বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
নদীতে নৌকাগুলি ডুবিয়ে দিতে, রাত্রে যখন বিশ্রাম নেবে তখন চুপিচুপি গিয়ে নৌকার তলায় ফুটো করে দিতে পারলে হয়। সেটা অবশ্যি কেমন করে করা হবে, আমাদের জানা নেই।
(দুই) ফ্রেডারিক সাহেবের সাথে মানুষ অনেক বেশি কাজেই কোন রকম বুদ্ধি খাটিয়ে তাদের ভাগিয়ে দিতে হবে। সাহেব এবং কাচু মিয়া জানে না যে আমরা তাদের পিছু পিছু এসেছি, আমরা তাদের কোন রকম ভয় দেখাতে পারি। জায়গাটাতে পাহাড়ি দানো থাকে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে, মনে হয় সেটা ব্যবহার করা যাবে। কেমন করে ভয় দেখানো হবে, সেটা এখনো আমাদের জানা নেই।
আমরা সারা দিন বসে বসে চিন্তা ভাবনা করলাম, খুব একটা লাভ হল না। ছোট চাচাকেও আমাদের আলাপ আলোচনায় টেনে আনতে চাইছিলাম কিন্তু আনা গেল না, নৌকার মাঝে গোমড়া মুখে শুইয়ে রইলেন।
আমরা ঝুমিয়া পৌঁছালাম সন্ধ্যেবেলা সূর্য ডুবে যাবার পর। ফ্রেডারিক সাহেবের দলবল তাদের নৌকা থামিয়েছে ঠিক ঝরনার মুখে। আমরা আমাদের নৌকা থামালাম তার বেশ আগে, একটা ঝাপড়া গাছের আড়ালে। মুসলিম ভাই নৌকা থামিয়ে চুপিচুপি দেখে এসে খবর দিল সাহেব আর তার লোকজন নৌকা থেকে সব জিনিসপত্র নামিয়ে রাখছে। রান্নার আয়োজন করছে, সাহেব একটা গাছের গোড়ায় বসে পেট মোটা একটা বোতল থেকে মদ খাচ্ছে। কাচু মিয়া সাহেবের আশ পাশে ঘোরাঘুরি করছে মদের ভাগ পাবার আশায় কিন্তু সাহেব তাকে কিছু দিচ্ছে না। ভাব দেখে মনে হয়, তারা রাতটা এখানে কাটিয়ে কাল ভোরে রওনা দেবে।
মুসলিম ভাই যখন আমাদের জন্যে রান্না চাপান তখন ছোট চাচা আমাদের আক্রমণের প্রথম পরিকল্পনাটা বললেন। আমরা ভেবেছিলাম, ছোট চাচা গোমড়া মুখে বসেছিলেন কিন্তু আসলে সারাক্ষণ চিন্তা করছিলেন কি করা যায়। ছোট চাচা যখন খুব গভীরভাবে চিন্তা করেন তখন তাকে কেমন জানি গোমড়ামুখী দেখায়। ছোট চাচার পরিকল্পনাটা খুব ভাল, শুনে আমরা আনন্দে প্রায় চিৎকার করে উঠলাম। শুধু যে পরিকল্পনাটা ভাল তাই নয় তার পরিকল্পনাটা শুনে আমরা জানতে পারলাম, ছোট চাচা শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন, আমাদের মনের জোর তখন বেড়ে গেল একশ গুণ।
ভাল পরিকল্পনা সহজ হতে হয়। ছোট চাচার পরিকল্পনাটা ভাল কারণ সেটা খুবই সহজ! ফ্রেডারিক সাহেবকে থামিয়ে দেয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তার জিনিসপত্র নষ্ট করে দেয়া। সেটা আগুন ধরিয়ে নষ্ট করে দেয়া হবে। আগুন ধরানো হবে থোয়াৎসা চাইয়ের তীর ধনুক দিয়ে। তীরের মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে কেরোসিন তেলে ভিজিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে তারপর সেই জ্বলন্ত তীর ছুঁড়বে থোয়াৎসা চাই। সেই তীর পড়বে সাহেবের জিনিসপত্রে। দাউ দাউ করে সবকিছু জ্বলে উঠবে!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...