বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
নৌকায় ফিরে এসে আমরা সবাই অনেকক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম। হঠাৎ করে আমরা টের পেতে শুরু করেছি ব্যাপারটা ছেলেমানুষি ব্যাপার নয়। ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে এখন, আমাদের কেউ মারা যেতে পারে, খুন হয়ে যেতে পারে কেউ।
ছোট চাচা বললেন, খুব সাবধানে এগুতে হবে। খালেদ বলল, যখন কোথাও ফসিল পাওয়া যায় খুব সাবধানে সেটা আস্তে আস্তে তুলতে হয়। আর এই ব্যাটা বদমাইস ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে ফসিল বের করতে এসেছে।
রাজু বলল, আমাদের দেশের একটা সম্পদ, তার জন্যে কোন মায়া দয়া নাই। ছোট চাচা বললেন, আগুনে অনেক ক্ষতি হয়েছে ওদের কিন্তু আমার মনে হয় তবু ওরা চেষ্টা করবে।
আমরা মাথা নাড়লাম।
সাহেবের লোকজন এখনো জানে না আমাদের কথা ভেবেছে থোয়াংসা চাই একা নিজে নিজে করেছে! খুব ভাল হয়েছে এটা। আমরা লুকিয়ে আরো কিছু করতে
পারব।
কি করবে?
ব্যাটা বদমাইসদের আটকে রাখতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না পুলিশ আসছে।
কেমন করে আটকে রাখবেন? ছোট চাচা মাথা চুলকালেন তারপর বললেন, কিছু একটা বুদ্ধি বের করতে হবে।
ভয় দেখালে কেমন হয়?
কেমন করে দেখাবি? একজন দু'জন মানুষকে ভয় দেখানো যায়। এতজন মানুষ যদি একসাথে থাকে, হাতে বন্দুক, ভয় দেখাতে গিয়ে খুন হয়ে যাবি। খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে ছোট চাচা বললেন, ব্যাটা বদমাইসগুলি কাল ভোরের
আগে রওনা দিতে পারবে না, আমাদের তার আগেই সেখানে পৌঁছাতে হবে। খুব ভোরে উঠে রওনা দিয়ে দেব।
উঁহু, ছোট চাচা মাথা নাড়লেন। ভোরের জন্যে অপেক্ষা করা যাবে না। আমাদের এখুনি রওনা দিতে হবে। এখুনি? আমরা প্রথমে ভাবলাম ছোট চাচা ঠাট্টা করছেন কিন্তু দেখলাম ঠাট্টা নয়
সত্যি সত্যি এখুনি রওনা দিতে চান। আমি বললাম, এই মাঝ রাতে? হ্যাঁ, ছোট চাচা মাথা নাড়লেন, অ্যাডভেঞ্চারে যখন যাবি, ঠিক করেই যাওয়া যাক। এই যুদ্ধে আর এপার ওপার নেই। আজ রাতেই আমরা ফসিলের কাছে পৌঁছে যাব, কাল সারা দিন থাকবে কিছু একটা ব্যবস্থা করার জন্যে। পুলিশ এসে যাবে। তার মাঝে নিশ্চয়ই
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...