বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
চাইয়ের একটা তাঁর নিয়ে কেরোসিন তেলে ভাল করে ভিজিয়ে নিয়ে ফস করে দেয়াশলাইটা দিয়ে জ্বালিয়ে দিলাম। সাথে সাথে তীরটা মশালের মত দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল।
আমরা কদুক হাতে মানুষটার পেছন দিকে ছিলাম, কিন্তু আগুনের শিখায় চারদিক আলোকিত হয়ে উঠতেই লোকটা লাফিয়ে উঠে দাঁড়ায়, আমি সাথে সাথে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম।
থোয়াংসা চাই তীরটা ধনুকে লাগিয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, দেখে মনে হয়, সে বুঝি কি করবে ভুলে গেছে। কিন্তু আমি জানি, সে অপেক্ষা করছে আগুনটা ভাল করে ধরার জন্যে না হয় তীরটা ছুটে যাবার সময় নিভে যাবে। বন্দুক হাতে মানুষটা অবাক হয়ে খোয়াংসা চাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সে নিশ্চয়ই একেবারে হতবাক হয়ে গেছে। ঘন অরণ্যে নিশি রাতে একটা পাহাড়ি ছেলে হাতে তীর ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তীরের মাথায় দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, দৃশ্যটা নিশ্চয়ই প্রায় অশরীরি! লোকটা বন্দুক হাতে নিয়ে হতবাক হয়ে খোয়াংসা চাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইল। আমি চাপা গলায় বললাম, মার খোয়াংসা চাই ! মার
থোয়াংসা চাই খূব ধীরে ধীরে ধনুকটা প্রায় আকাশের দিকে মুখ করে ধরে, খুব ধীরে ধীরে তীরটা টেনে আনে তারপর ছেড়ে দেয়। জ্বলন্ত আগুনের ফুলকির মত তীরটা ওপরে উঠে যায় তারপর নিচে নামতে থাকে, সাহেবের তাবুর ওপর দিয়ে গিয়ে এটা নিচে এসে পড়ে, ঠিক যেখানে বাক্সবোঝাই জিনিসগুলি রেখেছে সেখানে। তীরটা নিভে গেল না, বরং আগুনটা ছড়িয়ে পড়ল বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে।
বন্দুক হাতে লোকটার মনে হল কিছুক্ষণ লাগল বুঝতে ব্যাপারটা কি হচ্ছে। যখন বুঝতে পারল, তখন বিকট চিৎকার করতে করতে আগুন নেভানোর জন্যে ছুটে যায়। তার চিৎকার শুনে সাহেব তাঁর তাঁবু খুলে বের হল, ছোট একটা লাল জাঙিয়া ছাড়া পরনে আর কিছু নেই। আগুনটা দেখে সে হঠাৎ বিচিত্র একটা কাজ করল, সেটা নেভানোর কোন চেষ্টা না করে উল্টোদিকে ছুটতে ছুটতে গিয়ে নদীর মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ল। এমন কিছু বেশি আগুন নয়, একটু চেষ্টা করলেই নিভিয়ে ফেলতে পারত কিন্তু কেন সেটা নেভানোর চেষ্টা করল না বুঝতে পারলাম না। বন্দুক হাতে মানুষটা দুই এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে রইল, তারপর দেখলাম, সেও ছুটে গেল সাহেবের পেছনে পেছনে। আমি আর থোয়াংসা চাই দেখলাম, আশে পাশে কেউ নেই। আগুনটা বেশ ছড়িয়ে পড়েছে, অন্য তীরগুলি ব্যবহার করার কোন দরকার নেই।
থোয়াংসা চাই তখন উঠে দাঁড়িয়ে একটু এগিয়ে গেল। আশে পাশে কাউকে না দেখে সে আরেকটু এগিয়ে গেল, তারপর আরেকটু— আর হঠাৎ করে আমি বুঝতে পারলাম সাহেব কেন আগুনটা নেভানোর কোন চেষ্টা না করে পালিয়ে গেছে। ঐগুলি ডিনামাইটের বাক্স! আমরা ডিনামাইটের বাক্সে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি, এক্ষুণি নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ করে পুরোটা ফাটবে। সর্বনাশ! সর্বনাশ!!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now