বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মাঝি আসলে ডাকাত, নৌকোটা জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে তার দলের অন্য লোককে ডেকে
আনতে গেছে। এখন আমাদের সবাইকে কেটে ভাসিয়ে দেবে। আমি ছোট চাচাকে থামালাম, বললাম, ভয় পাবেন না ছোট চাচা। কেটে আমাদের ভাসাত না, ভাসাত আপনাকে। আর সেটা কে করত জানেন? মুসলিম ভাই না, আপনার প্রাণের বন্ধু ফ্রেডারিক সাহেবের ডান হাত কাচু মিয়া। মুসলিম ভাই না থাকলে কাল রাতে আমরা গিয়েছিলাম। কেন? কি হয়েছে?
আমরা তখন ছোট চাচাকে গত রাতের পুরো ঘটনাটা খুলে বললাম। শুনে ছোট চাচা একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলেন। বেশ খানিকক্ষণ লাগল তাঁর শান্ত হতে। তখন তিনি তাঁর ভয়টা ঢেকে ফেলার জন্যে খুব রেগে যাবার ভান করলেন। চোখ লাল করে বললেন, আমাকে ডাকলি না কেন?
ডেকেছি ছোট চাচা। অনেক ডেকেছি। আপনি উঠেন নাই। খালেদ বলল, পলিটিক্স নিয়ে একটা লেকচার দিলে।
ছোট চাচা একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, তোদের কথা শুনে এখানে আসাই ভুল হয়েছে। আরেকটু হলে জানটা যেত। এখুনি ফিরে যাব।
খালেদ বলল, এই বদমাইস সাহেব এসেছে ফসিলের খোঁজে। সব ভেঙে নিয়ে
যাবে।
যাক। ব্যাটার কাছে কত রকম বন্দুক আছে, গুলি করে শেষ করে দেবে। এখনো
সময় আছে, তাড়াতাড়ি ফিরে যাই।
আমরা কেউ কোন কথা বললাম না। কোথায় মাঝি? ডেকে আন।
খালেদ একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে বলল, কাচু মিয়া বলেছে তোমাকে কেটে
ফেলবে। আমাদের কিছু করবে না।
তার মানে?
তোমার যদি ভয় করে তুমি চলে যাও। আমরা তিনজন জায়গাটা দেখে আসি। ছোট চাচা চোখ পাকিয়ে আমাদের দিকে তাকালেন, রাগে অনেকক্ষণ কোন কথা
বলতে পারলেন না। শেষে যখন কিছু একটা বলতে গেলেন, তখন দেখলাম মুসলিম ভাই হেঁটে হেঁটে ফিরে আসছে। আমি চাপা গলায় জিজ্ঞেস করলাম, কি খবর মুসলিম ভাই? কোথায় গিয়েছিলে?
একটু দেখে এলাম।
কি দেখে এলে? কাচু মিয়াকে।
কি করে কাচু মিয়া?
নদীর ঘাটে বসেছিল তার সাগরেদকে নিয়ে। সবগুলি নৌকায় আপনাদের খুঁজছে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Tabassum
User ২ বছর, ২ মাস পুর্বেTabassum
User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে