বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আরে ধুর! ভুলে যা বাসার কথা।
বান্দরবনের রাস্তাটা অপূর্ব, কিন্তু শহরটা এমন কিছু আহামরি নয়। দেশের যে কোন মফঃস্বলের বাজারের মত। ছোট ছোট দোকানপাট। রাস্তাঘাটে ভিড়। তবে তুলনামূলকভাবে চাকমা, মা এরকম মানুষ বেশি। বিচিত্র ভাষায় কথা বলছে, পোশাকও একটু অন্যরকম। শুকনো দড়ির মত মানুষটি আমাদের বলে দিয়েছিল বাজারের কাছ থেকেই সাঙ্গু নদী কিন্তু কোন নদী আমরা খুঁজে পেলাম না। লোকটা কি ধোঁকা দিয়ে আমাদের এখানে পাঠিয়েছে? ছোট চাচা তাহলে মনে হয় আমাদের কাঁচা ধরে খেয়ে ফেলবেন। লবণ ছিটিয়ে
আমরা বাজারের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, সাঙ্গু নদীটা কোথায়? লোকটা অবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল, এই তো পেছনে!
তাকিয়ে দেখি সত্যিই দোকানের পাশ দিয়ে সরু রাস্তা নিচে নেমে গেছে। আমাদের বুকে বল ফিরে এল. হেঁটে নিচে নেমে আসতেই দেখি নদী। নদীর তীরে এক পাশে অনেক মানুষের জটলা। দূর থেকে দেখতে পেলাম পাশাপাশি অনেকগুলো নৌকা তার মাঝে বড় বড় কাঠের বাক্স তোলা হচ্ছে। এটা দেখার জন্যে এত ভিড় কেন বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ দেখি একজন সাদা চামড়ার বিদেশী মানুষ, তখন হঠাৎ করে ভিড়ের আসল কারণটা বুঝতে পারলাম। বিদেশী মানুষ দেখলে সবসময় ভিড় জমে যায়। আমি খালেদকে বললাম, মনে হয় তোমার দেশের মানুষ, যাও কথা বলে এসো!
খালেদ উত্তর না দিয়ে হাসল। বোঝাই যাচ্ছে তার কোন উৎসাহ নেই।
ছোট চাচা অবশ্যি খুব উৎসাহ নিয়ে হেঁটে গেলেন। বিদেশী দেখলেই ছোট চাচা
এগিয়ে যান, তাঁর ধারণা এদেশে বিদেশীদের খুব অসুবিধে হয়, ছোট চাচ। লেখাপড়া
জানা মানুষ তাই গিয়ে তাদের সাহায্য করবেন।
আমরা আমাদের সেই শুকনো মানুষের বড় শালার খোঁজ করতে শুরু করলাম, নাম বলেছিলা তার বাহাউদ্দিন। মাঝিদের জিজ্ঞেস করতেই তারা চিনে ফেলল, মনে হয় এখানে সবই সবাইকে চেনে। তারা বলল, বাহাউদ্দিন মাঝি গত রাতে নৌকা নিয়ে পাহাড়ে গেছে। শুনে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল, এরকম একটা ব্যাপার ঘটতে পারে আমরা চিন্তা করিনি।
এতদূর এসে তো আর ফিরে যাওয়া যায় না, তাই ছোট চাচা এসে হৈ চৈ শুরু করার আগেই আমরা খোঁজ খবর নেয়া শুরু করলাম, নৌকা করে একরাত একদিন ওপরে উঠে গেলে সত্যি সত্যি ঝুমিয়া নামে একটা জায়গা পাওয়া যায়, সেখানে সত্যি পাহাড়ের ওপর থেকে ঝরনার পানি এসে পড়ছে। কথা বলে মনে হল যে কোন মাঝিই আমাদের নৌকা করে সেখানে নিয়ে যেতে পারবে। কোথায় থাকব জানতে চাইলে একজন মাঝি হেসে বলল, নৌকায় থাকবেন।
কোথায় ঘুমূব?
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now