বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
নিঝুম রাতে একা একা পথ চলছি,
চারপাশে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
বলে রাখা ভালো আমি শহরে বাস করি,
অনেকদিন পর আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে।
রাত যখন 'দুটো বেজে পাঁচ মিনিট' তখন শহর থেকে গ্রামে কে উদ্দেশ্য করে রওনা দেওয়া আমাদের বাসটি স্টেশনে এসে থামে।
বাস থেকে নেমেই যে যার মতো করে চলে গেল,
বুঝতে পারলাম আমার দাদু বাড়িতে যে পথে আমি যাব সে পথে আমার সাথে যাওয়ার মত আর কেউই নেই,
তাই একাই যেতে হবে ওই বিশাল পথ,
একা যেতে হবে সে নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই তবে পথে আছে কিছু ভয়ঙ্কর স্থান যা থেকে নিরাপদ থাকাই উত্তম।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি স্থান এর নাম লালদীঘি।
যাইহোক, যেহেতু দাদুর বাসায় এখনই পৌঁছাতে হবে তাই এসব চিন্তা বাদ দিলাম এবং কানে একটি হেডফোন গুঁজে নিজের পছন্দের রেডিও শো টি শুনতে শুনতে পথ চলা আরম্ভ করলাম।
হঠাৎ করেই আমার মনে হতে লাগলো কেমন যেন চারপাশের পরিবেশ টা উষ্ণ হয়ে উঠেছে,
কেউ একজন পিছন থেকে আমাকে অনুসরন করছে।
আরে হ্যাঁ! চলতে চলতে আমি তো সেই লালদীঘির প্রান্ত দিয়েই হেঁটে যাচ্ছি; এই লালদীঘি নিয়েই রটানো আছে শতাধিক আশ্চর্য ঘটনা।
যেগুলো শুধুই আমার মনে পড়ছে, মনে পড়ছে সেই দিনের লালদীঘি কে নিয়ে আমার দাদুর করা মন্তব্য, দাদু বলেছিলেন লালদীঘি আসলে একটি অভিশপ্ত স্থান।
আর বলবেই না কেন, লালদীঘি কে কেন্দ্র করে দাদুর সাথে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটা আর কারো সাথে ঘটলে সেও এমনই মন্তব্য করতেন।
দাদুর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা আসলেই খুবই আশ্চর্যজনক,
একদা দাদু যখন বাজার করে লালদীঘির পাড় থেকে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই পথমধ্যে এক বিশালদেহী মানুষের সাথে দেখা,
ঠিক মানুষ বললে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে না তাকে দেখে মহামানব বলাই বাহুল্য।
সেই বিশালদেহী মহামানব দাদুর পথ আগলে দাঁড়িয়ে দাদুকে উল্লেখ্য করে বেশ কর্কশ কন্ঠে একটা লম্বা হাসি দিলেন, যা দেখে দাদুর শরীর থেকে অনবরত ঘাম বেয়ে বেয়ে পড়ছে, ভয়ে তার চোখ উল্টে যাওয়ার উপক্রম।
তাও দাদু নিজেকে শান্ত করে সেই বিশালদেহী কে লক্ষ্য করে
জিজ্ঞেস করলেন কী চাও তুমি?
উত্তরে সে জানালো, তার চাই দাদুর শরীরের একটি অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ।
যা শোনার পর দাদু আর ওখানে স্থির হয়ে থাকতে পারলেন না তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু লোক দাদুকে ওখানে অজ্ঞান অবস্থায় পায় এবং তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
তবে দাদুর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি,
দাদু জানেন কেন, তার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি টি আর তার সাথে নেই।
বিষয়গুলো নিয়ে যতই চিন্তা করছি ততই গাঁ শিউরে উঠছে,
শুধু ভাবছি আর প্রার্থনা করছি,
আমার পথ আগলে জানো সেই বিশাল দেহীর আবির্ভাব না হয়।
গল্পটি অনেক বড় হয়ে যাবে ভেবে পার্ট ২ তে পরবর্তী উল্লেখ্য গল্প শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আর এটা আমার নিজের লেখা gj তে প্রথম প্রকাশিত হওয়া কোন গল্প তাই,
গল্পে করা উল্লেখযোগ্য কিছু ভুল সংশোধন করে দিলে খুশি হতাম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now