বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
খালেদ তখনি তার নাম ঠিকানা লিখে নিল।
ছোট চাচা বাইরে এসে একটা গাছের নিচে বসে তখন একটা জরুরী মিটিং ডাকলেন। বললেন, কক্সবাজারে আমাদের হোটেলে রিজার্ভেশান করা আছে। আমাদের এখন সেখানে গিয়ে প্রথমে পুরো ব্যাপারটা ঠাণ্ডা মাথায় বিবেচনা করা দরকার। দু'একদিন থেকে খোঁজখবর নিয়ে কিছু একটা করা যাবে। বান্দরবন হয়ে ঝুমিয়া। সেখান থেকে টি-রেক্সের সন্ধানে।
খালেদ বলল, আপনি যান কক্সবাজার। আমি যাচ্ছি না। ছোট চাচা রাগ চেপে বললেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ?
তুমি একা?
আর কেউ যদি না যায় তাহলে একা।
ছোট চাচা খাঁটি বাংলায় খালেদকে একটা গালি দিয়ে বললেন, তুমি একা
বান্দরবনের পাহাড়ি জঙ্গলে যেতে পারবে? আমি আমেরিকা থেকে একা চলে এসেছি।
আমেরিকা আর বান্দরবন এক জায়গা হল ?
যে আমেরিকায় থাকতে পারে সে পৃথিবীর যেখানে হচ্ছে সেখানে থাকতে পারে।
সেখানে প্রত্যেক তিন মিনিটে একটা মানুষ খুন হয়। পাঁচ মিনিটে – খালেদ হঠাৎ থেমে গেল।
পাঁচ মিনিটে কি ?
নাহ। কিছু না।
তোমার বাবা যদি খবর পায়—
কিছু হবে না। খালেদ তার ঝোলাটা হাতে নিয়ে বলল, কে যাবে আমার সাথে? আমার বুক ধুক ধুক করতে থাকে। দিনরাত বড়দের গালিগালাজ খেয়ে আমাদের মনটাই ছোট হয়ে গেছে। কিন্তু এখন এই রকম সুযোগ তো আমি ছেড়ে দিতে পারি না। দাড়িয়ে বললাম, আমি যাব।
ছোট চাচা দাঁত কিড়মিড় করে বললেন, টোপন, তোর মাথা যদি আমি চিবিয়ে না
খাই।
রাজুও ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে বলল, আমিও যাব।
ছোট চাচার মুখ রাগে থমথম করতে থাকে। কাঁপা হাতে তিনি আরেকটা সিগারেট ধরালেন। খালেদ নিচু গলায় বলল, সিগারেট খাওয়া আর মাথায় গুলি করার মাঝে কোন পার্থক্য নাই।
ছোট চাচা এত জোরে চিৎকার করে বললেন 'চুপ কর’ যে আশপাশের সব লোক ঘুরে তার দিকে তাকাল। গাছের ওপর দুইটা পাখি কিচমিচ করে ঝগড়া করছিল, ভয় পেয়ে সেগুলি উড়ে গেল হঠাৎ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now