বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪০

"সাইন্স ফিকশন" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Ridiyah Ridhi (০ পয়েন্ট)

X পুরো ব্যাপারটা করা হবে জঙ্গলে লুকিয়ে, কেউ জানতেও পারবে না কেমন করে হল! উত্তেজনায় আমাদের তখন খিদে তৃষ্ণা চলে গেছে। মুসলিম ভাই খুব মজার খিচুড়ি রান্না করেছেন, সাথে ডিম ভাজা, তাড়াতাড়ি করে আমরা সেটা খেয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি রাত আরেকটু গভীর হওয়ার জন্যে। ছোট চাচা তার গেঞ্জি ছিঁড়ে তীরের মাথায় পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বেশ কয়েকটা আগুন জ্বালানোর তীর তৈরি করলেন। থোয়াৎসা চাই সেগুলি ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেখল, গম্ভীর হয়ে পিছনে আরো কিছু পালক বেঁধে নিল। তাকে বোঝানো হয়েছে কি করতে হবে, শুনে তার মুখে এগাল ওয়াল জোড়া হাসি। রাত গভীর হবার পর আমরা মুসলিম ভাইয়ের হ্যারিকেনটা নিয়ে রওনা দিলাম। হ্যারিকেনটা নিভিয়ে দেয়া হয়েছে, নেয়া হয়েছে কেরোসিনের জন্যে। আমাদের কাছে টর্চলাইট আছে কিন্তু সেটা জ্বালানো হচ্ছে না, ফ্রেডারিক সাহেবের লোকজন দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। ঘুটঘুটে অন্ধকার, আমরা বলতে গেলে কিছুই দেখতে পাই না। কিন্তু খোয়াংসা চাইয়ের একেবারে বিড়ালের মত চোখ, এই অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখতে পায়। তার পিছু পিছু আমরা সাহেবের আস্তানার কাছাকাছি এলাম। একপাশে একটা তাঁবু, ভিতরে উজ্জ্বল আলো জ্বলছে, সেই আলোতে তাঁবুটাকে কি যে সুন্দর দেখাচ্ছে, বলার মত নয়! এটা নিশ্চয়ই ফ্রেডারিক সাহেবের তাঁবু, এখনও নিশ্চয় ঘুমায় নি, তাহলে হয়ত আলো নিভিয়ে দিও। তাঁবুর সামনে বেশ খানিকটা দূরে একটা আগুন জ্বলছে, সেই আগুনের সামনে একটা গাছে হেলান দিয়ে বসে আছে একজন মানুষ। আমরা আতঙ্কিত হয়ে দেখলাম, মানুষটার হাতে একটা বন্দুক। তাবুর পাশে নানা রকম বাক্স, সেগুলির মাঝে নিশ্চয় রয়েছে নানারকম যন্ত্রপাতি। আমাদের সেগুলি আগুন ধরিয়ে নষ্ট করতে হবে। ছোট চাচা বন্দুক হাতে মানুষটাকে দেখে খুব ঘাবড়ে গেলেন। আমাদের কাঁধ খামচে ধরে ফিসফিস করে বললেন, ভেবে দ্যাখ সত্যিই চেষ্টা করবি কি না। গুলি করে মেরে টেরে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। এতদূর এসে আমরা তো পিছিয়ে যেতে পারি না। আমরা মাথা নেড়ে বললাম, ভয় পাবেন না ছোট চাচা, ঠিক জ্বালিয়ে দেব সবকিছু। বন্দুক হাতে মানুষটাকে দেখে পরিকল্পনা একটু রদবদল করা হল। ঠিক করা হল, খোয়াৎসা চাই তার আগুনের তীর ছুঁড়বে মানুষটার পেছন থেকে যেন সে দেখতে না পায়। হোয়াংসা চাইয়ের সাথে থাকবে শুধু একজন, অন্যেরা আগেই সরে যাবে। পালিয়ে যাবার রাস্তায় টর্চ লাইট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, কোন দিক দিয়ে যেতে হবে দেখানোর জন্যে। সবাই থোয়াংসা চাইয়ের সাথে থাকতে চায়। গলা নামিয়ে খানিকক্ষণ তর্কাতর্কি করে শেষ পর্যন্ত আমাকে যেতে দেয়া হল। আমি আর থোয়াংসা চাই দাঁড়িয়ে রইলাম তখন অন্যের ধীরে ধীরে সরে গেল। আমরা তখন আরেকটু এগিয়ে গেলাম। একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে আমি থোয়াংসা


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৮১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫২
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫১
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৫০
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৯
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৬
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৮
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৭
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৪৫
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩২
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩১
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ৩০
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৭
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৮
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ১৯
→ টি-রেক্স এর সন্ধানে পার্ট ২০

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now