিনে গেল । জিয়া খুব খিদেও পেয়েছে । কিন্তূ আনন্দিত ছিল, কারন সে আজ 500 টাকা এনেছে স্কুলে ক্যান্টিনে অনেক কিছু খাবে বলে। যখন সে স্কুল ব্যাগ এ হাত দিলো দেখলো তার ব্যাগে কোনো টাকা নেই। তখন সে দুঃখী মনে কাঁদতে লাগল। সব বন্ধুরা তার দিকে তাকিয়ে রইলো কিন্তু কেউ এগিয়ে এলো না। তা দেখে নিশা এগিয়ে এল তাকে বলল তুই কাঁদিস না, চল আজ দুই বান্ধবী এক সঙ্গে খাব।"ভিক্ষুককে এক টাকা দেওয়ার পর বাকি যে এক টাকা পড়েছিল তার কাছে সেই এক টাকা দিয়ে বান্ধবী জিয়াকে কিছু কিনে দিলো। তখন জিয়া বুঝতে পারল যে, সে এত দিন সবার কাছে যেই নিশা কে ছোট করে এসেছে সেই তার
প্রকৃত বন্ধু।
"আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করো
সময় হলে তুমি ফল পাবে.."
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now