বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
[ইমন হাসান ইমন হাসান] "গল্পটি আমি টিভিতে কার্টুন হিসাবে দেখেছি
সেটা নিজের ভাষায় লিখলাম"
[ইমন হাসান] শান্তিনগর নামের এক রাজ্যে এক রাজা ছিলেন। তাঁর নাম ছিল গোপাল চন্দ্র। প্রজারা তাদের রাজাকে খুবই ভালোবাসতো। তারা তাদের দয়ালু রাজার আচরণ ও শাসনে সন্তুষ্ট ছিল। হঠাৎ একদিন রাজ্যে নেমে এলো দু:খের কালো ছায়া। জোবেদার নামের এক বিশাল দৈত্য আক্রমণ করল রাজ্যের ওপর। সে রাজ্যের সব প্রজার গবাদি পশু ও পাখি খেতে লাগল। সে রাজাকেও সাবধান করল যে, যদি তাকে রোজ পশু-পাখি খেতে না দেয়া হয়, তবে সে রাজাসহ পুরো রাজ্যের প্রজাদের খেয়ে ফেলবে। রাজার কাছে এ খবর শুনে প্রজারা প্রাণভয়ে দৈত্যকর প্রতিদিন নিজেদের পশু-পাখি এনে দিতে লাগল। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? শেষে যখন প্রজাদের পোষ্য জীবের সংখ্যা প্রায় শেষের পথে, তখন রাজা চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি মন্ত্রী কে বললেন এ সমস্যার সমাধান দিতে। মন্ত্রী অনেক ভেবে-চিন্তে একটা উপায় বার করলেন।
-"মহারাজ, চলুন দেশে দেশে ঢেরা পিটিয়ে দিই। যে পারবে এই দৈত্যকে বধ করতে, তাকে ১০০০০ স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।"
-ঠিক বলেছ মন্ত্রী। এ ছাড়া তো আর কোনো উপায় দেখছি না।
মন্ত্রীর কথামতো রাজা দেশ-দেশান্তরে ঢেরা পিটিয়ে দিলেন। একদিন রাজা সভায় বসেছেন। হঠাৎ তাঁর এক প্রহরী এসে খবর দিল যে, ভিনদেশ থেকে সুবেদার নামের আরেক দৈত্য এসেছে। সে রাজার সাথে দেখা করতে চায়। রাজা একটু ভয় পেলেন। যদি এও মানুষখেকো হয়? কিন্তু উপায়ও তো নেই।
-"ঠিক আছে। ওকে বাগানে অপেক্ষা করতে বল।"
রাজা সেই দৈত্যের কাছে গেলেন। আকারে জোবেদারের থেকেও বেশি কিংবা তার সমান। দৈত্য রাজাকে সম্মান জানালো।
- "মহারাজ, আমি ওকে মারতে পারব।"
-"ঠিক আছে। তবে তুমি যে ওকে মারবে,তার প্রমাণস্বরূপ ওর জিভ কেটে আনতে হবে।"
-"যা আপনি বলবেন মহারাজ।"
দৈত্য মাটি কাঁপিয়ে চলল জোবেদারকে মারতে। এদিকে রাজার মন্ত্রী ফাঁদছিল অন্য মতলব। সে রাজাকে বলে ছুটি চেয়ে নিল। সে জোবেদারের পিছু নিল। সে পরিকল্পনা করল, যদি জোবেদার সুবেদারকে মারে,তাহলে সে জিভটা নিয়ে চম্পট দেবে। আর তাকে ১০০০০ স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া থেকে ঠেকায় কে? পিছু নিতে নিতে সে একটা ফাঁকা মাঠে এসে পড়ল। সেখানে একটা ঝোপের আড়ালে লুকালো। সে দেখল, সুবেদার গগনবিদারী চিৎকার দিচ্ছে।
- "জোবেদার, কোথায় আছিস, বেড়িয়ে আয়! আজ তোর মৃত্যু আমার হাতে হবে।"
এতক্ষণ চারপাশটা শান্ত ছিল। হঠাৎ মাটি কেঁপে উঠল। দূর থেকে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে আসতে লাগল জোবেদার। তার দেখাদেখি সুবেদারও দৌড়াতে শুরু করল। তারপর কাছাকাছি আসতেই শুরু হলো মল্লযুদ্ধ। দুজন দুজনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলার চেষ্টা করতে থাকল। শেষে তারা ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু করতে থাকল। জোবেদার বটগাছ ছোঁড়ে, সুবেদার ছোঁড়ে পাহাড়। এমনিভাবে চলতে চলতে একসময় মারা গেল জোবেদার। সুবেদার তার কাছে না আসতেই মন্ত্রী জিভ নিয়ে পালিয়ে গেল। রাজপ্রাসাদে এসে সে রাজাকে বলল মিথ্যা কথা। সে জিভটা দেখাল।
-"মহারাজ, আমি ওকে মেরেছি। এইযে প্রমাণ।"
সুবেদার রেগেমেগে ছুটতে ছুটতে এলো।
-"না, আমিই মেরেছি।"
-"কিন্তু প্রমাণ তো ওর কাছে সুবেদার।"
- "ঠিক আছে। হয়ে যাক পরীক্ষা। আমাদের মধ্যে যে পাহাড় ছুঁড়তে পারে, সেই ওকে মেরেছে।"
মন্ত্রী কি আর অত শক্তিধর? তাই সে চুপিচুপি পালানোর চেষ্টা করল। কিন্তু সভার সবাই তাকে ধরে ফেলল। বাধ্য হয়ে সে সব সত্যি বলল। তখন সবাই জানল আসল ঘটনা। তারপর মন্ত্রীকে শাস্তি দেয়া হলো। সুবেদারও তার পুরস্কার নিয়ে গেল। রাজ্য আবার হয়ে উঠল সুখময়
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...