বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রিফাহ ইসরাতের সামনে চুপচাপ বসে আছে।ইসরাতও মনমরা হয়ে বসে আছে।ইসরাতের কোনোকিছুতেই মন বসে না।তারও রনির কথা মনে হয়।কিন্তু ইসরাত রনিকে ভুল বুঝছে।
তিনদিন পর রনির জ্বর কমলো।বাইরে বের হলো রনি।কোথায় যাচ্ছে সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেই।এক জায়গায় এসে থামলো নদীর পাড়ে।এখানেই রনি বসে পড়লো।
রিফাহ ইসরাতের সামনে যেয়ে বললো,"ধর এই যন্ত্রটা।"
"এটা দিয়ে আমি কি করবো?যার ফোন তাকে দে।"
"এটা যার তাকে দিয়ে কি হবে?সেতো একটা পাগল।পাগলের আবার ফোন লাগে নাকি!"
"পাগল,কে পাগল?"
"কে আবার ওই আমার ১২ ভাতার ভাই।ভাইয়া আসলে সেরকম ছেলেই না।তুই ভুল বুঝেছিস।"
"কি প্রমান আছে তোর কাছে?"
"ওহ তুই তো লোয়ার সবকিছুতেই প্রমান লাগে।এইযে এই যন্ত্রটা প্রমান।হায়রে প্রেমের জন্য মানুষ কি না কি হয়ে যায়।শেষে পাগলও হয়ে যায়।ভাইয়াকে খুব শীঘ্রই ডক্টর দেখাবে তারপর বিয়ে দিয়ে লন্ডনে পাঠিয়ে দিবে।যাই বের হতে হবে।তোর দুলাভাই ওয়েট করছে আমার জন্য।"
রিফাহ বের হলো।ইসরাত ফোন করলো।প্রথমেই দেখলো তার পিক।রনির ওয়ালপেপারে ইসরাতের পিক।প্ৰথমে ম্যাসেঞ্জারে ঢুকলো।কোনো মেয়ের সাথে যে কথা হয়েছে সেইভাবে সেটা নেই।তাও ইসরাতের সন্দেহ গেল না।যদি ম্যাসেজ ডিলেট দেয়।ইসরাত এবার ঢুকলো গ্যালারিতে।পুরো গ্যালারি জুড়ে ইসরাতের পিক।ইসরাত একটা রেকর্ডিং শুনতে পেল।সেখানে পিঙ্কির সাথে রিফাহর ঝগড়ার কিছু কথা হচ্ছে।ইসরাত তখন বুঝতে পারলো সে রনিকে ভুল বুঝছে।নিজের কাছে নিজেকে অনেক খারাপ মনে হতে লাগলো।ইসরাত ভাবতে লাগলো যদি রনির বিয়ে হয়ে যায় তার আগে রনির কাছে যেতে হবে।ইসরাত রনির বাড়িতে গেল।সেখানে পেলো না।সারা শহর খোঁজল।কিন্তু কোথাও পেলো না।ইসরাত ক্লান্ত হয়ে গেল।ক্লান্ত শরীর নিয়ে নদীর দিকে যেতে লাগলো।সেখানে যেয়ে দেখলো রনি।রনির পাশে দাঁড়িয়ে বললো,"তুমি এখানে আর আমি তোমাকে কতক্ষন ধরে খুঁজছি।সে তিন ঘন্টা ধরে একটানা খুঁজছি।"
রনি ইসরাতের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলল,"আমাকে খুঁজছ কেন?"
"তোমাকে খুঁজবো নাতো কাকে খুঁজবো!"
রনি দাঁড়িয়ে বললো,"কিন্তু তুমি তো-"
"সরি আমি তোমাকে ভুল বুঝেছি রনি।আমাকে তুমি ক্ষমা করে দেও।"
"আমি তো তোমাকে প্রতি মুহূর্তে ক্ষমা করে দেই।"
ইসরাত রনিকে জড়িয়ে ধরে বললো,"আর কখনো হবে না এমন।কারো কথা বিশ্বাস করবো না।এখন চলো।"
"কোথায়কোথা।"
"সবাই বলে পেট ভরে খাবো আর তুমি বলছো মন ভরে।"
"আরে পেট তো ভরবেই কিন্তু মনের তৃপ্তি মেটে খাবো।"
"চলো।আমিও মন ভরে খাবো।"
তারা আবার এক হয়ে চলতে লাগলো আগামীর পথে
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
ESHRAT JAHAN
Golpobuzz ১ বছর, ৯ মাস পুর্বেমুসকান
User ১ বছর, ৯ মাস পুর্বেPRINCE FAHAD
User ১ বছর, ৯ মাস পুর্বে
User ১ বছর, ৯ মাস পুর্বে