বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩৮

"সাইন্স ফিকশন" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Ridiyah Ridhi (০ পয়েন্ট)

X আমাদের নৌকা আবার চলছে। সাহেব আর কাচু মিয়া তাদের নৌকা নিয়ে ঘণ্টা চারেক আগে গিয়েছে, আমরা তাদের পেছনে। ব্যাপারটা একদিক দিয়ে বেশ নিরাপদ। আমরা নদীতীরের লোকজন, উল্টোদিক থেকে আসা মাঝিদের জিজ্ঞেস করে তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু তারা কখনোই আমাদের খোঁজ নিতে পারবে না। ছোট চাচা ভেতরে লম্বা হয়ে শুয়ে আছেন। আমরা চারজন বাইরে। খোয়াংসা চাইয়ের দেখাদেখি আমাদেরও এখন খালি গা, তবে আমাদের শরীর হাড় জিরজিরে, মোটেও তার মত এত সুন্দর নয়। কিন্তু পাহাড়ের মাঝে এই নির্জন নদীতে সেটা নিয়ে আমাদের তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। থোয়াংসা চাইয়ের সাথে কথা বলার জন্যে একটি দুটি আঞ্চলিক শব্দ শিখে নিয়েছি। মুসলিম ভাইও বেশ কিছু শব্দ জানে। সেগুলো ব্যবহার করে অনেক রকম কথা বলা হয়ে গেছে। খোয়াংসা চাইয়েরা ছ’ ভাইবোন। সে সবচেয়ে ছোট। এক দুইদিন বাসায় না গেলে তার বাবা মা কখনো চিন্তা করে না। তার স্কুলে যাবার কোন ইচ্ছে নেই। টেলিভিশন কি সে জানে না। গাড়ি বলে একটা জিনিসের কথা সে শুনেছে, তবে কখনো দেখেনি। মাঝে মাঝে আকাশে প্লেন উড়তে দেখেছে, তার ধারণা, ব্যাপারটায় কোন ধরনের যাদু আছে। তার কী ধর্ম সে জানে না। বড় হয়ে তার ঘর সংসার করার ইচ্ছে। অনেকগুলো ছেলেমেয়ে হবে। তাদের নিয়ে সন্ধ্যাবেলা ঘরের দাওয়ায় বসে গান গাইবে। জীবনকে নিয়ে কি করবে, সেটা এত নিখুঁতভাবে ঠিক করে রাখতে আমি আগে কাউকে দেখিনি। সত্যি কথা বলতে কি, শুনে আমাদের কেমন জানি একটু হিংসে হতে লাগল। সারাদিন ধরে নৌকা চলল। আস্তে আস্তে জংগল আরো গভীর হয়ে উঠেছে, আরো জনমানবহীন হয়ে উঠেছে। দুপাশে খাড়া পাহাড়, নদীর পানি কোথাও কোথাও গভীর, কালো পানি সেখানে ঘূর্ণাবর্ত্ত তৈরি করে ঘুরছে। পাহাড় থেকে মাঝে মাঝে বুনো পশুর ডাক শুনতে পাই, থোয়াংসা চাই সে ডাক শুনে আপন মনে মাথা নাড়ে। আমরা বসে বসে একটা পরিকল্পনা করার চেষ্টা করি, কিন্তু চারজন ছোট ছেলে তার মাঝে একজন আমাদের কথা বুঝে না, আর একজন ভীরু বড় মানুষ নিয়ে একটা বিদেশী সাহেব, কাচু মিয়ার মত খুনে আর চার নৌকা বোঝাই মানুষের সাথে কেমন করে লড়া যায়, চিন্তা করে পেলাম না। আমরা বসে বসে অনেক চিন্তা করে দুটি সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম। সেগুলো হচ্ছেঃ (এক) ফ্রেডারিক সাহেবের কাছে নানা রকম বাক্স প্যাটারা আছে, তার মাঝে নিশ্চয়ই নানারকম যন্ত্রপাতি, সেগুলি ব্যবহার করে সে নিশ্চয় ফসিলগুলি তোলার চেষ্টা করবে। যেভাবেই হোক তার বাক্স প্যাটরাগুলি আটকাতে হবে। চেষ্টা করতে হবে


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৯৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫২
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫১
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫০
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৯
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৬
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৮
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৭
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৫
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩২
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩১
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩০
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৭
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৮
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৯
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ২০

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now