বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

যদিও আত্মহত্যা সমাধান নয়

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান আঁখি (০ পয়েন্ট)

X লেখা : আঁখি মায়া স্কুলে যাচ্ছিলো। যাওয়ার সময় চোখে পড়ে লোকজনের ছুটোছুটি যদিও কেউই হয়তো জানেনা তাদের ছোটাছুটির অর্থ কী, আমসিপারা বুকে ধরে ছোট ছোট বাচ্চার হইচই। স্কুলের স্যাররা কেমন যেন গম্ভীর ভাব নিয়ে থাকে আর মিসরা আরেকটু রাগী। মায়া এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে।প্রতিদিন স্কুল ছুটি হলে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পড়ত সবাই। কিন্তু মায়া আস্তে আস্তে যেত। যেন মায়া বাদে সবার উৎসাহ আছে বাসায় যাওয়া নিয়ে। মায়ার মাঝে মাঝেই হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করতো। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার পরে জীবন আরো বীভৎস হয়ে উঠবে কি না এই ভয়ে আর হারাতেও পারে না। পড়াশোনার জন্য বাসায় মা বকা দেয়, বাবাও বকা দেয়। কিন্তু কেউই সান্ত্বনা দিতে পারে না। কেউই মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাপোর্ট দেয়না। আর এজন্যই মায়ার পৃথিবীটা আরো বেশি অসহ্য লাগতে ছিল। তবুও সে বেঁচে আছে আশায় আশায়। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাবে আর তখন মা, বাবা, আত্মীয়রা সবাই মায়ার প্রশংসায় মুখরিত হবে। পরীক্ষাটা তো শেষ। ফলাফল হলো, মায়া A+ পায়নি। শুনেই ১০৪ডিগ্রি জ্বর চলে এসেছিলো। সব মেনে নেয়ার চেষ্টায় ছিল মায়া। কিন্তু সমাজের একদল ভালো মন্দ বিচারকের সমালোচনা শুনতে শুনতে সেই চেষ্টাটাও আর করতে পারে নি। তারা মায়াকে আর তার মা, বাবাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো, "মায়াকে দিয়ে কিচ্ছুই হবে না"। আর এই অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়ার জন্য আত্মীয় মহল তো আছেই। কটু বাক্য প্রয়োগে মায়ার জীবন বিভীষিকাময় হয়ে গিয়েছিল। মা, বাবা খুব কষ্ট পেয়েছিল তীব্র সমালোচনা শুনার পরে। কষ্ট পেয়ে মা বলেই ফেলেছিলো, "জ্বরের ঢং করে শুয়ে থেকে কী লাভ? তোমার তো বেঁচে থাকার কোনো মানেই হয়না! মরে গেলে মরে যাও। আমাকে যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দাও।" জন্ম দেয়া মানুষটা যখন এত্ত কষ্ট পাচ্ছে মায়ার জন্য, তখন তাকে মুক্তি দেয়া আর মায়ার নিজের মুক্তি পাওয়াটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল। রাতে যখন মা, বাবা ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন বিষ খেয়ে ছিল মায়া। সে তো মা, বাবাকে খুব ভালোবাসে। সে চায়না, তাঁর জন্য মা, বাবা আর কটু কথা শুনুক। মানুষের মৃত্যুর পরে সবাই কেন প্রশংসা করে? এটাও কি সুশীল সামাজের নীতি? তা যাই হোক না কেন, মায়ার মৃত্যুর পরেও তার প্রশংসা করা হয়েছিল, "মেয়েটা ভালো ছিল বটে"। একটা মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অনেক চেষ্টা করে,কিন্তু চেষ্টায় সফল হয়না সবসময় ! সময়টা ২০১৭সাল ছিলো। কিন্তু সে বেঁচে থাকলে তার জীবনগল্পটা অন্যরকম হতো সত্যিই। কে জানে? অদূর ভবিষ্যতে হয়তো নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব হতে পারতো ! কিন্তু ফুল ফোটার আগেই তো ঝরে গেলো !


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৭৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • আঁখি
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    Guardian's unsupportive behavior is so painful

  • Ļøśŧ MāƝ
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    নাহ। এটা সমাধান না। তবে এরকম করুণ পরিস্থিতিতে বতমানে অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের বেচে থেকেও মরে যাওয়ার মতো থাকতে হয়, এর জন্য অভিভাবকদের সাপোট খুবই গুরুত্বপূণ।

  • ZAiM
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    gj

  • আঁখি
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    প্রেম আর পড়াশোনায় ব্যর্থতার সমাধান আত্মহত্যা না। কিন্তু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল না হলে কত রঙের সমালোচনা যে হয়, সে টা মেনে নেয়া সব সময়ই কষ্টকর ????

  • Sm samiya mehejabin
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    জান্নাতুল মাওয়া আমিন।

  • জান্নাতুল মাওয়া
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    আত্মহত্যা এখন একটা ট্রেন্ডে রূপ নিয়েছে। সেশন জট, প্রেমে ব্যর্থ, বেকারত্ব, একাকীত্ব সবকিছুরই একমাত্র সমাধান আত্মহত্যা। আল্লাহ্ সবাইকে রহমত দান করুক।