বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দুইশ।
আড়াইশ লোকটা মুখে একটু মিনতির ভাব করল, তখন ছোট চাচা রাজি হয়ে গেলেন, বললেন, ঠিক আছে আড়াইশ।
লোকটা উঠে দাঁড়িয়ে বলল, চলেন একটু চা খাই, গলাট। শুকিয়ে গেছে। চা খেতে খেতে কথা বলি।
আমরা সবাই উঠে দাঁড়ালাম। লোকটা একপাশে বসে থাকা একটা কালো মতন বাচ্চাকে ধমক দিয়ে বলল, হেই কাউলা, বস এখানে। খবরদার, পাঁচ টাকার কমে কোন নবযৌবন সালসা দিবি না।
কালো মতন ছেলেটা মাথা নেড়ে বলল, জে, দেব না। কে জানে সত্যিই ছেলেটার নাম কাউলা নাকি গায়ের রঙ কালো বলে ওকে কাউলা ডাকছে।
রেস্টুরেন্টে চা খেতে লোকটা যা বলল, তার সারমর্ম এরকম: সে নিজে এই হাড়টা যোগাড় করে নি। তার বড় শালা তাকে দিয়েছে। বান্দরবনের ভেতর দিয়ে একটা নদী ভেতরে চলে গেছে, নদীর নাম শঙ্খ নদী, স্থানীয় লোকজন বলে সাঙ্গু। সেই নদী ধরে পুরো দিন পাহাড়ে উঠে গেলে একটা জায়গা আসে সেটার নাম ঝুমিয়া। জায়গাটা চেনার সহজ উপায় আছে, খুব সুন্দর একটা ঝরনা আছে সেখানে। সেই ঝুমিয়া থেকে দুই পাহাড়ের মাঝে দিয়ে ঝরনার স্রোতধারা বেয়ে প্রায় কুড়ি মাইল হেঁটে গেলে একটা হ্রদ পাওয়া যায়। সেই হ্রদের পানি নাকি আকাশের মত নীল। সেই হ্রদের তিন দিক পাহাড় দিয়ে ঢাকা, পাহাড়গুলি পাথরের, পাথরগুলির রঙ নাকি আগুনের মত। সেই পাথরের মাঝে নাকি নানারকম জন্তু জানোয়ারের হাড় ছড়ানো ছিটানো আছে। লোকটার বড় শালা শঙ্খ নদীতে নৌকা চালায় সে একসময় গিয়েছিল। সেই এই হাড়টা এনে দিয়েছে। তার কাছে শুনেছে দৈত্যের মত বড় নাকি জন্তুর মাথা, তার বড় বড় দাঁত হাত দুই হাত লম্বা।
খালেদ নিশ্বাস বন্ধ করে শুনছিল, কথা শেষ হবার সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করল, আর কেউ কি জানে এটা সম্পর্কে? আর কেউ উৎসাহ দেখিয়েছে ? লোকটা বলল, মনে হয় খুব বেশি মানুষ জানে না। কেউ কোন উৎসাহও দেখায় নাই। কয়েকজন বিদেশী একবার একটু উৎসাহ দেখিয়েছিল কিন্তু আজকাল বিদেশীরাও
খুব চালু হয়ে গেছে, হাত দিয়ে পয়সা গলতে চায় না। খালেদ জানতে চাইল বান্দরবন কেমন করে যেতে হয়, থাকার জন্যে হোটেল
আছে কি না। খাওয়ার ভাল রেস্টুরেন্ট আছে কি না। লোকটা ভাল উত্তর দিতে পারল না, তবে তার বড় শালার নাম ঠিকানা লিখে দিল। সে স্থানীয় মানুষ, ভাল খোঁজখবর দিতে পারবে। দরকার পড়লে এক দু'রাত তার বাড়িতে থাকা কোন সমস্যা না। গরীব মানুষ কিন্তু আদর যত্ন ঠিকই করবে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...